শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত শেষ সাক্ষাৎকার

‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। শরীর ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেও তার অজস্র্র সৃষ্টি আমাদের দোলা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত ১৯ জুলাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে সেই স্মৃতিগুলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগে ২৮ মে ২০১২ সালে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকারে কলম জাদুকরের মানসিক শক্তি,  মৃত্যুচিন্তা, লেখালেখি, ভালো লাগা, মন্দ লাগাসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছিল। তিনি অকপটে বলেছেন তার জীবনদর্শন, ব্যক্তিগত ভাবনা আর লেখালেখির নানা বিষয়। কথা বলেছেন তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলীকে নিয়েও। তার মুখ নিঃসৃত সেই কথাগুলো আজও যেন জীবন্ত। ২৫ মে ২০১২ সালে নুহাশপল্লীতে সারা দিন ধাপে ধাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গল্প করেছেন তিনি। প্রতিবেদকের চোখে সেই স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে। পাঠকের অনুরোধ এবং সেই সাক্ষাৎকারের চিরন্তন আবেদনের কারণে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন— জাকারিয়া সৌখিন ও রণক ইকরাম

 

...একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি...

 

কি চিন্তা থেকে গাজীপুরের এই অরণ্যে ‘নুহাশপল্লী’ করেছিলেন?

আসল কারণ হচ্ছে গাছ। গাছের প্রতি আমার মমতা আছে। আর আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে গাছের কাছে আমরা অসম্ভব ঋণী। আমরা এই ঋণটা কখনো স্বীকার করছি না। আমরা তাকে জ্বালাচ্ছি— আগুনে পোড়াচ্ছি অথচ প্রতিনিয়ত আমরা গাছের কাছেই হাত পাতছি। সেখানে থেকেই নুহাশপল্লী।

 

গাছ-গাছালি সন্তানের মতো ভালোবাসছেন। ওদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়?

আমি কথা বলি। ওরা বুঝতে পারে কি-না, জানি না। একটা গাছকে যদি দেখি খুবই দুর্বল, আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াই। জিজ্ঞেস করি— ‘কিরে ব্যাটা। এই অবস্থা কী জন্যে? সমস্যাটা কী বল আমারে।’ মেবি ওরা আমাকে অ্যান্সার করে, বাট আমি ধরতে পারি না।

 

নুহাশপল্লী-যশখ্যাতি সব হয়তো একদিন থাকবে। আপনিই থাকবেন না। এই ভেবে আফসোস হয়?

না। আফসোস হবে কেন? আমার এক জীবনে আমি নুহাশপল্লী দেখেছি। ভালোবাসা পেয়েছি। তাই মরার আগেও আমার আফসোস থাকার কথা নয়। যখন মরতে হবে মরে যাব, তাই না?

 

এত মানসিক শক্তি আপনার। মানসিক শক্তিই কি আপনাকে সুস্থ করে তুলছে?

না। প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে অনেক মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। কিন্তু তাদেরকে শেষ পর্যন্ত ডিজিজ-এর কাছে হার মানতে হয়েছে। অ্যাপলোর স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভ জনবস, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল? তারপর জ্যো ফ্রেজিয়ে, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল?

 

হুগো শ্যাভেজ কিন্তু ফিরেছেন!

বলা হয়েছে তিনি সুস্থ। কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। আরও আগে একবার বলা হয়েছিল তিনি সুস্থ। পরে আবার চিকিৎসা হলো। আবার এলো, আবার গেল। উনি পলিটিক্যাল লোক। পলিটিক্যাল লোকদের কোনো বিশ্বাস করতে নেই।

 

মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

ধর্মীয়ভাবে একটা ধারণা সবার মধ্যে আছে। কিন্তু আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, দ্যা মোমেন্ট আই উইল ডাই— আমি মাটির সঙ্গে মিশে যাব।

 

তাহলে মৃত্যুটা আপনার কাছে কেমন?

