বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেছেন, স্বৈরাচারী করে কোনো সরকার টিকে থাকতে পারে না। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন তার প্রমাণ। তাই হাসিনার পালানোর পরও যেসব আওয়ামী লীগের কর্মীরা দেশে আছেন তারা দুধ দিয়ে গোসল করে তওবা করে আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিন। কারণ নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস পুরনো। নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে যে নেত্রী পালিয়ে যায় তার জন্য কান্নাকাটি করে লাভ কি?
বুধবার সন্ধ্যায় নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খায়রুল কবির খোকন।
খায়রুল কবির খোকন বলেন, ৭১’র ২৫ শে মার্চ কালো রাত্রীতে পাক বাহিনীরা যখন নিরস্ত্র বাঙালির উপর হামলা করেছিল, তখন ৩২ নাম্বারে বসে শেখ মুজিবও সেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানে পালিয়ে গেছেন। তাদের রয়েছে পালানোর ইতিহাস। আর বিএনপির আছে বিজয়ের ইতিহাস। আওয়ামী লীগের দোষররা যদি পুনরায় বাংলাদেশে আসতে চায় বাঙালি তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ আর রাজনীতি করতে পারবে না। ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করতে প্রস্তাব এসেছে। তাছাড়া তারা গণহত্যাকারী হিসেবে বাংলাদেশে রাজনীতি করার নৈতিকতা হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ চায় দ্রুত নির্বাচন, কারণ দেশের জনগণ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তাদের নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে নাই। তাই দেশের জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কাছে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন চায়। নয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে অশুভ শক্তি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
নজরপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সালেহ চৌধুরী, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, কামরুল পাঠান, ইলিয়াস ভূঁইয়া, কবির ভূঁইয়া, আব্দুর রউফ ফকির রনি, মোকারম ভূঁইয়া, জাহিদুল কবির ভূঁইয়া, আওলাদ হোসেন মোল্লা, ছাত্রদল সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ সহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মী বৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত