বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, ছাত্র-জনতা হত্যাকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনার বিচার করা হবে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিশ্বের যে প্রান্তে, যেখানে গিয়েই লুকিয়ে থাকুক না কেনো, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে জাতির সামনে বিচার করা হবে।
আজ শনিবার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রূপনগর ও ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় (তিনটি পরিবার) মো. আনোয়ার, মো. মোমেন ও যুবদল নেতা মহিউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক উত্তরা থানা বিএনপির নেতা হাজী মোস্তফা জামান, আখতার হোসেন, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা হাজী মো. ইউসুফ, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী আকবর আলী, মাহাবুব আলম মন্টু, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব কামরুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন ফরিদ আহমেদ, প্রচার সম্পাদক আহসানুল হক চৌধুরী, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নূর সালাম, রূপনগর থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, আশরাফুল ইসলাম, ইউসুফ মাদবর, ৭নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরান মুন্সিসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে যেভাবে গুলি করে ছাত্র জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে, গত ১৭ বছরে যত গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে এবং এই হত্যা ও গুম খুনের পরিকল্পনার সাথে যারা জড়িত তাদের প্রত্যেকের বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৭ বছর বাংলাদেশের মানুষ সত্য কথা বলতে পারেননি। সাংবাদিক ভাইয়েরা তারা সত্য কথা প্রকাশ করতে পারেননি। আপনি আমি সত্য কথা বললেই আমাদের মামলা, হামলা, নির্যাতন, নিপীড়ন ও রিমান্ডের নামে শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের দেশ আজ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা সত্য কথা বলতে পারছি। স্বাধীন ভাবে চলতে পারছি। এটাই হচ্ছে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।
আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করছি উল্লেখ করে, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, এতো বছর এ দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এবং সেই সরকার জনগণের কথা মতো চলবে। বাংলাদেশের জনগণের কাছে থাকবে তার জবাবদিহিতা।
স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের দোসররা এখনও বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা আর কোন দুর্নীতিবাজ, লুটতরাজ, দখলদারি স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশে আসুক তা দেখতে চাই না, বাংলাদেশে আর কোন স্বৈরাচারের স্থান নেই। স্বৈরাচার মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় তার পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এলাকায় ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ধারাবাহিক কর্মসূচি এটি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত