সিলেটের সীমান্তঘেঁষা ভারতের মেঘালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ইসহাক আলী খান পান্না গতকাল মারা গেছেন। তার মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য রহস্য সৃষ্টি করেছে। কেউ বলছেন, পান্না বিএসএফের গুলিতে মারা গেছেন, আবার কেউ বলছেন, পাহাড় থেকে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
একটি সূত্র জানায়, ভারতে প্রবেশের পর শুক্রবার মধ্যরাতে মেঘালয়ের শিলং পাহাড়ে ওঠার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে তার লাশের এক পাশে জমাট রক্ত দেখা যায়। তার পায়েও রক্তের দাগ দেখা গেছে। তবে শরীরের দৃশমান অংশে (বুক, মুখ ও হাত-পায়ে) গুলি বা আঘাতের চিহ্ন নেই।
সূত্র জানায়, সীমান্ত পার হয়ে শুক্রবার রাত ১২টায় মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের একটি পাহাড়ে ওঠেন তিনি। পাহাড় পার হয়ে ওপারে যাওয়ার চেষ্টার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এতেই তার মৃত্যু ঘটে। তবে পান্নার ভাগনে কাউখালী উপজেলার চিড়াপাড়া সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লাইকুজ্জামান তালুকদার মিন্টু জানান, তার মামা পান্না গতকাল সকালে শিলংয়ে একটি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে কবে, কখন, কীভাবে তিনি শিলং পৌঁছেছেন এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, ৫ আগস্ট থেকে পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ইসহাক আলী খান পান্না ১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হন। ওই সময় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছিলেন সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। পেশাগত জীবনে বিমা কোম্পানি ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারমান ছিলেন পান্না।
২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পর দলের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এবং পরে বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হয়েছিলেন।