শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত শেষ সাক্ষাৎকার

‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। শরীর ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেও তার অজস্র্র সৃষ্টি আমাদের দোলা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত ১৯ জুলাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে সেই স্মৃতিগুলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগে ২৮ মে ২০১২ সালে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকারে কলম জাদুকরের মানসিক শক্তি,  মৃত্যুচিন্তা, লেখালেখি, ভালো লাগা, মন্দ লাগাসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছিল। তিনি অকপটে বলেছেন তার জীবনদর্শন, ব্যক্তিগত ভাবনা আর লেখালেখির নানা বিষয়। কথা বলেছেন তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলীকে নিয়েও। তার মুখ নিঃসৃত সেই কথাগুলো আজও যেন জীবন্ত। ২৫ মে ২০১২ সালে নুহাশপল্লীতে সারা দিন ধাপে ধাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গল্প করেছেন তিনি। প্রতিবেদকের চোখে সেই স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে। পাঠকের অনুরোধ এবং সেই সাক্ষাৎকারের চিরন্তন আবেদনের কারণে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন— জাকারিয়া সৌখিন ও রণক ইকরাম

 

...একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি...

 

কি চিন্তা থেকে গাজীপুরের এই অরণ্যে ‘নুহাশপল্লী’ করেছিলেন?

আসল কারণ হচ্ছে গাছ। গাছের প্রতি আমার মমতা আছে। আর আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে গাছের কাছে আমরা অসম্ভব ঋণী। আমরা এই ঋণটা কখনো স্বীকার করছি না। আমরা তাকে জ্বালাচ্ছি— আগুনে পোড়াচ্ছি অথচ প্রতিনিয়ত আমরা গাছের কাছেই হাত পাতছি। সেখানে থেকেই নুহাশপল্লী।

 

গাছ-গাছালি সন্তানের মতো ভালোবাসছেন। ওদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়?

আমি কথা বলি। ওরা বুঝতে পারে কি-না, জানি না। একটা গাছকে যদি দেখি খুবই দুর্বল, আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াই। জিজ্ঞেস করি— ‘কিরে ব্যাটা। এই অবস্থা কী জন্যে? সমস্যাটা কী বল আমারে।’ মেবি ওরা আমাকে অ্যান্সার করে, বাট আমি ধরতে পারি না।

 

নুহাশপল্লী-যশখ্যাতি সব হয়তো একদিন থাকবে। আপনিই থাকবেন না। এই ভেবে আফসোস হয়?

না। আফসোস হবে কেন? আমার এক জীবনে আমি নুহাশপল্লী দেখেছি। ভালোবাসা পেয়েছি। তাই মরার আগেও আমার আফসোস থাকার কথা নয়। যখন মরতে হবে মরে যাব, তাই না?

 

এত মানসিক শক্তি আপনার। মানসিক শক্তিই কি আপনাকে সুস্থ করে তুলছে?

না। প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে অনেক মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। কিন্তু তাদেরকে শেষ পর্যন্ত ডিজিজ-এর কাছে হার মানতে হয়েছে। অ্যাপলোর স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভ জনবস, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল? তারপর জ্যো ফ্রেজিয়ে, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল?

 

হুগো শ্যাভেজ কিন্তু ফিরেছেন!

বলা হয়েছে তিনি সুস্থ। কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। আরও আগে একবার বলা হয়েছিল তিনি সুস্থ। পরে আবার চিকিৎসা হলো। আবার এলো, আবার গেল। উনি পলিটিক্যাল লোক। পলিটিক্যাল লোকদের কোনো বিশ্বাস করতে নেই।

 

মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

ধর্মীয়ভাবে একটা ধারণা সবার মধ্যে আছে। কিন্তু আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, দ্যা মোমেন্ট আই উইল ডাই— আমি মাটির সঙ্গে মিশে যাব।

 

তাহলে মৃত্যুটা আপনার কাছে কেমন?

