বউ নিয়ে বিরোধে বর্তমান স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খারাকান্দি মহল্লায়। নিহত আকবর খয়রাতির বাড়ি ভাঙ্গা পৌরসভার হাজরাহাটি মহল্লায়। তিনি শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। সাবেক স্বামী তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা পৌরসভার খারাকান্দি মহল্লার আবদুল হাইয়ের মেয়ে আসমা আক্তারের ২৩ বছর আগে একই মহল্লার রমজান মাতুব্বরের সঙ্গে বিয়ে হয়। আট বছর সংসার করে এ দম্পতি। এ সময় তাদের একটি পুত্রসন্তান হয়। এরপর গত ১৫ বছর আগে আসমা আক্তার আগের স্বামী রমজানকে তালাক দিয়ে পাশের হাজরাহাটি মহল্লার আকবরকে বিয়ে করে বাবার বাড়িতে বাস করছিলেন। আকবর শ্বশুরবাড়ির পাশেই মুদিদোকান করতেন। এ ঘরে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। ভাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি আসমার আগের স্বামী রবিবার দুপুর ১টার দিকে বর্তমান স্বামীর মুদিদোকানে এসে আকবরকে হাতুড়ি দিয়ে প্রথমে পেটায়। একপর্যায়ে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। গুরুতর আহত আকবরকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকালে তার মৃত্যু হয়। আসমা আক্তারের আগের পক্ষের এক ছেলে ও পরের পক্ষের এক কন্যাসন্তান রয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাড়িতে আনা হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সহকারী আক্তার হোসেন বলেন, গুরুতর আহত ব্যক্তির বাম কানের পাশে কোপ ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান বলেন, যতটুকু জেনেছি খারাকান্দি মহল্লার আসমা নামক এক নারী প্রথমে রমজান নামক একজনকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে আকবর নামে একজনকে বিয়ে করে। ৩-৪ বছর আগে সাবেক স্বামী রমজান পুনরায় আসমাকে নিয়ে চলে যায়। এরপর বর্তমান স্বামী তার লোকজন নিয়ে পুনরায় আসমাকে নিয়ে আসে। এর জের ধরেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।