শিরোনাম
প্রকাশ: ১৪:৫৮, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২০ আপডেট:

১৩তম পর্ব

বনবিহারী

আলম শাইন
অনলাইন ভার্সন
বনবিহারী

  মেঘলা অফিসের নিকটতম মৌজা সাগরমুখী। প্ল্যান্টের প্রধান অফিস থেকে ঘণ্টা তিনেকের পথ। যাতায়াত করতে হয় পায়ে হেঁটেই। শ্বাসমূলের কারণে সাগরমুখীর জঙ্গলে হেঁটে যাওয়ার অন্য কোনো উপায় নেই। ধীরে সুস্থে দেখেশুনে পা ফেলতে হয়, না হলে পায়ে খোঁচা লেগে ক্ষতবিক্ষত হতে পারে। অপরদিকে হাতির পিঠে চড়ে সাগরমুখী যাতায়াত করা মোটেই সম্ভব নয়, এক পা ফেলারও সুযোগ নেই হাতির। শ্বাসমূল না থাকলে ঘণ্টা দুয়েক বা আরও কম সময়ের মধ্যেই পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব হতো আমাদের।

  সাগরমুখীতে আমাদের শাখা অফিস কিংবা বাংলো কোনটাই নেই। কিছুটা কাছাকাছি বিধায় কাজকর্ম সেরে দিনের শেষেই চলে আসতে পারি। আর খুব বেশি প্রয়োজন হলে গাছে মাচাবেঁধে রাতযাপন করি। এই জঙ্গলে তাঁবু খাটানোরও সুযোগ নেই। জোয়ার-ভাটা অধ্যুষিত এলাকা বিধায় সবসময় মাটি থাকে স্যাঁতসেঁতে; পোকামাকড়েরও কমতি নেই। সাগরমুখী মৌজার অধিকাংশ গাছগুলো ম্যানগ্রোভ অরণ্যের গাছ। ওখানে বেশিরভাগই কেওড়া, গেওড়া, গরান, বাইন এসব গাছের সমাহার। ভেষজ গাছগুলো অপেক্ষাকৃত উঁচু জায়গায় লাগানো হয়েছে। আবার আমরা নিজেরাও মাটি ফেলে উঁচু ঢিবি বানিয়ে গাছপালা লাগিয়েছি। দু’টি কারণে উঁচু ঢিবি বানিয়েছি, প্রথমত: জোয়ারে যেন ভেষজ গাছের সমস্যা না হয়। দ্বিতীয়ত: হরিণসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীগুলো যাতে জোয়ারে নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারে ঢিবিতে ওঠে। কিন্তু তার পরেও হরিণের জন্য সাগরমুখী নিরাপদ নয়। অতিরিক্ত বর্ষণে কিংবা ভরা কাটালের জোয়ারে হরিণগুলোর খুব সমস্যা হয়। জোয়ারের জলে হরিণগুলোকে দূরে ভাসিয়ে নিয়ে গেলে দুষ্কৃতিকারিদের হাত থেকে আর রক্ষা পায় না ওরা।

  সাগরমুখী জঙ্গলের অবস্থান সমুদ্র সৈকত থেকে খানিকটা দূরে। তবে পূর্বদিকে সমুদ্র কাছাকাছি হলেও ওখান দিয়ে যাতায়াত করা মোটেও সম্ভব নয়। বরং মেঘলা মৌজা সমুদ্র সৈকতের সন্নিকটে, ফলে মন চাইলে পূর্ণিমারাতেও সৈকতে বিচরণ করতে পারি।

  বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহ। আমরা চারজন সাগরমুখী রওয়ানা দিয়েছি গোলপাতা কাটার তদারকি করতে। এ জঙ্গলের খাল পারে প্রচুর গোলগাছ জন্মে। মৌসুমে কোম্পানির বেশ টাকা উপার্জন হয় গোলপাতার মাধ্যমে। আমরা অবশ্য নিজেরা পাতা কাটি না, নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে দুই-একদিন সাগরমুখীতে আমাদের ব্যস্ত সময় কাটে তাই। সুন্দরবনের মতো এদিকে পেশাদার বাওয়ালি না থাকায় এখানকার গোলপাতাগুলো এলাকার বেপারীরা কিনে নেয়। তারা নিলামের মাধ্যমে কিনে লোকালয়ে বিক্রি করে বেশ টাকা উপার্জন করে, আমাদের কোম্পানিও লাভবান হয় তাতে। ফলে বছরের কয়েকটা দিন এখানে আমাদের সময় দিতে হয়, না হলে বেপারীর লোকেরা অনেক তছরুপ করে। নিয়মের চেয়েও বেশি পরিমাণে গোলপাতা কেটে নিয়ে যায়। অবাধে অন্যান্য গাছপালাও কেটে ফেলে, আবার সুযোগে হরিণ শিকারও করে। কাছাকাছি না থাকলে সামলানো দায়। হেড অফিসের নির্দেশে তাই গোলের মৌসুমে সাগরমুখীতে অবস্থান করতে হয়।

  সেদিন সকাল ১০টা নাগাদ মহব্বত দয়াল ও দুইজন শ্রমিকসহ সাগরমুখী যাত্রা করলাম। প্ল্যান্টের শ্রমিকদের ওখানে তেমন প্রয়োজন নেই। বেপারীদের লোকজনই গোলপাতা কেটে নৌকা বোঝাই করে নিয়ে যায়। আমরা শুধু দেখভাল করি, আর ব্যাংকে টাকা-পয়সা জমা হয়েছে কীনা তা নিশ্চিত করি। আমাদের এখানে নগদ টাকার কোন কারবার নেই। কাজেই কাগজপত্র সঠিক কীনা সেটাই নিশ্চিত করতে হয় সবার আগে।

  তারপরেও দুই-একজন শ্রমিককে সঙ্গে নিতে হয়, মাচা বাঁধতে অথবা রান্নাবান্নার কাজে মহব্বত দয়ালকে সহযোগিতা করার জন্যে।

  বৈশাখের খরতাপে দগ্ধ হয়ে আমরা বনের ভেতরের সরুপথ ধরে রওয়ানা দিয়েছি সাগরমুখীর উদ্দেশ্যে। বনপ্রান্তরে রোদের ঝিলিক না থাকলেও প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। ঠাঁসা গাছপালা, বাতাস বইতে পারছে না, ফলে ভ্যাপসা গরমে সিদ্ধ হয়ে এল সমস্ত শরীর। তার ওপরে হাঁটতেও বেগপেতে হচ্ছে, সতর্কতার সঙ্গে হাঁটতে হচ্ছে তাই। সামান্য এদিক-সেদিক হলে শ্বাসমূলের ওপর পা পড়তে পারে, সেটিও খেয়াল রাখতে হচ্ছে। না হলে পা কেটে যাওয়াও অসম্ভবের কিছু নয়।

  শ্রমিকদের হাঁটতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে; মাথায় বোঝা, রান্নাবান্নার তৈজষপত্র, খাবারজল, বিছানাপত্র ইত্যাদি নিয়ে হাঁটা চাট্টিখানি কথা নয়। অপরদিকে মহব্বত দয়ালের কাঁধে দোনালা বন্দুক, হাতে অন্যান্য সামগ্রী। আমার হাতে লাঠি, আর ছোট্ট একটা ব্যাগ। তাতেই আমি হাঁটতে হাঁপিয়ে উঠছি বারবার। আর শ্রমিকরা যে কী কষ্ট পাচ্ছে, তা না বুঝার কিছু নেই আমার। এত কষ্টের পরেও শ্রমিকরা সাগরমুখী আসতে উৎফুল্লবোধ করছে। তার কারণও আছে অবশ্য। সেটি হচ্ছে দৈনিক হাজিরা ছাড়াও আমি ওদেরকে ব্যক্তিগতভাবে কিছু অর্থকড়ি প্রদান করি সাগরমুখী এলে।

