পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাহাড় ও টিলা কর্তনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ধস, বন্যা, জলাবদ্ধতা, পরিবেশ দূষণ, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও ভূমিক্ষয়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।
এ বিধ্বংসী কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধ করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ১৯ জেলার জেলা প্রশাসকদের সাথে জুম প্লাটফর্মে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষ হতে যুক্ত হয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সভায় উপদেষ্টা আরও বলেন, পাহাড় কাটার ফলে স্থানীয় জনগণের জীবনমানের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।
তিনি বলেন, উন্নয়নের নামে পাহাড় কর্তন করা যাবে না। প্রতিটি জেলায় পাহাড়ের তালিকা প্রস্তুত করে পাহাড় কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নিতে পারে।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, পাহাড় কাটা রোধে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করতে হবে।
তিনি বলেন, পাহাড় রেখেই উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদফতর যৌথভাবে পাহাড়ের তালিকা করতে পারে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন বিভাগের কমিশনার এবং ১৯ জেলার জেলা প্রশাসক উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসকরা তাদের অঞ্চলে পাহাড় কাটার বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন।
বিডি প্রতিদিন/একেএ