এখনো গোয়েন্দা হেফাজতে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক। গতকাল তাদের ছেড়ে দেওয়া হতে পারে- ডিবির এমন বক্তব্যের পরও গত রাত ৯টা পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি।
ছয় সমন্বয়কের অন্যতম একজন নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আদালতের রায়ের পরই আমার ছেলেসহ বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হবে- এমনটাই আমাদের জানানো হয়েছিল। আজকে কেবল আসিফ মাহমুদের বাবা ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তার ছেলের কাপড়চোপড় দিয়ে এসেছেন। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে তাদের প্রত্যেকেই নিরাপত্তা হেফাজতে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন।
এর আগে হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই কোটা সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। তারা হলেন- মো. নাহিদ ইসলাম, মো. সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, মো. আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
এদিকে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কসহ যাদের ডিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে, তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছে বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ। গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ডিআরইউ সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘হত্যা, অবৈধ আটক ও নির্যাতনের বিচার চাই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই আলটিমেটাম দেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। এই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের যদি নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হয়, তাহলে আমরা বিক্ষুব্ধ নাগরিক সমাজ ডিবি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়াসহ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। আমরা এখন এখান থেকে সরাসরি সেখানে যাব। আমি বিশ্বাস করি, ডিবির কোনো প্রতিনিধি এখানে থাকতেই পারেন। আশা করছি ম্যাসেজটা তাদের কাছে চলে যাবে।