  আগেই বলেছি, প্ল্যান্ট থেকে প্রাপ্ত বেতনাদি আমি কখনো একাভোগ করিনি। খাবারদাবারের ব্যবস্থা কোম্পানি থেকে হওয়ায় সেটি ভোগ করছি সত্যি, তবে বেতনাদির বেশির ভাগই প্ল্যান্টের স্টাফদের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছি, কারণ আমার এসব ভোগ করার কেউ নেই জগতে। পূর্বেকার সরকারি চাকরি থেকে পেনশন বাবদ যে অর্থকড়ি পাচ্ছি তা মেয়ের নামে ডিপোজিট করে রেখেছি। যদি মেয়ে কখনো এদেশে আসে, তবে সে এই টাকার মালিক হবে। নচেৎ ...।

  ধীরগতিতে হাঁটছি আমরা। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি সবাই। অতিরিক্ত গরম না হলে এতটা ক্লান্ত হতাম না হয়তবা। একটু যে বসে কোথাও জিরিয়ে নিব তারও উপায় নেই। স্যাঁতসেঁতে মাটি, বসার জো নেই কোথাও। পরিস্রান্ত হয়ে মহব্বত দয়ালকে বললাম, ‘আর পারছি না, একটু বসার ব্যবস্থা কর।’
  
সে বলল, ‘বড়মিয়া আর পাঁচমিনিট হাঁটলেই শুকনা জায়গা পেয়ে যাব, সেখানেই জলখাবার খাবেন।’

 ‘ঠিক আছে, হাঁট তাহলে।’

  হাঁটতে হাঁটতে অল্প সময়ের মধ্যেই অপেক্ষাকৃত শুষ্ক জায়গার সন্ধান পেলাম। সেই জায়গা খানিকটা উঁচু, ছায়া শীতলও। উঁচু উঁচু গাছপালা, খালিশা গাছ প্রচুর, আর হরেক লতাগুল্মে ঠাঁসা। ফাঁকা জঙ্গল বিধায় সামান্য বাতাসও বইছে টের পেলাম। শরীর মন জুড়ানোর জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট কোন জায়গা বনপ্রান্তরে এ মুহূর্ত আর খুঁজে পেলাম না। এটি প্রকৃতির আশীর্বাদ মনে হলো আমার কাছে। ছায়া সুনিবিড় সুশীতল শুষ্ক এমন জায়গা সাগরমুখীর জঙ্গলে খুব একটা মিলে না। জোয়ার-ভাটার কারণে সমস্ত জঙ্গলই স্যাঁতসেঁতে, ফলে এখনকার জীববৈচিত্র্য যেমন ভিন্নতর, তেমনি চলাফেরা কিংবা বাসেরও অনুপযোগী।

  সাগরমুখীতে খেপাটে মহিষ নেই, শেয়াল কুকুরের উপদ্রব মাস দুয়েক আগেও ছিল, বিষ প্রয়োগের পর কিছুটা নিরাপদ। তবে এখানে প্রচুর বিষধর সাপ কিলবিল করছে। খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হচ্ছে তাই। সতর্ক হলে বিপদ এড়ানো সম্ভব, না হলে  মৃত্যু অবধারিত। সেরকম রোমাঞ্চকর একটি ঘটনাই জানাচ্ছি এখন।

  আমরা জিরিয়ে নিতে বসলাম খালিশা তলায়। খালিশা ভেষজগুণ সমৃদ্ধ একটি গাছ। এ গাছের ফুলের মধু সব সময়ই চড়া দামে বিক্রি হয়। সুন্দরবনে মৌয়ালদের কাছে তাই এই ফুলের মধুর কদর সবচেয়ে বেশি। দ্বীপ বনে মৌয়ালের সংখ্যা একেবারেই কম, ফলে এখানকার মধু আহরণও কম হয়। গাছের মধুচাক গাছেই থেকে যায় অনেক সময়, কেউ ভাঙে না। খুব বেশি মধু অবশ্য দ্বীপ বনে পাওয়াও যায় না। একেবারেই সামান্য, ফলে মৌয়ালদের যাতায়াত এখানে তেমন একটা নেই।

