শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে আস্থা বাড়ছে

দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১৯৮০-র দশকের গোড়ার দিকে। ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ খাত হিসেবে বিকশিত হয়েছে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর তুলনায় বেশি লাভজনক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূল নীতিগত সহায়তা। এসব প্রতিষ্ঠান জনগণকে আর্থিক ব্যবস্থার মধ্যে আনার পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে অবদান রাখছে। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও জনজীবনে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা এক বিশাল প্রাতিষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়েছে। ইসলামিক ব্যাংকিং আজ এ দেশের আর্থসামাজিক জীবনের এক অনিবার্য বাস্তবতা। দেশের আর্থিক খাতে ও দৈনন্দিন জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ১০টি পরিপূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক, ২৭টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩০টি ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও ৬১৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং ‘উইন্ডো’ সমন্বয়ে পরিচালিত হচ্ছে ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম। দেশের ১২ কোটি গ্রাহকের আর্থিক অংশীদার হিসেবে শরিয়াহভিত্তিক আর্থিক লেনদেন ও কল্যাণের প্রাতিষ্ঠানিক সত্তা নিয়ে সারা দেশে কাজ করছে। পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকের ১৬৭২টি শাখা, ১৫টি প্রচলিত ব্যাংকের ৩১টি শাখা এবং ১৬টি প্রচলিত ব্যাংকের ৬৪৬টি উইন্ডো দেশে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। মাত্র চার দশকে ইসলামিক ব্যাংকিং বিভিন্ন খাতে, বিভিন্ন সূচকে এবং মূলধন শেয়ার বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের ২৬ শতাংশ, মোট আমদানি বাণিজ্যের ২৬ শতাংশ, রপ্তানি বাণিজ্যের ২৪ শতাংশ, রেমিট্যান্সের ৩৯ শতাংশ, শিল্প-বিনিয়োগের ২৭ শতাংশ, কৃষি বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পের ৩৮ শতাংশ পরিচালিত হচ্ছে দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলোতে। এ অর্জন শুধু সূচকের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; রীতিমতো বিস্ময়করও। জনসাধারণের ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি গভীর অঙ্গীকার ও অগ্রাধিকারেরই পরিচয় বহন করে। সেই অর্থে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, বৈধপথে রেমিট্যান্স আনা, দারিদ্র্যবিমোচন ও আত্ম-কর্মসংস্থান, পল্লী ও কৃষি বিনিয়োগ, ইসলামী মূলধন বাজার, ইসলামী বিমা বা ‘তাকাফুল’, নিরাপত্তা সঞ্চয়, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য- প্রভৃতির নিরিখেও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

জনগণের ব্যাপক আগ্রহ থাকায় অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে মোট আমানত ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকায় পৌঁছায়। বিনিয়োগ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ২২১ কোটি টাকা। এ ছাড়া, আইডিআর দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৯২ ও অতিরিক্ত তারল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫২৫ কোটি টাকা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, গত মার্চ পর্যন্ত ইসলামিক ব্যাংকিং খাতে মোট আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪০ হাজার ৪২৭ কোটি টাকা। প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা ও উইন্ডোগুলোর আমানতের পরিমাণ ৪২,৩৫৩ কোটি টাকা, যা মোট ইসলামী ব্যাংকগুলোর আমানতের ৯.৬%। ২০২৩ সালের হিসাবে, দেশের মোট ব্যাংকিং খাতের সম্পদের ২৫ শতাংশেরও বেশি ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার অধীনে। মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার কল্যাণকর বৈশিষ্ট্যের অন্যতম প্রধান ক্ষেত্র হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার উদারনৈতিক বহিঃপ্রকাশ। ইসলামিক ব্যাংকিং পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের আর্থসামাজিক মঙ্গলের নেপথ্যে নিত্যক্রিয়াশীল। এর কল্যাণকর সেবাকার্যক্রমও তেমনি সামাজিক দায় পালনের এক বড় ধরনের দৃষ্টান্ত। শিক্ষার বিকাশ, প্রযুক্তি শিক্ষার ব্যাপকতা এবং আত্ম-কর্মসংস্থানমুখী দক্ষতা অর্জনে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সংকট মোকাবিলা ও টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা মূল চাবিকাঠি। এর জন্য অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ, স্বাধীন নিরীক্ষা ও স্বচ্ছ রিপোর্টিং পদ্ধতি বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইসলামী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা দেখতে শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা ও স্বাধীনতা বাড়ানো প্রয়োজন। সুশাসন বাড়াতে, ঝুঁকি আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে ও জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক, ব্যাংক ও অংশীদারদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে ইসলামিক ব্যাংকিং আইন প্রয়োজন। বর্তমান সংকট কাটিয়ে উঠে এ খাত অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