মৃত্যুটা আমার কাছে খুবই পেইনফুল। একটা মানুষ এত ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, ৭০-৮০ বছর বাঁচে সে। অথচ একটা কচ্ছপ সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, হোয়াই? কচ্ছপের মতো একটা প্রাণী কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচবে? আমরা কেন নই?

 

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’। আপনি কি বলবেন?

আবার একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মরণরে তুহু মম শামও সমান’। [মৃদু হেসে] উল্টা দুই রকম কথা বলে গেছেন। শোন, কবি-সাহিত্যিকরা অনেক কথা বলে। এগুলা নিয়া ঘামাও ক্যান?

 

আপনার কষ্ট, আপনার সুখ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

আমার কোনো কষ্ট নেই। আর সুখের কথা বললে বলব অবশ্যই আমি অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ আমি জানি, কি করে সুখ আহরণ করতে হয়।

 

তাহলে স্বপ্ন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি...

আমি নিজেকে নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা কখনোই করি না। আমি খুবই একটা সুখী মানুষ ছিলাম। এখনো সুখী। কাজেই বলা যেতে পারে, আমি তৃপ্ত। আর কী পেয়েছি, কী না পেয়েছি, ভাবি না। যা পাইছি ভালো, না পাইলে নাই। হা-হুতাশ করে লাভ নেই।

 

পথ চলতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এতটা পথ পেরিয়ে এসে, জীবনের শেষ উপলব্ধি মানে রিয়েলাইজেশনটা কী?

শেষ রিয়েলাইজেশন হচ্ছে ‘জীবন অনেক, অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার’। তারা শঙ্করের কবির মতন মাঝে-মধ্যে আমার বলার ইচ্ছা করে, জীবন এত ছোট ক্যানে? ওই যে একটু আগে বললাম, একটা কচ্ছপ কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, মানুষ কেন বাঁচে না। জীবনটা আমার খুব ছোট মনে হয়। তোমাদের মনে হয় না? নাকি এখনো টের পাও নাই? টের পাইবা...

 

আমেরিকার দিনগুলো কেমন ছিল?

ওখানকার দিনগুলো ঠাণ্ডা। প্রচণ্ড রকম ঠাণ্ডা। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরের ভিতরে বন্দী। ভাইরে আমরা গরম দেশের মানুষ। এইটা একটা সমস্যা। আর কেমোথেরাপি যারা নেয় তাদের বডি হয়ে যায় কোল্ড সেনসেটিভ। সেটা একটা সমস্যা। কাজেই একটা ছোট ঘরের ভিতরে আমার আমেরিকা জীবন। বাচ্চাগুলো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়তো আনন্দ পায়। বাকি সময় তো ঘরের ভিতরে বন্দী।

 

নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ। বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশের কী কী মিস করেছেন?

দেশের অনেক কিছুই মিস করেছি। গাছপালা— বিশেষ করে মিস করেছি নুহাশপল্লীর গাছগুলোকে। জানতে ইচ্ছে করছিল, এরা কেমন আছে। দেশের বৃষ্টি খুব মিস করেছি। এসে শুনি বৃষ্টিই নাকি হয় না। দেশের খাবারও মিস করেছি।

 

ডাক্তার বোধহয় প্রথমে আপনাকে বলেছিল, দুই বছর বাঁচবেন। এইটা শোনার পর আপনার কেমন লেগেছিল?

আমি বিষয়টি নরমালি নিয়েছি। অনেক মানুষের তো ক্যান্সার হয় না। কিন্তু তারা তো রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। কাজেই মৃত্যু নিয়ে এত চিন্তা করে কোনো লাভ আছে?

