ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছেন ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আটক ওই নেতার নাম চন্দন কুমার পাল (৭১)। তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আটক চন্দন কুমার পাল শেরপুর জেলা সদরের পুরাতন গোহাটি গ্রামের দ্বিজেন্দ্র চন্দের ছেলে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আটকের পর তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া।
ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে চন্দন কুমার পাল স্বীকার করে জানান, তিনি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ১৯৯৬ সালে শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির এপিপি ছিলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ওমর ফারুক মজুমদার জানান, গোপন খবরে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি ইমতিয়াজ ভুইয়া জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে যেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা ভারতে যাচ্ছেন তাদের গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ডেস্কে দায়িত্বরত অফিসাররাও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত কোনো এমপি-মন্ত্রী এবং দলীয় নেতা-কর্মী যেন পালিয়ে যেতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।