মৃত্যুটা আমার কাছে খুবই পেইনফুল। একটা মানুষ এত ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, ৭০-৮০ বছর বাঁচে সে। অথচ একটা কচ্ছপ সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, হোয়াই? কচ্ছপের মতো একটা প্রাণী কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচবে? আমরা কেন নই?

 

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’। আপনি কি বলবেন?

আবার একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মরণরে তুহু মম শামও সমান’। [মৃদু হেসে] উল্টা দুই রকম কথা বলে গেছেন। শোন, কবি-সাহিত্যিকরা অনেক কথা বলে। এগুলা নিয়া ঘামাও ক্যান?

 

আপনার কষ্ট, আপনার সুখ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

আমার কোনো কষ্ট নেই। আর সুখের কথা বললে বলব অবশ্যই আমি অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ আমি জানি, কি করে সুখ আহরণ করতে হয়।

 

তাহলে স্বপ্ন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি...

আমি নিজেকে নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা কখনোই করি না। আমি খুবই একটা সুখী মানুষ ছিলাম। এখনো সুখী। কাজেই বলা যেতে পারে, আমি তৃপ্ত। আর কী পেয়েছি, কী না পেয়েছি, ভাবি না। যা পাইছি ভালো, না পাইলে নাই। হা-হুতাশ করে লাভ নেই।

 

পথ চলতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এতটা পথ পেরিয়ে এসে, জীবনের শেষ উপলব্ধি মানে রিয়েলাইজেশনটা কী?

শেষ রিয়েলাইজেশন হচ্ছে ‘জীবন অনেক, অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার’। তারা শঙ্করের কবির মতন মাঝে-মধ্যে আমার বলার ইচ্ছা করে, জীবন এত ছোট ক্যানে? ওই যে একটু আগে বললাম, একটা কচ্ছপ কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, মানুষ কেন বাঁচে না। জীবনটা আমার খুব ছোট মনে হয়। তোমাদের মনে হয় না? নাকি এখনো টের পাও নাই? টের পাইবা...

 

আমেরিকার দিনগুলো কেমন ছিল?

ওখানকার দিনগুলো ঠাণ্ডা। প্রচণ্ড রকম ঠাণ্ডা। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরের ভিতরে বন্দী। ভাইরে আমরা গরম দেশের মানুষ। এইটা একটা সমস্যা। আর কেমোথেরাপি যারা নেয় তাদের বডি হয়ে যায় কোল্ড সেনসেটিভ। সেটা একটা সমস্যা। কাজেই একটা ছোট ঘরের ভিতরে আমার আমেরিকা জীবন। বাচ্চাগুলো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়তো আনন্দ পায়। বাকি সময় তো ঘরের ভিতরে বন্দী।

 

নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ। বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশের কী কী মিস করেছেন?

দেশের অনেক কিছুই মিস করেছি। গাছপালা— বিশেষ করে মিস করেছি নুহাশপল্লীর গাছগুলোকে। জানতে ইচ্ছে করছিল, এরা কেমন আছে। দেশের বৃষ্টি খুব মিস করেছি। এসে শুনি বৃষ্টিই নাকি হয় না। দেশের খাবারও মিস করেছি।

 

ডাক্তার বোধহয় প্রথমে আপনাকে বলেছিল, দুই বছর বাঁচবেন। এইটা শোনার পর আপনার কেমন লেগেছিল?

আমি বিষয়টি নরমালি নিয়েছি। অনেক মানুষের তো ক্যান্সার হয় না। কিন্তু তারা তো রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। কাজেই মৃত্যু নিয়ে এত চিন্তা করে কোনো লাভ আছে?

 

স্যার, বাঙালিরা মনে হয় একটু বেশিই ভীতু। ক্যান্সার টাইপের ভয়াবহ রোগ হয়েছে শুনলেই বিচিত্র সব আচরণ করতে শুরু করে। খুঁজে খুঁজে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে। স্বজনদের সঙ্গে ক্ষমা চাইতে শুরু করে... ইত্যাদি ইত্যাদি... আপনি ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

শোনো। ভয়টা কেবল বাঙালির মধ্যেই আছে তা নয়। ভয় সবারই আছে। সারা পৃথিবীর মধ্যেই আছে। ক্যান্সার নিয়ে একটা বই আছে। ওখানে লেখা আছে যদি যেদিন তোমার ক্যান্সার ভিটেক্ট হবে, সেদিন একটা কাজ কর। বাথরুমে ঢুইকা দরজাটা বন্ধ কর। বিকট চিৎকার করে কাইন্দো। এতে তোমার টেনশন একটু কমবে। এটা আমেরিকান ক্যান্সার থেলাপিস্টদের লেখা। তার মানে ওরা কী ভয় কম পাচ্ছে? মৃত্যুটা একটা ভয়ানক বিষয়। উই অল আর ইন এন ইনটেলিজেন্স রেইস। আমরা বেকুবের জাত হইলে কোনো টেনশন থাকত না। কী হইছে মরবো না— এই রকম মনে হইত। কাজেই ভয় তো পাইতেই পারি।

 

চিকিৎসকরা আপনাকে কথা বলতে বারণ করেছেন। বাকরুদ্ধ থাকার যাতনা কেমন?

বিষয়টি ঠিক নয়। ডাক্তার আমাকে কথা বলতে বারণ করেনি। তবে আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। কেননা একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। নতুন একজন লোকের কাছ থেকে খুব দ্রুত রোগটা ছড়িয়ে পড়বে ক্যান্সার রোগীর দেহে। আর সেজন্য আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। তাই বলেছে, কথা না বলতে।

 

এই যে আজকে এত ঝুঁকির মধ্যেও আপনি আমাদের সময় দিচ্ছেন। গল্প করছেন। ঠিক একই সিচুয়েশনে আপনার জায়গায় যদি মিসির আলী কিংবা হিমু পড়ত তাহলেও ওদের আচরণ কী হতো?

ভিন্ন রকম হতো। যেহেতু পুরোটাই কাল্পনিক, আমার মনে হয় মিসির আলী কোনো কথা বলত না। সে লজিক্যাল মানুষ। বলত, আমার কিছু বলার নেই। অন্যদিকে হিমু যেটা করত তা হলো, খালি পায়ে হয়তো তোমাদেরকে জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখাত।

 

আপনার মনের জোর অনেক। তবুও ক্যান্সার বলে কথা। একটুও কি আতঙ্কগ্রস্ত হননি?

আসলে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়। আমি চিন্তা করে দেখলাম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লাভ কী! আতঙ্কগ্রস্ত হলেও মরতে হবে, না হলেও মরতে হবে। তাই আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে মরাটাই ভালো নয়? আমিও লাইনে গেছি। আর ভয় তো পেয়েছি বটেই। আমি যদি ভয়টা প্রকাশ করি, আমার দুটা ছোট বাচ্চা, একটা ইয়াং ওয়াইফ আছে। আমি যদি সামান্য ভয় পাই, তাহলে এরা এরচেয়ে অনেক বেশি ভয় পাবে। আমি তাদেরকে এই ভয়টা দেখাতে চাচ্ছি না। তাদের মনটাকে ছোট করে আমার কী লাভ? বরঞ্চ তারা যদি দেখে আই অ্যাম ভেরি স্ট্রং, তারাও এক ধরনের স্ট্রেংথ পায়। ভয় পাব না, এমন সাহসী মানুষ আমি নই।

 

স্যার, একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপনার প্রিয় স্থানগুলোর নামের সঙ্গে বিলাস আছে। যেমন সমুদ্র বিলাস, বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস। সবই তো বিলাস।

একটা বনবিলাস থাকলে ভালো হতো, তাই না? জঙ্গলের মধ্যে বাড়ি। এইডা বাদ পড়ে গেছে।

 

বিলাস কেন?

বিলাস মানে আমরা সবাই বিলাসী না! আমি সবকিছুতে আনন্দ খুঁজি আর সেজন্যই নামে বিলাস থাকে।

 

প্রকৃতি আপনার খুব প্রিয়। বেশি প্রিয় কোনটি?

সমুদ্র।

 

কেন?