 

স্যার, বাঙালিরা মনে হয় একটু বেশিই ভীতু। ক্যান্সার টাইপের ভয়াবহ রোগ হয়েছে শুনলেই বিচিত্র সব আচরণ করতে শুরু করে। খুঁজে খুঁজে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে। স্বজনদের সঙ্গে ক্ষমা চাইতে শুরু করে... ইত্যাদি ইত্যাদি... আপনি ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

শোনো। ভয়টা কেবল বাঙালির মধ্যেই আছে তা নয়। ভয় সবারই আছে। সারা পৃথিবীর মধ্যেই আছে। ক্যান্সার নিয়ে একটা বই আছে। ওখানে লেখা আছে যদি যেদিন তোমার ক্যান্সার ভিটেক্ট হবে, সেদিন একটা কাজ কর। বাথরুমে ঢুইকা দরজাটা বন্ধ কর। বিকট চিৎকার করে কাইন্দো। এতে তোমার টেনশন একটু কমবে। এটা আমেরিকান ক্যান্সার থেলাপিস্টদের লেখা। তার মানে ওরা কী ভয় কম পাচ্ছে? মৃত্যুটা একটা ভয়ানক বিষয়। উই অল আর ইন এন ইনটেলিজেন্স রেইস। আমরা বেকুবের জাত হইলে কোনো টেনশন থাকত না। কী হইছে মরবো না— এই রকম মনে হইত। কাজেই ভয় তো পাইতেই পারি।

 

চিকিৎসকরা আপনাকে কথা বলতে বারণ করেছেন। বাকরুদ্ধ থাকার যাতনা কেমন?

বিষয়টি ঠিক নয়। ডাক্তার আমাকে কথা বলতে বারণ করেনি। তবে আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। কেননা একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। নতুন একজন লোকের কাছ থেকে খুব দ্রুত রোগটা ছড়িয়ে পড়বে ক্যান্সার রোগীর দেহে। আর সেজন্য আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। তাই বলেছে, কথা না বলতে।

 

এই যে আজকে এত ঝুঁকির মধ্যেও আপনি আমাদের সময় দিচ্ছেন। গল্প করছেন। ঠিক একই সিচুয়েশনে আপনার জায়গায় যদি মিসির আলী কিংবা হিমু পড়ত তাহলেও ওদের আচরণ কী হতো?

ভিন্ন রকম হতো। যেহেতু পুরোটাই কাল্পনিক, আমার মনে হয় মিসির আলী কোনো কথা বলত না। সে লজিক্যাল মানুষ। বলত, আমার কিছু বলার নেই। অন্যদিকে হিমু যেটা করত তা হলো, খালি পায়ে হয়তো তোমাদেরকে জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখাত।

 

আপনার মনের জোর অনেক। তবুও ক্যান্সার বলে কথা। একটুও কি আতঙ্কগ্রস্ত হননি?

আসলে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়। আমি চিন্তা করে দেখলাম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লাভ কী! আতঙ্কগ্রস্ত হলেও মরতে হবে, না হলেও মরতে হবে। তাই আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে মরাটাই ভালো নয়? আমিও লাইনে গেছি। আর ভয় তো পেয়েছি বটেই। আমি যদি ভয়টা প্রকাশ করি, আমার দুটা ছোট বাচ্চা, একটা ইয়াং ওয়াইফ আছে। আমি যদি সামান্য ভয় পাই, তাহলে এরা এরচেয়ে অনেক বেশি ভয় পাবে। আমি তাদেরকে এই ভয়টা দেখাতে চাচ্ছি না। তাদের মনটাকে ছোট করে আমার কী লাভ? বরঞ্চ তারা যদি দেখে আই অ্যাম ভেরি স্ট্রং, তারাও এক ধরনের স্ট্রেংথ পায়। ভয় পাব না, এমন সাহসী মানুষ আমি নই।

 

স্যার, একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপনার প্রিয় স্থানগুলোর নামের সঙ্গে বিলাস আছে। যেমন সমুদ্র বিলাস, বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস। সবই তো বিলাস।

একটা বনবিলাস থাকলে ভালো হতো, তাই না? জঙ্গলের মধ্যে বাড়ি। এইডা বাদ পড়ে গেছে।

 

বিলাস কেন?

বিলাস মানে আমরা সবাই বিলাসী না! আমি সবকিছুতে আনন্দ খুঁজি আর সেজন্যই নামে বিলাস থাকে।

 

প্রকৃতি আপনার খুব প্রিয়। বেশি প্রিয় কোনটি?

সমুদ্র।

 

কেন?

