গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজশাহী বিভাগে থানা ও পুলিশ ফাঁড়িগুলোতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় নিখোঁজ বা লুট হওয়া ৯২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রায় সাড়ে ১২ শ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে দেড় হাজারের কাছাকাছি অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রভাবশালীরা ব্যবহার করতেন। সেই সঙ্গে সন্ধান নেই ১১ হাজারের বেশি গোলাবারুদেরও। তবে প্রশাসন বলছে, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে, কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসের তথ্যমতে, গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত ৩৪৯টি অস্ত্রের মধ্যে ২৫৯টি উদ্ধার হয়েছে। তবে এখনো হদিস মেলেনি ৯০টির। লুণ্ঠিত ১৬ হাজার ৮২২টি গোলাবারুদের মধ্যে উদ্ধার হয়েছে ৫ হাজার ৭৯৫টি। এখনো ১১ হাজার ২৭টি গোলাবারুদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লাইসেন্সকৃত ২ হাজার ২৭৯টি অস্ত্রের মধ্যে জমা পড়েছে ১ হাজার ১৩১টি। এখনো উদ্ধার করা যায়নি ১ হাজার ১৪৮টি। রাজশাহী রেঞ্জের অ্যাডিশনাল ডিআইজি (অপারেশনস) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লুট করা অস্ত্র ও গোলাবারুদ থানায় ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।