অবিলম্বে বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা, অপপ্রচার বন্ধসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার্স কল্যাণ সমিতি। গতকাল বেলা ১১টা ২০ মিনিটে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অফিসার্স কোয়ার্টারের সামনে থেকে পদযাত্রা করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আসেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি সাবেক ডিআইজি এম আকবর আলি খান, মহাসচিব সাবেক এসপি মিয়া লুৎফর রহমান, সদস্য সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা, সাবেক এসপি আবদুর রহমান প্রমুখ।
পরে ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ছয় দফা দাবি জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। প্রতিবাদলিপিতে উল্লিখিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন, উপহাইকমিশনসহ সব বাংলাদেশি স্থাপনার সুষ্ঠু নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। শেখ হাসিনার সব অপতৎপরতা বন্ধ এবং চাহিবামাত্র তাঁকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দিতে হবে। সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে হবে। হাসিনা-মোদির গোপন চুক্তি থাকলে তা প্রকাশ ও ট্রানজিট, বিদ্যুৎসহ সব বৈষম্যমূলক চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নয়ন করে দেশেই বিশ্বমানের স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ১৫ বছর ধরে অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশে গণতন্ত্র হত্যা ও মাফিয়া রাজত্ব প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করে এসেছে। আর অন্যায়ভাবে হাতিয়ে নিয়েছে বহু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুবিধা। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে আশ্রয় এবং তাঁকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়ে ভারত সরাসরি বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারতীয় মিডিয়াগুলোয় বাংলাদেশ সম্পর্কে ভিত্তিহীন নেতিবাচক অপপ্রচার চলছে। সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত আক্রমণ ও অত্যাচারের কাল্পনিক কাহিনি প্রচার করা হচ্ছে। অথচ এ দেশে স্মরণাতীতকাল থেকে হিন্দু-মুসলমানসহ সব সম্প্রদায় সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছে। আর কলকাতা এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশের উপ ও সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে ভারত সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়, ভারত বৈরিতামূলকভাবে বাংলাদেশের মানুষের জন্য ভিসা প্রদান বন্ধ রেখেছে। অন্যদিকে ভারতীয় অনেক হাসপাতাল বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন, ভারতীয় এসব কুপ্রতিবেশিতা আমাদের চেয়ে ভারতের ক্ষতি করছে বেশি।