  এ সময় খালিশা গাছে প্রচুর ফুল আসে। খালিশার ফুটন্ত ফুল দেখতে ভারি চমৎকার; ধবধবে সাদা, আকারে ছোট। ফোটার আগে ফুলগুলো তত আকর্ষণীয় দেখায় না; গুচ্ছফুল, মাথা সুঁচের মতো। আমরা যেখানে বসে আছি, ঠিক ওই বরাবর মাথার ওপরে অসংখ্য মৌমাছির আনাগোনা লক্ষ্য করলাম; মধু আহরণে ব্যস্ত ওরা। গুনগুন সুরে গান গাচ্ছে, আর ফুলের পাপড়ির ওপরে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ওদের ব্যস্ত যাতায়াতে বারবার ফুলের গায়ে স্পর্শ লাগায় অসংখ্য পাপড়ি আমাদের মাথার ওপরে ঝরে পড়ছে। তাতে মনে হচ্ছে, কেউ বুঝি ফুল ছিটিয়ে আমাদের সাদর সম্ভাষণ যানাচ্ছে। এই কাঠফাটা গরমের এমনি এক মুহূর্তে কী যে ভালো লাগছিল তা ভাষায় ব্যক্ত করতে পারছি না আমি। পুষ্পস্নানে সিক্ত হতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ক্লান্তি দূর হয়ে গেল আমার। এরিমধ্যে মহব্বত দয়াল জলখাবার খেতে দিলো। পরিতৃপ্তির সঙ্গে খেয়েদেয়ে কিছুক্ষণ বসতেই আমার ঝিমুনি এসে গেল, চোখ বুজে আসছে ঘুমে। সেই মুহূর্তে আবার মহব্বত দয়াল ফ্ল্যাস্ক খুলে চা পরিবেশন করল। লেবু মিশ্রিত গরম আদা চা থেকে ভুরভুর করে ধুয়া উঠছে তখনো, চায়ের সেই মনমাতানো গন্ধে আমার ঘুম উধাও হয়ে গেল।

  চা পর্বও শেষ, আর দেরি নয়, অতিক্রম করতে হবে আরও দেড় ঘণ্টার পথ। গন্তব্যে গিয়ে দুই রাত কাটাতে হবে। সুতরাং গিয়েই আগে মাচা বাঁধতে হবে, তাছাড়া রান্নাবান্নার কাজ তো আছেই। শরীরের ক্লান্তি দূর হতেই হাঁটার গতি বাড়িয়ে দিলাম। পরিশেষে আর বিরতি না দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সাগরমুখী পৌঁছলাম।

  সাগরমুখী পৌঁছেই বেপারীদের সাক্ষাৎ পেলাম, তারা আগেভাগেই এসেছে, আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে এখন। আমাদের দেরি দেখে তারা বসে থাকেনি, বুদ্ধি করে তাদের শ্রমিকদেরকে দিয়ে দুই গাছে দু’টি মাচা বেঁধে রেখেছে। কারণ তাদের পূর্ব অভিজ্ঞতায় জানা আছে, সাগরমুখী এলে আমাদেরকে মাচায় রাতযাপন করতে হয়।

  বেপারীদের কাগজপত্র পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে ওদেরকে গোলপাতা কাটার অনুমতি দিলাম। পাশাপাশি সতর্ক করলাম কোন ধরনের তছরুপ যেন না করে। যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় ফি বছর গোলবনে তারা নিষিদ্ধ হবে, সেই নোটিশও দিয়ে রাখলাম। আবার চিতা হরিণের ব্যাপারেও কঠোর হঁশিয়ারি দিলাম, ভুলেও যেন বিরক্ত না করে, শিকার তো দূরের কথা।