২০০২ সালে ইসলামিক ব্যাংকিং পরিচালনা ও সমন্বয়ে এই শীর্ষ এবং জাতীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শরিয়াহ বোর্ড গড়ে তোলা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংকগুলোর শরিয়াহ ‘কমপ্লায়েন্স’ সুষমভাবে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালিত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিত করাই শরিয়াহ বোর্ডের প্রধান কাজ। এর আগে ১৯৯৫ সালে ‘ইসলামী ব্যাংকস কনসালটেটিভ ফোরাম’ গঠিত হয়। এই সংস্থা ইসলামী ব্যাংকগুলোর স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্টতাকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী (রেগুলেটরি) সংস্থাগুলোর নিয়মনীতি, বিধিবিধান এবং চাহিদার মধ্যে সমন্বয় সাধন নিশ্চিত করে। ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতি নানা দার্শনিক ও ব্যাংকিং কৌশলগত বিবেচনায় বিশ্বব্যাপী এক নতুন আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণা এবং সেই অভিনব ধারণার প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপায়ণের একটি অগ্রসরমান, নিত্য-বিবর্তনশীল, বহুমুখী এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক কৌশল।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন কল্যাণমুখী, অংশগ্রহণমূলক ও সামাজিক সুবিচার-অভিমুখী ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক পরিচালিত ইসলামিক ব্যাংকিং ধারা আরও নিবিড়ভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার সব লক্ষণ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ এবং আনুকূল্যগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক ব্যবস্থার সুদমুক্ত মূলভিত্তি, সততা, নৈতিক মূল্যবোধ, শরিয়াহ অনুশাসন এবং সেগুলো কঠোরভাবে প্রতিপালনের জন্য নিজ নিজ ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় শরিয়াহ অ্যাডভাইজরি বোর্ডের নৈতিক প্রহরা এবং অভিভাবকত্ব। যে জনপ্রিয়তা এবং গণ আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি অভিনব আর্থিক ব্যবস্থাপনার ধারণাকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কাঠামোগত রূপ প্রদানে সমর্থ হয়েছে এবং নবীন ব্যাংকারদের দক্ষতা ও প্রবীণ ব্যাংকারদের অভিজ্ঞতার মিশেলে এই সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এতগুলো বছর অবধি নিয়ে এসেছে, সেই ধারা আর মাত্র একটি দশক চলমান রেখে এর সঙ্গে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে পারলে ইসলামী ব্যাংকগুলো এবং ইসলামিক ব্যাংকিং গোটা দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আমূল রূপান্তর ঘটাতে পারবে।

ব্যাংকিং বাজারে প্রবল উপস্থিতি, গ্রাহক আস্থার ফলে বিপুল আমানত, বিনিয়োগ, রেমিট্যান্স এবং সব বিধান মেনে চলার মধ্য দিয়ে অর্জিত ‘রেগুলেটর’ বা নিয়ন্ত্রকদের বিশ্বাস এবং আস্থা মাত্র চার দশকের মধ্যে একটি পরীক্ষামূলক ব্যাংকিং ‘টুল’ থেকে আজ ইসলামিক ব্যাংকিংকে একটি পরিপূর্ণ আর্থ-সামাজিক তত্ত্ব, বাস্তব ও নৈতিক ধারণায় উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এ বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডি মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, তৈরি পোশাক, পরিবহন, আবাসন, চামড়া ও চিংড়ি, শিক্ষা-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। একইভাবে ইসলামী ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত পরিসম্পদ, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ, ক্ষুদ্র ও কৃষি বিনিয়োগ, দারিদ্র্যবিমোচন,  আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা আনয়ন, ইসলামী মূলধন বাজারের বিকাশ, নৈতিক ব্যাংকিং, বিনিয়োগ বৈচিত্র্য প্রভৃতির নিরিখে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের অবদান বিশেষভাবে মূল্যায়নযোগ্য। আমানত, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহের ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ভূমিকা বিস্ময়কর,  যা এ ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থার বহিঃপ্রকাশ। এ ছাড়া ইসলামী ক্রেডিট কার্ড, এটিএম, সিআরএম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল ব্যাংকিং নানা সেবার মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সফল অংশীদার।