কারণ প্রতিনিয়ত সমুদ্র চেঞ্জ হচ্ছে। এই ঢেউ আসল, এই ঢেউ নাই। সূর্যের আলো এই এক রকম দেখাচ্ছে, এই অন্যরকম দেখাচ্ছে।

 

এই জন্যই কি ‘সমুদ্র বিলাস’টা সেন্টমার্টিনে করেছিলেন?

হ্যাঁ। শেষ বেলাটা যেন সমুদ্র দেখতে দেখতে আমার জীবনের ইতি হয়। এই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি সেন্টমার্টিনে একটা জায়গা কিনেছিলাম। একই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি টেকনাফেও একটা জায়গা কিনেছিলাম।

 

আপনার অবস্থানে আপনি ঈর্ষণীয় পর্যায়ের জনপ্রিয়তার অধিকারী। একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় সেই জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

সিম্পল। আমি খুশি যে, আমি লিখতে পারছি। এতেও খুশি যে, কারও কারও কাছে সেটি ভালো লাগছে। সাধারণ মানুষ হয়তো লেখার চেষ্টা করেনি বা করলেও আমার মতো উপভোগ করতে পারেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি অনেক বড় কিছু আর আরেকজন ‘সাধারণ’। উই অল আর হিউম্যান বিং। আমাদের সবার মধ্যেই চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, আনন্দ-বেদনা অনুভূতি আছে। আমি সে সব মানুষের তুলনায় মোটেও আলাদা নই। কখনো সেটা দাবিও করি না।

 

৪২ বছর ধরে লেখালেখি করছেন, ক্লান্ত লাগেনি কখনো?

লেখালেখির কাজটি আমার কাছে কখনোই ক্লান্তিকর মনে হয়নি। আমার কাছে এটি খুবই আনন্দময় কাজ। আর সেই আনন্দ থেকেই লিখে যাচ্ছি।

 

আপনার কর্মে আপনি কতটা তৃপ্ত? সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত কিসে? অতৃপ্তি আছে কী?

আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যারা কোনো কিছুতেই তৃপ্ত নয়। কিন্তু আমি খুব অল্পতেই তৃপ্ত। অতৃপ্তি ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। আর যখন যে কাজটা করি সেটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত হই। আমি যে ছবিটা বানালাম আমার কাছে মনে হয় এটাই আমার সেরা কাজ। সেরা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা নতুন কাজ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি আমি ক্রিয়েটিভ লোক না। কারণ শুনেছি ক্রিয়েটিভ লোকদের তৃপ্তি থাকতে হয় না, অতৃপ্তি থাকতে হয়।

 

নিউইয়র্কে ছবি এঁকেছেন। ছবির বিষয়গুলো কী?

বিষয় প্রকৃতি। আমি তো অ্যাবস্ট্রাক্টয়ের মধ্যে যাই না। দুই-তিনডা টান দিয়া ছাইড়া দিলাম। একটা বিশাল কিছু হইয়া গেল। আমি এর মধ্যে নাই। আমার বিষয় প্রকৃতি।

 

আঁকাআঁকির চিন্তাটা কীভাবে এলো?

এটা কমবেশি সবার থাকে। আমি ছবি আঁকলাম বলে বিশাল কিছু হয়ে গেল এমন না। ছোটবেলায় আমরা সবাই ছবি আঁকি। তবে আমার ব্যাপারটা জেনেটিক কি না জানি না। আমার এক ভাই আহসান হাবিব তো কার্টুন পত্রিকা উন্মাদ সম্পাদক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল গণকণ্ঠে স্টাফ কার্টুনিস্ট ছিল।

 

অনেকেই হিমু বা মিসির আলী সাজার চেষ্টা করেছে। আপনার ব্যক্তিগত অবজারভেশন থেকে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন, যাকে হিমু বা মিসির আলীর সঙ্গে মিলে যায়?

মিসির আলী হচ্ছে লজিক্যাল লোক। এরকম লজিকনির্ভর লোক প্রচুর আছে। আর হিমু এন্টিলজিক্যাল লোক। সে ভালো লাগার উপরে চলে। এরকম লোকও কিন্তু প্রচুর আছে।

 

অনেকেই হিমুকে নিজের মধ্যে লালন করে হিমু সাজতে চায়। আপনি বিষয়টি কীভাবে নেন?