  ওদেরকে কাজকর্ম বুঝিয়ে দিতেই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এই মুহূর্তে কাজ একটাই রান্নাবান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকা, আপাতত অন্য কোন কাজ নেইও আর। এখন সমস্যা হচ্ছে গোসলাদি নিয়ে, কারণ তখনো খালে জোয়ারের জল ঢুকেনি। আর কিছুক্ষণেই মধ্যেই জোয়ার আসবে, তখন গোসলের সুযোগ হবে। কিন্তু ততক্ষণে অস্থির লাগছে, ঘেমে নেয়েঅস্থির হওয়ায় গোসলাদি সারতে পারলেই যেন বাঁচি।

  ইতোমধ্যে মহব্বত দয়াল শুকনো উঁচু জায়গায় কেরোসিনের চুলা বসিয়ে আগুন জ্বালাল। আমাদের চারজনের রান্না, কেরোসিনের চুলাই যথেষ্ট। বনের মধ্যে মাটিখুঁড়ে চুলা বানানো যায় ঠিকই, কিন্তু মাটি স্যাঁতসেঁতে থাকায় আগুন জ্বলতে চায় না, তাই আমরা সঙ্গে করে কেরোসিনের চুলা নিয়ে আসি সবসময়।

  ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই রান্নাবান্না হয়ে গেল, সেই সুযোগে আমি গোসলাদি সেরে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরইমধ্যে বনে জোয়ারের জল ঢুকতে শুরু করছে, ধীরে ধীরে জল বাড়ছেও। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাঁটু সমান জলে নিমজ্জিত হয়ে যাবে সাগরমুখীর জঙ্গল। তখন স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যহত হবে আমাদের। বিশেষ করে খাবার-দাবার মাচার ওপরে বসেই খেতে হবে, বিকল্প আর কোন সুযোগ নেই এই মুহূর্তে।
  
বেপারীর লোকজনেরা আমাদের জন্য দু’টি মাচা বেঁধে রেখেছে আগেই, তাতে আমাদের কাজের চাপও কমেছে। পাশাপাশি তে-ডালার শক্তপোক্ত গাছ না পাওয়ায় মাচা দু’টি সামান্য দূরত্বের ভিন্ন গাছে বেঁধেছে ওরা। তবে খুব বেশি দূরে নয়, কাশির আওয়াজ শুনা যায় অমন দূরত্বে মাচার দু’টির ব্যবধান। আর বেপারীর লোকেরা তাদের নৌকায়ই রাতযাপন করবে। গাদাগাদি করে কোনো রকম শুয়ে বসে রাত পার করবে তারা; সেই চিন্তা অবশ্য আমাদের নেই।

  মাধ্যাহ্নের খাবার খেলাম মাচার ওপর বসেই। খাবার মেনুতে ছিল মুসুরির ডাল ভুনা, ডিম আর আলুভর্তা। পেটে প্রচণ্ড ক্ষিধা থাকায় পেট ভরে ভাত খেলাম; চেটেপুটেই খেলাম। রাতের খাবার রান্না হবে জোয়ার নেমে গেলেই, সেই চিন্তা মহব্বত দয়ালের। আমার এখন একটু বিশ্রাম চাই, অনেক পরিশ্রান্ত।
 
   মহব্বত দয়াল মাচার ওপরে কাঁথা বিছিয়ে বিছানা পেতে দিল। ও আর আমি একই মাচায় রাত কাটাব, এ রকমই সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের। মহব্বত দয়াল আমার মাচায় থাকতে আপত্তি জানিয়েছে প্রথম, আদবের খেলাপ হয় এই জন্যে। তার ইচ্ছে তারা তিনজন এক মাচায় থাকবে। বিষয়টা বেখাপ্পা লাগছে; গাদাগাদিও হবে, তাই ওকে বললাম, ‘সংকোচ করো না। তুমি-আমি এক সঙ্গেই থাকব। তাছাড়া আমি একা একা থাকতে পারব না। কাজেই তুমি আমার মাচায় থাকবে।’

