সপ্তাহ দুয়েক আগে চিরশত্রু ইসরায়েলে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বড় ধরনের হামলা চালায় ইরান। এর জবাবে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানে পাল্টা হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, পাল্টা প্রতিশোধ নিতে ইরানের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হবে। এদিকে, ইরান মনে করছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার সম্ভাবনা ‘অত্যন্ত কম’। আর হামলা চালালেও যেকোনো সম্ভাব্য ক্ষতি দ্রুত পুষিয়ে নিতে পারবে তারা।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) এমনটি দাবি করেছে ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা।
নূরনিউজ সংস্থাকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে সংস্থার মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি বলেন, এটি ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আক্রমণের ঘটনা ঘটলে নিশ্চিত থাকুন তারা (ইসরায়েল) সফল হবে না। আর যদি তারা এমন কোনো বোকামি করে, তাহলে তারা আমাদের কোনো গুরুতর ক্ষতি করতে পারবে না। যদি ধরেও নেওয়া হয় যে তারা কিছু ক্ষতি করতে পারে, তবে তেহরান দ্রুত তা পুষিয়ে নিতে সক্ষম হবে। খবর আরব নিউজের।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা অভিযানের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েল। তবে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছেন যে, পাল্টা আক্রমণ শুধুমাত্র সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ থাকবে, জ্বালানি বা পারমাণবিক স্থাপনায় নয়।
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ও হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত ১ অক্টোবর একযোগে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়ে ইরান।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আগামী ৫ নভেম্বরের আগে ইসরায়েল পাল্টা আঘাত হানবে, যা তাদের নির্বাচনের চূড়ান্ত মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে পারে। তবে, ইসরায়েলের পাল্টা আক্রমণের সময়সূচি ও পরিধি নিয়ে নেতানিয়াহু সরকারের মধ্যে রুদ্ধদ্বার আলোচনা চলছে। যদিও মার্কিন রাজনীতির প্রতি সংবেদনশীল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার নেওয়া পদক্ষেপের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন তিনি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর মতে, মধ্যপ্রাচ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা ও সংকট আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে একটি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বিষয়টি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কমলা হ্যারিসের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