 

ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের উদ্ভব ও বিকাশ

১৯৭৪ সালে জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ওআইসির অর্থমন্ত্রীদের সম্মেলনে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) চার্টার গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকার ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে সেই চার্টারে স্বাক্ষর করে।

ইসলামের সূচনালগ্ন থেকেই ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা তথা ইসলামী নীতিমালার ভিত্তিতে ব্যবসা-বাণিজ্য, ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেন পরিচালিত হয়ে আসছে। তবে কোনো খলিফা বা মুসলিম অর্থমন্ত্রী এর প্রচলন করেননি। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকেই ‘ব্যাংক’কে আকর্ষণীয় ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা গবেষণা শুরু করেন। তবে তা সমাজে প্রচলিত হতে লেগে যায় ৬০০ বছর! অর্থাৎ ব্যাংকের ‘ইসলামী রূপ’ পাওয়ার ইতিহাস মাত্র ৫০-৬০ বছরের।

প্রথমে অর্থ জমানোর বেশকিছু ‘আধুনিক’ প্রয়োজন, যেমন- হজের টাকা জমানোর মতো প্রয়োজন সামনে রেখে শুরু হয় ‘ইসলামী’ ঘরানার সঞ্চয় পদ্ধতি। ১৯৬২ সালে মালয়েশিয়ায় ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ হজের জন্য সঞ্চয় গ্রহণের উদ্দেশ্যে সুদমুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়। তারা মুসলিমদের কিস্তিতে টাকা জমানোর সুযোগ দিত। তবে কোনো ধরনের সুদ দিত না। তৎকালীন স্বাভাবিক ব্যাংকিংয়ে ব্যাংকগুলো ‘আমানত’কারীদের সুদ দিত। সে হিসাবে ‘পিলগ্রিমস সেভিংস করপোরেশন’ আলাদা ছিল না। তবে পরীক্ষামূলকভাবে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের ধারণা বাস্তবায়ন করা হয়েছিল মিসরের ‘মিট ঘামর’ এলাকায় ১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সালে। যার অনুপ্রেরণা ছিল জার্মান সেভিংস ব্যাংক। তাদের সাফল্য দেখে সে আদলে মিসরের মিট ঘামার এলাকার ব্যাংক প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন ড. আহমদ আল নাজ্জার। কিন্তু সেখানকার মানুষ ছিল ধর্মভীরু মুসলিম। তাই তারা টাকা-পয়সা ব্যাংকে জমা রাখত না। এ অবস্থায় ব্যাংক উদ্যোক্তার চ্যালেঞ্জ ছিল- মানুষকে টাকা জমানোর মর্ম বোঝানো ও ইসলামী মূল্যবোধ ধরে রাখা। ওই ব্যাংকটিতে তখন তিন ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হতো-সেভিংস অ্যাকাউন্ট, ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্ট ও জাকাত অ্যাকাউন্ট।

১. যারা সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকা জমা রাখত, তাদের সুদ বা মুনাফা দেওয়া হতো না, কিন্তু তারা যখন চাইবে তখন টাকা তুলতে পারবে। তাদের ছোট, স্বল্পমেয়াদি সুদবিহীন ঋণ দেওয়া হতো।

২. ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ তোলায় ছিল কড়া নিয়ম, চাইলেই টাকা তোলা যেত না। যা শরিয়ার অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা হতো।

৩. জাকাত অ্যাকাউন্টের অর্থ শরিয়া অনুযায়ী গরিবদের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হতো।

প্রথম চার বছরে এই ব্যাংক অনেকটা সাফল্য পায়। তারা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে। প্রথম তিন বছর তারা ৬০ শতাংশ ঋণের আবেদন নাকচ করে। ফলে কোনো দেউলিয়া, ঋণখেলাপি হয়নি। যদিও পরবর্তীকালে ড. আহমদ আল নাজ্জারের ‘মিট ঘামর ব্যাংক’ রাজনৈতিক ও অন্যান্য কারণে বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তার এ ধারণা দিয়ে যায় ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ ধরে রেখে ব্যাংকিং সম্ভব। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ কর্মসূচি ‘Sturactural Adjustment Programme’-এর আওতায় মুসলিম দেশগুলোর সরকার ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে অনুমোদন দেওয়া শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন শামি’য়াল দারভিশ, আব্বাস মীরাখান ও মহসীন খান, যারা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। সৌদি আরবের জেদ্দায় ১৯৭৩ সালে প্রথম ইসলামী অর্থসংস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা হয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে পাকিস্তানে বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে।  ১৯৭৫ সালে সৌদি আরবে যাত্রা করে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। তাদের হাত ধরে ইসলামী ব্যাংক  দ্রুত বিস্তার লাভ করে। পরবর্তীকালে কুয়েত, ইরান, আম্মান, জর্ডান, সেনেগাল, বাহরাইন, পাকিস্তান, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশে ইসলামিক ব্যাংকিং শুরু হয়।

 

ব্যাংকিংয়ের ইতিহাস

বিনিময় প্রথার অবসানের মাধ্যমে প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা। তখন ব্যাংকিং বলতে মূলত অর্থ (কয়েন ও স্বর্ণ) জমা রাখা ও ঋণ আদান-প্রদানকে বোঝানো হতো। আর এই ব্যবস্থার প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় রোমান সাম্রাজ্য। একইভাবে বিশ্বে ব্যাংকিংয়ের বিস্তারে ভূমিকা রাখে ইউরোপের ধনী সম্প্রদায়।

ব্যাংক ব্যবস্থার প্রচলন হয়েছিল মুদ্রাব্যবস্থার সঙ্গেই। মুদ্রাব্যবস্থার আগে প্রাচীন মানুষ নিজেদের মাঝে বিনিময় প্রথার মাধ্যমে লেনদেন করত। তবে বিনিময় প্রথায় নানা অসংগতি ও অসুবিধার কারণে মুদ্রাব্যবস্থার প্রচলন ঘটে। আর তৎকালীন ধনীরা বুঝতে পারেন, নিজেদের বিপুল পরিমাণ অর্থসম্পদ গচ্ছিত রাখার জন্য একটি নিরাপদ স্থান প্রয়োজন। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজ্যের প্রধানরা নিজেদের রাজ্যে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য পরিচালনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও ট্যাক্স কালেকশনের জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার প্রয়োজনবোধ করে। ফলস্বরূপ, আবিষ্কার হয় ব্যাংকিং পদ্ধতি। সংক্ষেপে রইল ব্যাংকিং ব্যবস্থার ইতিহাস।

► প্রায় ৮০০ থেকে ৬০০ খ্রিস্টপূর্বে কয়েন ব্যবস্থা পৃথিবীর বেশির ভাগ অঞ্চলে প্রচলিত হয়ে ওঠায় বিনিময় প্রথার সমাপ্তি ঘটে।

► রোমানদের ব্যাংকিং সিস্টেম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ইউরোপের রাজারা নিজেদের সাম্রাজ্যে এই ব্যবস্থার প্রচলন করেন।

► খ্রিস্টপূর্ব ৩২১ থেকে ১৮৫ সালে ভারতে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের শাসনামলে ‘আদেশা’ নামক একটি ব্যাংকিং দলিলের সন্ধান পাওয়া যায়।

► ১৯৬০-র দশকে অটোমেটেড টেলার মেশিন বা এটিএম প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয় এবং দশকের শেষের দিকে অনেক ব্যাংক নিজের এটিএম স্থাপন করে।