আমি মজা পাই। আবার দুঃখও পাই আরেক সেন্সে। আমাদের এখানে সাই-কিয়াট্রিস্টরা অনেক ওয়ার্ড ব্যবহার করে। আর সেখানে একটি ওয়ার্ড আছে ‘হিমু’ ওয়ার্ড। তার মানে হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে। আমার একবার যাইতে হইছিল ওদের কাছে। বাচ্চারা যারা হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ওদেরকে বোঝানোর জন্য যে, এতে পাগল হওয়ার কিছু নেই। আমি মনে খুবই কষ্ট পেলাম এদেরকে দেখে। এরা হিমু সেজে পাগল হয়ে বসা। আমি ওদেরকে বুঝাইয়া বলতে গেলাম, শোনো এই হিমুগুলি আমার লেখা। কাজেই আমি জানি, এটা ফিকশন। এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কিছু নেই। এরা আমার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আমি কিছু বুঝি না। কিছু জানি না।

 

হুমায়ূন সাহিত্য পড়লে একজন পাঠকের কি প্রত্যাশা পূরণ হবে?

সে আনন্দটা পাবে। পড়ার আনন্দটা পাবে এটুকু বলতে পারি। কিন্তু সে যে পড়ে বিশাল জ্ঞানী হয়ে যাবে, আমি সেটা মনে করি না। বিশাল একটা বোধ তৈরি হবে, সেটাও আমি মনে করি না।

 

কিন্তু এরপরও আপনার অনেক লেখায় আনন্দ দানের পাশাপাশি বৃক্ষ, দর্শন, রসায়ন, বিজ্ঞানসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই থাকে।

সেটা অপরিহার্য বলে আসে। কিন্তু আমি বলি না। কারণ আমি নিজে লিখে আনন্দ পাই এবং এমনভাবে লেখার চেষ্টা করি যাতে করে পাঠক পড়ে আনন্দ পায়। জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই।

 

আপনার হিমু মিসির আলী শুভ্র চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এসব চরিত্রগুলোর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি কোন চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে?

সব চরিত্রেই একটু একটু করে আছে। খুবই অল্পভাবে আছে। সেরকমভাবে কারও মধ্যেই নেই।

 

পুনর্জন্ম থাকলে হিমু মিসির আলী নাকি শুভ্র— কী হতে চাইবেন?

পুনর্জন্ম বলে কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে পরের জন্মে আমি অবশ্যই মিসির আলী হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাই।

 

মিসির আলী কেন?

লজিক। মিসির আলী লজিক্যাল লোক। আমার লজিক পছন্দ।

 

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আজকের যে বিশালত্ব আপনাকে তার জাদুকর বলা যায়। আপনি কি মনে করেন? 

বাংলা সাহিত্যে অনেক বড় বড় জাদুকর তৈরি হয়েছে। আমি জাদুকর নই। আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে। সেবা করে যাচ্ছি। সেবা করার যে সুযোগটা পেয়েছি এতেই আমি খুশি। লোকজন আগ্রহ নিয়ে আমার বই পড়ছে, এটাই আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। আর কতটুকু দিতে পেরেছি না পেরেছি সেটি ভাববে সমালোচকরা, সমাজবিদরা। আমার কাজ হচ্ছে, শুধু লেখালেখি করা।

 

নতুন যারা লিখছে তারা কেমন করছে?

একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি।

 

কিন্তু আপনাকে দেখে অহঙ্কারী মনে হয় না।

আমি অবশ্যই অহঙ্কারী। আমার বাইরেরটা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমি প্রচণ্ড মাত্রায় অহঙ্কারী। কিন্তু সেটা প্রকাশ করি না। প্রকাশ করে কী লাভ?

 

এখন গান লিখেন না?

আমি গীতিকার  নই। তবে মাঝে মাঝে লিখছি, ভালো লাগা থেকে।

 

ভক্ত ও নতুন প্রজন্মের প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী?