কারণ প্রতিনিয়ত সমুদ্র চেঞ্জ হচ্ছে। এই ঢেউ আসল, এই ঢেউ নাই। সূর্যের আলো এই এক রকম দেখাচ্ছে, এই অন্যরকম দেখাচ্ছে।

 

এই জন্যই কি ‘সমুদ্র বিলাস’টা সেন্টমার্টিনে করেছিলেন?

হ্যাঁ। শেষ বেলাটা যেন সমুদ্র দেখতে দেখতে আমার জীবনের ইতি হয়। এই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি সেন্টমার্টিনে একটা জায়গা কিনেছিলাম। একই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি টেকনাফেও একটা জায়গা কিনেছিলাম।

 

আপনার অবস্থানে আপনি ঈর্ষণীয় পর্যায়ের জনপ্রিয়তার অধিকারী। একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় সেই জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

সিম্পল। আমি খুশি যে, আমি লিখতে পারছি। এতেও খুশি যে, কারও কারও কাছে সেটি ভালো লাগছে। সাধারণ মানুষ হয়তো লেখার চেষ্টা করেনি বা করলেও আমার মতো উপভোগ করতে পারেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি অনেক বড় কিছু আর আরেকজন ‘সাধারণ’। উই অল আর হিউম্যান বিং। আমাদের সবার মধ্যেই চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, আনন্দ-বেদনা অনুভূতি আছে। আমি সে সব মানুষের তুলনায় মোটেও আলাদা নই। কখনো সেটা দাবিও করি না।

 

৪২ বছর ধরে লেখালেখি করছেন, ক্লান্ত লাগেনি কখনো?

লেখালেখির কাজটি আমার কাছে কখনোই ক্লান্তিকর মনে হয়নি। আমার কাছে এটি খুবই আনন্দময় কাজ। আর সেই আনন্দ থেকেই লিখে যাচ্ছি।

 

আপনার কর্মে আপনি কতটা তৃপ্ত? সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত কিসে? অতৃপ্তি আছে কী?

আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যারা কোনো কিছুতেই তৃপ্ত নয়। কিন্তু আমি খুব অল্পতেই তৃপ্ত। অতৃপ্তি ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। আর যখন যে কাজটা করি সেটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত হই। আমি যে ছবিটা বানালাম আমার কাছে মনে হয় এটাই আমার সেরা কাজ। সেরা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা নতুন কাজ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি আমি ক্রিয়েটিভ লোক না। কারণ শুনেছি ক্রিয়েটিভ লোকদের তৃপ্তি থাকতে হয় না, অতৃপ্তি থাকতে হয়।

 

নিউইয়র্কে ছবি এঁকেছেন। ছবির বিষয়গুলো কী?

বিষয় প্রকৃতি। আমি তো অ্যাবস্ট্রাক্টয়ের মধ্যে যাই না। দুই-তিনডা টান দিয়া ছাইড়া দিলাম। একটা বিশাল কিছু হইয়া গেল। আমি এর মধ্যে নাই। আমার বিষয় প্রকৃতি।

 

আঁকাআঁকির চিন্তাটা কীভাবে এলো?

এটা কমবেশি সবার থাকে। আমি ছবি আঁকলাম বলে বিশাল কিছু হয়ে গেল এমন না। ছোটবেলায় আমরা সবাই ছবি আঁকি। তবে আমার ব্যাপারটা জেনেটিক কি না জানি না। আমার এক ভাই আহসান হাবিব তো কার্টুন পত্রিকা উন্মাদ সম্পাদক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল গণকণ্ঠে স্টাফ কার্টুনিস্ট ছিল।

 

অনেকেই হিমু বা মিসির আলী সাজার চেষ্টা করেছে। আপনার ব্যক্তিগত অবজারভেশন থেকে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন, যাকে হিমু বা মিসির আলীর সঙ্গে মিলে যায়?