  আমি সিদ্ধান্তটা দিয়েই মাচায় শোয়ে পড়লাম। মহব্বত দয়াল আর শোয়নি। দিবানিন্দ্রা তার সয় না, শোয়া থেকে ওঠলে মাথাব্যথা করে না কি। যার জন্য সে তার দোনালা পয়পরিষ্কার করতে লাগল।

  মাচায় শওয়ে আমি এদিক-সেদিক কাত হচ্ছিলাম, ঘুম আসছে না; আবার চোখও বুজে আসছে; অমন করতে করতে ১৫-২০ মিনিট পর চোখের পাতা লেগে এল। অমনি মহব্বত দয়াল আমাকে মৃদু ধাক্কা দিয়ে সজাগ করে দিলো। বিষয়টা কি হতে পারে? মহব্বত দয়াল কখনো আমার গায়ে হাত লাগিয়ে কথা বলেনি, ধাক্কা দেওয়া তো  দূরের কথা।

  কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই মহব্বত দয়াল আবার সেই কাজটি করল। আমি ধড়ফড় করে ওঠে বসলাম। এমতাবস্থায় ওর মুখে কথা নেই, ইশারায় মাথার ওপরে গাছের ডালে আঙ্গুল তাক করে কী যেন দেখাল। ওর আঙ্গুলের নিশানা বরাবর আমি তাকাতেই আমার চোখ ছানাবড় হয়ে গেল। আমি হতবুদ্ধি হয়ে গেলাম। আমাদের মাথার কয়েক ফুট ওপরে একটা সাপ গাছের ডাল প্যাঁচিয়ে আছে। সাপটার জিভ লকলক করছে। তাই দেখেই আমার শরীর হিম হয়ে এল। কী করার আছে এখন বুঝতেও পারছি না। আমাকে হতবুদ্ধি হতে দেখে মহব্বত দয়াল বলল, ‘বড়মিয়া, দ্রুত নিচে নামেন।’
  এমতাবস্থায় আমার হাত-পা অসাড় হয়ে আসছে, হুঁশ নেই আমার। মহব্বত দয়াল আমাকে পূনরায় তাড়া দিলো নিচে নামতে। আমি কাঁপতে কাঁপতে নিচে নামলাম; আমার পেছন দিয়ে নামল মহব্বত দয়ালও।
  নিচে নেমে মহব্বত দয়াল শ্রমিকদেরকে কাছে ডেকে বৃত্তান্ত জানাল, দেখাল সাপের অবস্থানও। সাপের অবস্থান দেখে ওরাও বিস্মিত হলো। এতটাই কাছাকাছি ছিল সাপটা আমাদের। তার পর ওরা বুদ্ধিকরে দ্রুত বড় একটা লাঠির মাথায় কাঁচি বেঁধে হেঁচকা টানে সাপটাকে নিচে ফেলল। সাপটা ততক্ষণে দ্বিখণ্ডিত প্রায়, আর পিটিয়ে মারতে হয়নি ওটাকে, নিজ থেকে দুই-চার মোচড় দিয়েই শেষ হয়ে গেল।
  
গাছের ডালে সাপটা দেখার পর থেকেই ভয়ভীতি আরও বেড়ে গেল আমার। কেবল মনে হচ্ছে আরও সাপ মাচার আশপাশে কিলবিল করছে। চোখের ওপর ভাসছে জিভ লকলক করা অগনতি সাপের চিত্র। সেই চিত্র দর্শনে রাতে আর ঘুমাতে পারলাম না, উদ্বিগ্ন অবস্থায় পালা করে সজাগ থেকে দু’রাত কাটালাম। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
ইসলামের শুভেচ্ছারীতি ও পদ্ধতি
ইসলামের শুভেচ্ছারীতি ও পদ্ধতি

৮ মিনিট আগে | ইসলামী জীবন

ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

১৮ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ
মনোনয়ন পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে নিষেধ করলেন শামা ওবায়েদ