এই বিভাগের আরও খবর
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশীদার শরিয়াহ ব্যাংক
দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের অংশীদার শরিয়াহ ব্যাংক
অর্থনৈতিক-সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের সমন্বয় করে
অর্থনৈতিক-সামাজিক ও নৈতিক উন্নয়নের সমন্বয় করে
আমানত-বিনিয়োগ এবং মুনাফায় ইসলামিক ব্যাংকিং সুপরিচিত নাম
আমানত-বিনিয়োগ এবং মুনাফায় ইসলামিক ব্যাংকিং সুপরিচিত নাম
সাইবার সিকিউরিটি টিপস
সাইবার সিকিউরিটি টিপস
ঋণখেলাপি ঠেকাবে ইসলামিক ব্যাংকিং
ঋণখেলাপি ঠেকাবে ইসলামিক ব্যাংকিং
ব্যাংক খাতে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে
ব্যাংক খাতে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রতি সব মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে
ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের প্রতি সব মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে
আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে
আধুনিক শিক্ষা ও গবেষণায় এগিয়ে
দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য
দক্ষ গ্র্যাজুয়েট গড়ার লক্ষ্য
মানসম্মত শিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
মানসম্মত শিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান
লক্ষ্য দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষস্থান
স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি
স্মার্ট গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য অবদান রাখছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি
সর্বশেষ খবর
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চীরনিদ্রায় শায়িত হবেন কবি হেলাল হাফিজ
বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চীরনিদ্রায় শায়িত হবেন কবি হেলাল হাফিজ

১ মিনিট আগে | জাতীয়

চুলের যত্নে ঘরোয়া টোটকা
চুলের যত্নে ঘরোয়া টোটকা

১৪ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান আসিফ নজরুলের
দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ কাজে লাগানোর আহ্বান আসিফ নজরুলের

১৫ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করল সুইজারল্যান্ড
ভারতকে দেওয়া বিশেষ সুবিধা বাতিল করল সুইজারল্যান্ড

১৬ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পতিত স্বৈরশাসক মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দলীয়করণ করেছিলো: সালাম
পতিত স্বৈরশাসক মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের দলীয়করণ করেছিলো: সালাম

১৬ মিনিট আগে | রাজনীতি

গোপালগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন
গোপালগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন

২০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্মার্টফোনে ১০০ শতাংশ চার্জ করা কি ঠিক?
স্মার্টফোনে ১০০ শতাংশ চার্জ করা কি ঠিক?

২৬ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে দারুচিনি-গোলমরিচ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে দারুচিনি-গোলমরিচ

২৭ মিনিট আগে | জীবন ধারা

ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ৯৩ মিসাইল ও ২০০ ড্রোন হামলা রাশিয়ার
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ৯৩ মিসাইল ও ২০০ ড্রোন হামলা রাশিয়ার

২৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উল্লাপাড়ায় নারী জাগরণে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ
উল্লাপাড়ায় নারী জাগরণে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ

৩৬ মিনিট আগে | বসুন্ধরা শুভসংঘ

ফোনের ফটোগ্যালারির জায়গা বাড়াবেন যেভাবে
ফোনের ফটোগ্যালারির জায়গা বাড়াবেন যেভাবে

৪২ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তারাকান্দায় পুষ্পস্তবক অর্পণ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে তারাকান্দায় পুষ্পস্তবক অর্পণ

৪৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কিশোরগঞ্জে চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা
কিশোরগঞ্জে চোর সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

স্যাটেলাইটে ধরা পড়লো ইরানের নতুন ড্রোন ক্যারিয়ার
স্যাটেলাইটে ধরা পড়লো ইরানের নতুন ড্রোন ক্যারিয়ার

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে ১৫ সিনেমা হলে দেখা যাচ্ছে ফারুকীর ‘৮৪০’
যে ১৫ সিনেমা হলে দেখা যাচ্ছে ফারুকীর ‘৮৪০’

৫৯ মিনিট আগে | শোবিজ

শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
শরীয়তপুর-চাঁদপুর রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

১০ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকালেন হেনড্রিক্স
১০ ছক্কায় সেঞ্চুরি হাঁকালেন হেনড্রিক্স

