‘উৎপাদন অব্যাহত থাকবে’- হাই কোর্টের এক আদেশ কারসাজি করে এই লাইনজুড়ে দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় ইটভাটা সচল রেখেছিলেন ৫১ মালিক। জালিয়াতি করে তৈরি করা আদেশে যুক্ত করা হয়েছে অতিরিক্ত আবেদনকারীও। বিপত্তি ঘটে রিটকারী আইনজীবী ইটভাটা বন্ধের আদেশ প্রতিপালনের বিষয়ে খোঁজ নিতে গেলে। জেলা প্রশাসক জানান, হাই কোর্টের আদেশ নিয়েই এসব ইটভাটা চলছে। এর পর ঘটনাটি হাই কোর্টের নজরে আনেন রিটকারী আইনজীবী। পরে এই জাল-জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ফৌজদারি মামলা করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বিষয়টি গত সোমবার হাই কোর্টের নজরে আনেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, তিন পার্বত্য জেলার (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি) অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়ে ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি আদেশ দেন হাই কোর্ট। পরে গতকাল আদেশে হাই কোর্ট জড়িতদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, জালিয়াতির ঘটনাটি নজরে আনা হলে আদালত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ফৌজদারি মামলা করতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জানতে চাইলে ইটভাটা মালিকদের রিটের পক্ষে গতকাল আদালতে থাকা আইনজীবী কুমার দেবুল দে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা সঠিক আদেশের সার্টিফাইড কপি পাঠিয়েছিলাম। তার অনুলিপিও আমাদের কাছে রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে কেউ আদেশ টেম্পারিং করেছে। এ বিষয়ে আমরা অবগত নই।