মিসির আলী হচ্ছে লজিক্যাল লোক। এরকম লজিকনির্ভর লোক প্রচুর আছে। আর হিমু এন্টিলজিক্যাল লোক। সে ভালো লাগার উপরে চলে। এরকম লোকও কিন্তু প্রচুর আছে।

 

অনেকেই হিমুকে নিজের মধ্যে লালন করে হিমু সাজতে চায়। আপনি বিষয়টি কীভাবে নেন?

আমি মজা পাই। আবার দুঃখও পাই আরেক সেন্সে। আমাদের এখানে সাই-কিয়াট্রিস্টরা অনেক ওয়ার্ড ব্যবহার করে। আর সেখানে একটি ওয়ার্ড আছে ‘হিমু’ ওয়ার্ড। তার মানে হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে। আমার একবার যাইতে হইছিল ওদের কাছে। বাচ্চারা যারা হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ওদেরকে বোঝানোর জন্য যে, এতে পাগল হওয়ার কিছু নেই। আমি মনে খুবই কষ্ট পেলাম এদেরকে দেখে। এরা হিমু সেজে পাগল হয়ে বসা। আমি ওদেরকে বুঝাইয়া বলতে গেলাম, শোনো এই হিমুগুলি আমার লেখা। কাজেই আমি জানি, এটা ফিকশন। এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কিছু নেই। এরা আমার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আমি কিছু বুঝি না। কিছু জানি না।

 

হুমায়ূন সাহিত্য পড়লে একজন পাঠকের কি প্রত্যাশা পূরণ হবে?

সে আনন্দটা পাবে। পড়ার আনন্দটা পাবে এটুকু বলতে পারি। কিন্তু সে যে পড়ে বিশাল জ্ঞানী হয়ে যাবে, আমি সেটা মনে করি না। বিশাল একটা বোধ তৈরি হবে, সেটাও আমি মনে করি না।

 

কিন্তু এরপরও আপনার অনেক লেখায় আনন্দ দানের পাশাপাশি বৃক্ষ, দর্শন, রসায়ন, বিজ্ঞানসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই থাকে।

সেটা অপরিহার্য বলে আসে। কিন্তু আমি বলি না। কারণ আমি নিজে লিখে আনন্দ পাই এবং এমনভাবে লেখার চেষ্টা করি যাতে করে পাঠক পড়ে আনন্দ পায়। জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই।

 

আপনার হিমু মিসির আলী শুভ্র চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এসব চরিত্রগুলোর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি কোন চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে?

সব চরিত্রেই একটু একটু করে আছে। খুবই অল্পভাবে আছে। সেরকমভাবে কারও মধ্যেই নেই।

 

পুনর্জন্ম থাকলে হিমু মিসির আলী নাকি শুভ্র— কী হতে চাইবেন?

পুনর্জন্ম বলে কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে পরের জন্মে আমি অবশ্যই মিসির আলী হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাই।

 

মিসির আলী কেন?

লজিক। মিসির আলী লজিক্যাল লোক। আমার লজিক পছন্দ।

 

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আজকের যে বিশালত্ব আপনাকে তার জাদুকর বলা যায়। আপনি কি মনে করেন? 

বাংলা সাহিত্যে অনেক বড় বড় জাদুকর তৈরি হয়েছে। আমি জাদুকর নই। আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে। সেবা করে যাচ্ছি। সেবা করার যে সুযোগটা পেয়েছি এতেই আমি খুশি। লোকজন আগ্রহ নিয়ে আমার বই পড়ছে, এটাই আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। আর কতটুকু দিতে পেরেছি না পেরেছি সেটি ভাববে সমালোচকরা, সমাজবিদরা। আমার কাজ হচ্ছে, শুধু লেখালেখি করা।

 

নতুন যারা লিখছে তারা কেমন করছে?

একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি।

 

কিন্তু আপনাকে দেখে অহঙ্কারী মনে হয় না।

আমি অবশ্যই অহঙ্কারী। আমার বাইরেরটা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমি প্রচণ্ড মাত্রায় অহঙ্কারী। কিন্তু সেটা প্রকাশ করি না। প্রকাশ করে কী লাভ?

 

এখন গান লিখেন না?