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ফের অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
ফের অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কুষ্টিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা
কুষ্টিয়ায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভা

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

'প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা কিংবা সক্ষমতা কোনটিই আওয়ামী লীগের নেই'
'প্রতিবিপ্লব করার ক্ষমতা কিংবা সক্ষমতা কোনটিই আওয়ামী লীগের নেই'

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল ভারত
টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল ভারত

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন হবে : আশাবাদ মির্জা ফখরুলের
জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন হবে : আশাবাদ মির্জা ফখরুলের

১ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

মায়ের গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, আটক ২
মায়ের গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, আটক ২

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বাইডেন!
অপরাধীদের ক্ষমায় রেকর্ড করলেন বাইডেন!

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কৃষক দলের আলোচনা সভা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে কৃষক দলের আলোচনা সভা

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র শেষ: কে কোন গ্রুপে
ইউরোপ অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র শেষ: কে কোন গ্রুপে

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

১ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে অনিশ্চিত এমবাপ্পে
ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের ফাইনালে অনিশ্চিত এমবাপ্পে

১ ঘন্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা

১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সুদানে হাসপাতালে আধা-সামরিক বাহিনীর হামলা, নিহত ৯
সুদানে হাসপাতালে আধা-সামরিক বাহিনীর হামলা, নিহত ৯

১ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
‌‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’
‌‘বেশি দরদ লাগলে হাসিনাকে ভারতের কোনো প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করুন’

১৬ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ
‘৮৪০’ সিনেমা দেখে যা বললেন শামা ওবায়েদ

১৯ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লোকসভায় যা বললেন জয়শঙ্কর
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে লোকসভায় যা বললেন জয়শঙ্কর

২ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কী উপকারী
ভিটামিন ই ক্যাপসুল কী উপকারী

২২ ঘন্টা আগে | জীবন ধারা

১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়
১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপি কার্যালয়

২০ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?
মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের দুর্বল হওয়া কি ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়?

১৯ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে
ইসরায়েল কেন সিরিয়ায় বেপরোয়া হামলা চালাচ্ছে

২৩ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৫ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার
‘পুষ্পা’খ্যাত অভিনেতা আল্লু অর্জুন গ্রেফতার

২২ ঘন্টা আগে | শোবিজ

আল্লু জামিন পেতেই ‘বিস্ফোরক’ কঙ্গনা
আল্লু জামিন পেতেই ‘বিস্ফোরক’ কঙ্গনা

৩ ঘন্টা আগে | শোবিজ

কীভাবে সব দোষ একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো : রাশমিকা
কীভাবে সব দোষ একজনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হলো : রাশমিকা

৩ ঘন্টা আগে | শোবিজ

জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই সহ্য করব না : অপর্ণা রায়
জাতীয় পতাকার অবমাননা কোনোভাবেই সহ্য করব না : অপর্ণা রায়

১৭ ঘন্টা আগে | নগর জীবন

শেখ হাসিনার আমলে উত্তরবঙ্গের সাথে অবিচার হয়েছে : সারজিস
শেখ হাসিনার আমলে উত্তরবঙ্গের সাথে অবিচার হয়েছে : সারজিস

২১ ঘন্টা আগে | জাতীয়

আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?
আল্লু অর্জুন কেন গ্রেফতার হলেন, কী বলছে এফআইআর?

২০ ঘন্টা আগে | শোবিজ

হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান
হারিয়ে যাওয়া আইনের শাসন গড়ে তুলতে হবে : তারেক রহমান

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু
ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু

১৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন
চেয়ারম্যান পদ থেকে ২ জনের প্রার্থিতা প্রত্যাহার, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৩ জন

২২ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী
বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী

১৫ ঘন্টা আগে | জাতীয়

সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া
সিরিয়ায় গম সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া

১৫ ঘন্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ
চলেই গেলেন ‘জলে আগুন জ্বালানো কবি’ হেলাল হাফিজ

২০ ঘন্টা আগে | জাতীয়

টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
টানা ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়

১৬ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ফিরছেন অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার
কুমিল্লা কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজে ফিরছেন অধ্যক্ষ নার্গিস আক্তার