৪০ মিনিট আগে | রাজনীতি

অ্যামাজনের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল ওপেনএআই
অ্যামাজনের সঙ্গে ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করল ওপেনএআই

১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই
কুড়িগ্রাম-৪: জামায়াত-বিএনপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আপন দুই ভাই

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী
খুলনা বিভাগে বাবার আসনে তিন পুত্র বিএনপির প্রার্থী

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো? সুদানে আটক ভারতীয়কে বিদ্রোহীদের প্রশ্ন!
তুমি কি শাহরুখ খানকে চেনো? সুদানে আটক ভারতীয়কে বিদ্রোহীদের প্রশ্ন!

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমুদ্র তীরে শতাব্দী পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ
সমুদ্র তীরে শতাব্দী পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ

২ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান
এক বিমান বানিয়ে যতো লাভ করল ইরান

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৬ নভেম্বর ঝরবে উল্কাবৃষ্টি
১৬ নভেম্বর ঝরবে উল্কাবৃষ্টি

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণে বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ
আসলাম চৌধুরী মনোনয়ন না পাওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?
ফের ইসরায়েলে হামলা শুরু করবে হুথি?

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ
অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৫.৪১ শতাংশ

৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
তুর্কি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস
৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি : সারজিস

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি
শার্শা আসনে বিএনপির প্রার্থী তৃপ্তি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন
চট্টগ্রামের ১০টি আসনে নতুন মুখ ৫ জন

৪ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ
কলাপাড়ায় ৩৫ মণ জাটকা জব্দ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?
খালি পেটে গরম পানি পান কি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী?

৪ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!
মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটি, এয়ার ইন্ডিয়ার জরুরি অবতরণ!

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
কক্সবাজারের ৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
বিএসপিএর নতুন কার্যালয় উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর
জানাজা থেকে গৃহবধূর লাশ গেল মর্গে, পালালেন স্বামী-শ্বশুর

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’
‘ক্রিকেট আর শুধু জেন্টলম্যানদের খেলা নয়, এখন সবার’

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি
সামিতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের দিনে ফাইনালে ক্যাভালরি

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন
সিংড়ায় নিষিদ্ধ চায়না জাল পুড়িয়ে দিল প্রশাসন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা
এক নজরে বিএনপি প্রার্থীদের তালিকা

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ
আসতে পারে ১০ শৈত্যপ্রবাহ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম
জামায়াত আমিরের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শফিকুল ইসলাম

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
ঢাকার আসনগুলোতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার
চার সিনেমায় বক্স অফিসে দাপট রাশমিকার

২৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার
দলগুলোকে আলোচনা করে এক সপ্তাহের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বলল সরকার

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা
এনসিপি নেতা নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে মামলা

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি
ঢাকা-১৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মায়ের ডাকের তুলি

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান
শিগগিরই আমাদের সারা বছরের একটা আমলনামা প্রকাশ করব : বিডা চেয়ারম্যান

১৫ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ
মনোনয়ন পেলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শ্রাবণ

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবীকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া
নির্বাচনে বগুড়া-৭, দিনাজপুর-৩ ও ফেনী-১ আসন থেকে লড়বেন খালেদা জিয়া

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা
জামায়াতের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন ও ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে যা বললেন রুমিন ফারহানা

১৪ ঘণ্টা আগে | টক শো

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান
কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন ফজলুর রহমান

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে
পোশাকের কার্যাদেশ চলে যাচ্ছে অন্য দেশে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
ফরিদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন চৌধুরী নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার
ট্রাম্পের হুমকির কৌশলী জবাব নাইজেরিয়ার

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান
বগুড়া-৬  আসনে ধানের শীষের প্রার্থী তারেক রহমান

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন
আগামী বছরেই পাকিস্তানের নৌবাহিনীতে দেখা যাবে চীনের সাবমেরিন

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে নতুন সুবিধা চালু করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক
মেট্রোরেলের নকশায় ভুল থাকতে পারে : ডিএমটিসিএল পরিচালক