আমি গীতিকার  নই। তবে মাঝে মাঝে লিখছি, ভালো লাগা থেকে।

 

ভক্ত ও নতুন প্রজন্মের প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী?

জীবনের প্রতি একটা বোধ তৈরি হোক, এটাই চাই। কারণ বেঁচে থাকতে হলে এটা খুবই একটা ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা
ভ্যালেন্সিয়াকে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা

১ সেকেন্ড আগে | মাঠে ময়দানে

পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ
পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় চালু হচ্ছে আজ

৯ মিনিট আগে | জাতীয়

দুপুর ১টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস
দুপুর ১টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ঝড়ের আভাস

১৮ মিনিট আগে | জাতীয়

আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার
আমরা কখনোই আমাদের পতাকা সমর্পণ করব না: স্টারমার

১৯ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প
আমেরিকার ‘মিত্র’ কাতারের প্রতি ইসরায়েলকে ‘খুব সতর্ক’ হতে হবে : ট্রাম্প

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন সিফি ঘরিব
আলজেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী হলেন সিফি ঘরিব

৩১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৫ সেপ্টেম্বর)

৪১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারতে ভারী বর্ষণ, ডুবতে পারে সিলেটের নিম্নাঞ্চল
ভারতে ভারী বর্ষণ, ডুবতে পারে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

৫০ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অর্ধশতাধিক নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত বেড়ে ৪২২
ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অর্ধশতাধিক নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত বেড়ে ৪২২

৫১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

টুঙ্গীপাড়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, থামাতে গিয়ে ওসিসহ ৪ পুলিশ আহত
টুঙ্গীপাড়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, থামাতে গিয়ে ওসিসহ ৪ পুলিশ আহত

৫৬ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে কারাতে প্রতিযোগিতা, অংশ নেবে ৮ দেশ
১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে কারাতে প্রতিযোগিতা, অংশ নেবে ৮ দেশ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাস, বাণিজ্য ঘাটতি কমলে শুল্ক আরো কমবে
যুক্তরাষ্ট্রের আশ্বাস, বাণিজ্য ঘাটতি কমলে শুল্ক আরো কমবে

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

জনশক্তি রপ্তানির নামে ১১৫৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ-পাচার’
জনশক্তি রপ্তানির নামে ১১৫৯ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ-পাচার’

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ার ইস্পাত ডিলারস মিট ২০২৫
কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হলো আনোয়ার ইস্পাত ডিলারস মিট ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | কর্পোরেট কর্নার

নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে নারী-শিশুসহ নিহত ১৯
নাইজেরিয়ায় বিয়ের বাস নদীতে পড়ে নারী-শিশুসহ নিহত ১৯

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ
মহানবী (সা.) যেভাবে মানবজাতির জন্য রহমতস্বরূপ

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

না খেলার চেয়ে তো খেলা ভালো: আকরাম খান
না খেলার চেয়ে তো খেলা ভালো: আকরাম খান

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান
কাতার একা নয়: আরব লীগ প্রধান

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা, পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলা, পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলের ওপর চটলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অর্থনৈতিক অঞ্চল: অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ বিপর্যয়
অর্থনৈতিক অঞ্চল: অনিশ্চয়তায় বিনিয়োগ বিপর্যয়

৭ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিরোধিতা, টিভি ভাঙলেন শিবসেনা নেতা
ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের বিরোধিতা, টিভি ভাঙলেন শিবসেনা নেতা

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ
মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ

৭ ঘণ্টা আগে | পরবাস

ফের উল্টো পথে শেয়ারবাজার
ফের উল্টো পথে শেয়ারবাজার

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত
বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বাবা-মায়ের কবরে সমাহিত ফরিদা পারভীন
বাবা-মায়ের কবরে সমাহিত ফরিদা পারভীন

৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সালাহর শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলের জয়
সালাহর শেষ মুহূর্তের গোলে লিভারপুলের জয়

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বৃষ্টির বাধায় সমতায় শেষ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড যুব সিরিজ
বৃষ্টির বাধায় সমতায় শেষ বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড যুব সিরিজ