১৮ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

অবশেষে জামিন পেলেন আল্লু অর্জুন, আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না
অবশেষে জামিন পেলেন আল্লু অর্জুন, আপাতত জেলে যেতে হচ্ছে না

১৭ ঘন্টা আগে | শোবিজ

বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার
বিএনপি নেতা ইকবালকে দল থেকে বহিষ্কার

১২ ঘন্টা আগে | দেশগ্রাম

মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা
মার্চে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু করতে চায় সরকার : অর্থ উপদেষ্টা

১৪ ঘন্টা আগে | জাতীয়

নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির
নারী-পুরুষের সমান নিরাপত্তা ও মর্যাদা পাবে : জামায়াত আমির

২০ ঘন্টা আগে | চায়ের দেশ

মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন
মেলেনি জামিন, ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে আল্লু অর্জুন

১৮ ঘন্টা আগে | শোবিজ

শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় আহত অপূর্ব, পাভেল ও ফারিণ
শুটিংয়ে দুর্ঘটনায় আহত অপূর্ব, পাভেল ও ফারিণ

১৮ ঘন্টা আগে | শোবিজ

‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়া নেতাদের ঠাঁই নেই’
‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দেওয়া নেতাদের ঠাঁই নেই’

১৭ ঘন্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি
হাজার কোটির সম্পদ নিউইয়র্কে তিন বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল
বন্ধ হচ্ছে সরাসরি জাহাজ চলাচল

পেছনের পৃষ্ঠা

আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন
আগে সংস্কার নাকি নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

অর্থনীতির গেম চেঞ্জার
অর্থনীতির গেম চেঞ্জার

প্রথম পৃষ্ঠা

বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা
বছরে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!
গচ্চায় ৯৭৪ কোটি টাকা!

প্রথম পৃষ্ঠা

নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক
নিন্দায় ৫৩ বিশিষ্ট নাগরিক

প্রথম পৃষ্ঠা

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে অবিচার হয়েছে

প্রথম পৃষ্ঠা

নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ
নিজ স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেবে বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য
জাতিকে মেধাশূন্য করাই ছিল উদ্দেশ্য

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসকনকে ‘জঙ্গি’ বলায় বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
ইসকনকে ‘জঙ্গি’ বলায় বিপাকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

পেছনের পৃষ্ঠা

জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ
জলে আগুন জ্বালিয়ে চলে গেলেন হেলাল হাফিজ

প্রথম পৃষ্ঠা

বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি
বোলিং ত্রুটির জন্য নিষিদ্ধ করল ইসিবি

মাঠে ময়দানে

নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
নতুন উদ্যমে বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

মশা নিধনের ওষুধ সংকট
মশা নিধনের ওষুধ সংকট

নগর জীবন

শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান
শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান

প্রথম পৃষ্ঠা

বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে
বহু মত ও পথের রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা
চিতই পিঠা বিক্রি করে মাসে আয় লাখ টাকা

শনিবারের সকাল

লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই
লক্কড়ঝক্কড় বাস চলছেই

প্রথম পৃষ্ঠা

মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত
মান্দারবাড়িয়া সমুদ্রসৈকত

নগর জীবন

কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

পেছনের পৃষ্ঠা

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সাহসী রুনা খান
সাহসী রুনা খান

শোবিজ

ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি
ভবন নির্মাণের প্ল্যান নিয়ে ভোগান্তি

নগর জীবন

চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস
চমক খুলনা জেলা বিএনপিতে নেতা-কর্মীদের উচ্ছ্বাস

নগর জীবন

সরকারের কাজে আমরা হ্যাপি
সরকারের কাজে আমরা হ্যাপি

নগর জীবন

দায়িত্ব ছাড়লেন পাকিস্তান টেস্ট দলের
দায়িত্ব ছাড়লেন পাকিস্তান টেস্ট দলের

মাঠে ময়দানে

নোভা ম্যাজিকে ফর্টিসের জয়
নোভা ম্যাজিকে ফর্টিসের জয়

মাঠে ময়দানে

প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ঘর দিল সেনাবাহিনী
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে ঘর দিল সেনাবাহিনী

নগর জীবন