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে
গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার খরচ বাড়ছে

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা
বিসিবির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন রুবাবা

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার
৪ দফতরে নতুন সচিব নিয়োগ দিল সরকার

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন চলছে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প
আমাদের যথেষ্ট পারমাণবিক অস্ত্র আছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার উড়িয়ে দেওয়া যাবে: ট্রাম্প

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি
সংকটময় মুহূর্তে দেশ, কোনদিকে যাবে তা নির্ভর করছে নির্বাচনের ওপর : সিইসি

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর
নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী বাবর

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা
সিলেট-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ইলিয়াসপত্নী লুনা

৭ ঘণ্টা আগে | চায়ের দেশ

প্রিন্ট সর্বাধিক
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী
২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যারা
বিএনপির এমপি প্রার্থী হচ্ছেন যারা

ভোটের মাঠে

লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন
লন্ডন গেলেন সালাহউদ্দিন

প্রথম পৃষ্ঠা

আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী
আলোচনায় রাজি জামায়াতে ইসলামী

প্রথম পৃষ্ঠা

আলু এখন কৃষকের বোঝা
আলু এখন কৃষকের বোঝা

পেছনের পৃষ্ঠা

উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ
উত্তাপ ছড়াচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার
সিন্ডিকেটে আটকা পড়ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

পেছনের পৃষ্ঠা

ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার
ঘাটে ফিরছে ইলিশভর্তি ট্রলার

পেছনের পৃষ্ঠা

ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট
ফের ভয়াবহ গ্যাসসংকট

পেছনের পৃষ্ঠা

দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু
দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু

পেছনের পৃষ্ঠা

মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা
মসজিদ থেকে রক্তাক্ত স্বামীকে বাসায় নিয়ে আসেন স্থানীয়রা

পেছনের পৃষ্ঠা

মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
মুগডালে রং, চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দেশগ্রাম

এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা
এমপিওভুক্ত হচ্ছে ১০৮৯ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান এরদোগানের
সুদানে গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহ্বান এরদোগানের

পূর্ব-পশ্চিম

প্যারিস মাস্টার্স জিতে ফের শীর্ষে
প্যারিস মাস্টার্স জিতে ফের শীর্ষে

মাঠে ময়দানে

ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার
ঐকমত্যে দলগুলোকে এক সপ্তাহ দিল সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি
বালাশী-বাহাদুরাবাদ সড়ক, রেলসেতুর দাবি

দেশগ্রাম

পরিচয় মিলেছে সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতদের
পরিচয় মিলেছে সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহতদের

দেশগ্রাম

ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি
ইতিহাস গড়ার পথে মামদানি

প্রথম পৃষ্ঠা

৯ দিন পর খুলছে উত্তরা ইপিজেডের চার কারখানা
৯ দিন পর খুলছে উত্তরা ইপিজেডের চার কারখানা

দেশগ্রাম

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

দেশগ্রাম

পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর
পানিতে ডুবে মৃত্যু তিন শিশুর

দেশগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

পেছনের পৃষ্ঠা

আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০
আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ২০

পূর্ব-পশ্চিম

বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত
বিএনপি নেতার অফিসে বোমা হামলায় শিক্ষক নিহত

পেছনের পৃষ্ঠা

পচছে আলু বীজ সবজি হেলে পড়েছে আমন ধান
পচছে আলু বীজ সবজি হেলে পড়েছে আমন ধান

দেশগ্রাম

৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট
৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট

দেশগ্রাম

‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’
‘মাদুরোর দিন ফুরিয়ে আসছে’

পূর্ব-পশ্চিম

কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি
কমলা হ্যারিসকে প্রার্থী করা ভুল ছিল : জর্জ ক্লুনি

পূর্ব-পশ্চিম

সড়কে গর্ত খানাখন্দ
সড়কে গর্ত খানাখন্দ

দেশগ্রাম