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সর্বাধিক পঠিত
নেপালে সরকার পতনের পর হঠাৎ কেন আলোচনায় বলিউডের এই অভিনেত্রী
নেপালে সরকার পতনের পর হঠাৎ কেন আলোচনায় বলিউডের এই অভিনেত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে
কাতারে হামলায় সৌদির আকাশপথ ব্যবহার করে ইসরায়েল, দাবি রিপোর্টে

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম
ব্যারিস্টার ফুয়াদরা জানেন না কোথায় থামতে হবে : হামিম

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো
ইসরায়েলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে গাজার পথে ছুটল জাহাজগুলো

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমেদ
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া জটিল পর্যায়ে নেওয়া হচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত
বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত

৮ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে
নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত হবে

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান
সৌদি, তুরস্ক ও ইরাকের জন্যও অপেক্ষা করছে ইসরায়েলি বোমা: সাবেক আইআরজিসি প্রধান

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সমঝোতার ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা
সমঝোতার ভিত্তিতেই ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক
ভাঙ্গায় অবরোধের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধান সমন্বয়ক আটক

১৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম
সরকার ও উপদেষ্টারা মাহফুজদের যথেচ্ছ ব্যবহার করে এখন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে : নাহিদ ইসলাম

২৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি
ডাকসুর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, সিনেট সদস্য হচ্ছেন ৫ ছাত্র প্রতিনিধি

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : লুৎফুজ্জামান বাবর
শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : লুৎফুজ্জামান বাবর

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না
৫ টন চাল, ৬০০ কেজি পেঁয়াজ, এক কড়াইয়ে রেকর্ড রান্না

২১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার
‘ঋণের দায়ে’ স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার পর আত্মহত্যা: লাখ টাকা ধার করে চল্লিশা করলো পরিবার

২০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ
ভারতের ক্রিকেটাররা হাতও মেলায়নি: পাকিস্তানের কোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমানোর উদ্যোগ সরকারের
যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমানোর উদ্যোগ সরকারের

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফরিদপুরে আজকের মধ্যে রাস্তা না ছাড়লে আইন প্রয়োগ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা
৬ বিভাগে অতিভারি বর্ষণের আভাস, পাহাড়ধসের শঙ্কা

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’
বাংকার থেকে জেল, বিচ্ছেদ পেরিয়ে এবার রাষ্ট্রক্ষমতার দৌড়ে ‘লৌহমানবী’

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার রোমানিয়ায় ঢুকলো রাশিয়ার ড্রোন
এবার রোমানিয়ায় ঢুকলো রাশিয়ার ড্রোন

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল শোধানাগারে হামলা চালাল ইউক্রেন
রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল শোধানাগারে হামলা চালাল ইউক্রেন

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাবর
দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাবর

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘সুযোগ একবারই এসেছে, হারাতে চাই না’
‘সুযোগ একবারই এসেছে, হারাতে চাই না’

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা
চীনের ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া নিয়ে দূতাবাসের নতুন নির্দেশনা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথমবার উপজেলা পর্যায়ে অর্থোপেডিক অপারেশন সফল
প্রথমবার উপজেলা পর্যায়ে অর্থোপেডিক অপারেশন সফল

১৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা মামুনুল হকের
জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা মামুনুল হকের

১৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদুল্লাহর মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক
শায়খুল হাদিস আল্লামা আহমদুল্লাহর মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা
মন খারাপের দেশে হঠাৎ উত্তেজনা

সম্পাদকীয়

উপদেষ্টা হওয়ার আগে আমিও বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েছি
উপদেষ্টা হওয়ার আগে আমিও বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়েছি

প্রথম পৃষ্ঠা

কার সঙ্গে ফারিয়া
কার সঙ্গে ফারিয়া

শোবিজ

জুলাই সনদ নিয়ে নতুন বিতর্ক
জুলাই সনদ নিয়ে নতুন বিতর্ক

প্রথম পৃষ্ঠা

ডুবতে পারে ১২ জেলা
ডুবতে পারে ১২ জেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির ছয়জন, বাকি দলের একজন করে
বিএনপির ছয়জন, বাকি দলের একজন করে

নগর জীবন

নওগাঁয় সাধনের স্বৈরশাসন
নওগাঁয় সাধনের স্বৈরশাসন

প্রথম পৃষ্ঠা

ফখরুল, গয়েশ্বর ও আব্বাসসহ ৭০ জনকে অব্যাহতি
ফখরুল, গয়েশ্বর ও আব্বাসসহ ৭০ জনকে অব্যাহতি

প্রথম পৃষ্ঠা

সমীকরণের মারপ্যাঁচে বাংলাদেশ
সমীকরণের মারপ্যাঁচে বাংলাদেশ

মাঠে ময়দানে

মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির ছয় নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী
মনোনয়ন দৌড়ে বিএনপির ছয় নেতা জামায়াতসহ অন্যদের একক প্রার্থী

নগর জীবন

হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা
হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির বাসা

পেছনের পৃষ্ঠা

তিন বছর পর মেসির পেনাল্টি মিস
তিন বছর পর মেসির পেনাল্টি মিস

মাঠে ময়দানে

বিশ্ব নাগরিক গড়ে তোলার শিক্ষাঙ্গন
বিশ্ব নাগরিক গড়ে তোলার শিক্ষাঙ্গন

বিশেষ আয়োজন

পাঁচ দাবিতে কর্মসূচি মামুনুল হকের
পাঁচ দাবিতে কর্মসূচি মামুনুল হকের

প্রথম পৃষ্ঠা

১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির ৩১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১৩ রিক্রুটিং এজেন্সির ৩১ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

পেছনের পৃষ্ঠা

শুধু স্বৈরাচার নয়, পালিয়েছেন মসজিদের ইমাম-বিচারকও
শুধু স্বৈরাচার নয়, পালিয়েছেন মসজিদের ইমাম-বিচারকও

পেছনের পৃষ্ঠা

সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতায় অনন্য এক স্কুল
সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতায় অনন্য এক স্কুল

বিশেষ আয়োজন

নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন বেতন কাঠামো
নির্ধারিত সময়ের আগেই নতুন বেতন কাঠামো

নগর জীবন

মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল দাবি
মেডিকেল ভর্তিতে অটোমেশন পদ্ধতি বাতিল দাবি

নগর জীবন

প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন
প্রাইমারি স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিন

নগর জীবন

যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া নিয়ে কড়া বার্তা উত্তর কোরিয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের মহড়া নিয়ে কড়া বার্তা উত্তর কোরিয়ার

পূর্ব-পশ্চিম

১২১ বার পেছাল প্রতিবেদন আদালতের অসন্তোষ
১২১ বার পেছাল প্রতিবেদন আদালতের অসন্তোষ

পেছনের পৃষ্ঠা

১২ অক্টোবর থেকে শুরু টাইফয়েডের টিকাদান
১২ অক্টোবর থেকে শুরু টাইফয়েডের টিকাদান

নগর জীবন

ফিলিস্তিনের পক্ষে মন্তব্য করে বিতর্কে পরিচালক অন্নপূর্ণা
ফিলিস্তিনের পক্ষে মন্তব্য করে বিতর্কে পরিচালক অন্নপূর্ণা

পূর্ব-পশ্চিম

তৌসিফ-তিশার সুখবর...
তৌসিফ-তিশার সুখবর...

শোবিজ

পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি
পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি

পূর্ব-পশ্চিম

চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১৫০ জনের মৃত্যু
চলতি বছর ডেঙ্গুতে ১৫০ জনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত
বড় ধাক্কা খাবে পোশাক খাত

পেছনের পৃষ্ঠা

আট বছরে শিক্ষিত বেকার বেড়ে দ্বিগুণ
আট বছরে শিক্ষিত বেকার বেড়ে দ্বিগুণ

প্রথম পৃষ্ঠা

সীমানা নিয়ে এখনো উত্তাপ
সীমানা নিয়ে এখনো উত্তাপ

প্রথম পৃষ্ঠা