জীবনের প্রতি একটা বোধ তৈরি হোক, এটাই চাই। কারণ বেঁচে থাকতে হলে এটা খুবই একটা ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান
হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুলল পাকিস্তান

৫৫ সেকেন্ড আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া
ঢাকায় সকাল শুরু ২০ ডিগ্রিতে, দিনভর যেমন থাকবে আবহাওয়া

১ মিনিট আগে | জাতীয়

ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া
ভারত সফরের দল ঘোষণা প্রোটিয়াদের, ফিরলেন নরকিয়া

২১ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার
সোনারগাঁয়ে যুবদল নেতা বহিষ্কার

২৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২২ নভেম্বর)

৩৩ মিনিট আগে | জাতীয়

শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প

৪৪ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা
সশস্ত্র বাহিনী দিবস ও জাতির অস্তিত্ব রক্ষার অভিযাত্রা

৪৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট
কমেনি প্রশাসনে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের দাপট

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল র‌্যালিতে জামায়াত প্রার্থীর প্রচারণা

৫৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক
যেসব বিষয় পরকালে বিশ্বাসের সম্পূরক

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

তাসকিনের ২৪ রানের ওভার
তাসকিনের ২৪ রানের ওভার

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে কঠিন চাপের মুখে ইউক্রেন

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে
খুশকিমুক্ত চুল পেতে চাইলে

২ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ
আলজারি-শামারের চোটে উইন্ডিজ দলে রোচ

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী

৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১
কুষ্টিয়ায় কৃষককে গুলি করে হত্যা, আহত ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার
মোহাম্মদপুরের শীর্ষ ছিনতাইকারী পিচ্চি আবির গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা
জনগণের ভালো থাকাই আমাদের মূল এজেন্ডা

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল থেকে লাফ, ঢাবির ২১ শিক্ষার্থী আহত

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে
ইসলাম ন্যায়বিচারে উৎসাহিত করে

৭ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি

৭ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক
জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তা, অভিযুক্তকে খুঁজতে গিয়ে আরেক হেনস্তাকারী আটক

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল
উরুর চোটে মাঠের বাইরে আর্সেনাল ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েল

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪

৯ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সর্বাধিক পঠিত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’
‘দেশে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প, শক্তি হিরোশিমা বোমার সমান’

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত
ভূমিকম্প : রাজধানীতে রেলিং ভেঙে ৩ জন নিহত

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ
ভূমিকম্পে দেশের ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন
ভূমিকম্পে বাড্ডায় হেলে পড়ল ভবন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস
ভূমিকম্পে দেশের বিভিন্ন স্থানের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আরমানিটোলা, ধসে পড়েছে ভবনের একাংশ

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী
এটি বড় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা: গবেষক আনসারী

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি
যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন পরিকল্পনা মানতে রাজি জেলেনস্কি

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে শতাধিক শ্রমিক আহত

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬, আহত শতাধিক

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
নাটকীয় সুপার ওভারে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে
ভূমিকম্প : ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ২১ জন ঢামেকে

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা
ভূমিকম্প নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বার্তা

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ
অ্যাশেজে ইতিহাসে লিখল বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?
কেন ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেয়া যায় না?

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২
ভূমিকম্পে দেয়াল ধসে নবজাতকের মৃত্যু, মাসহ আহত ২

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কন্ট্রোল রুম চালু করলো সরকার

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে

১২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে একজনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন
শিক্ষা ক্যাডারে বড় পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ জন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা

১১ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও
ভূমিকম্পে কাঁপল কলকাতাও

২০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি
মাছের বাজার চড়া, মুরগি-ডিমে কিছুটা স্বস্তি

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ
মিস ইউনিভার্স হলেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ

২০ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
‌‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী
লন্ডভন্ড উৎপত্তিস্থল নরসিংদী

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই
পুলিশের নতুন পোশাক নিয়ে আলোচনা চলছেই

পেছনের পৃষ্ঠা

ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম
ভয়ংকর ঝুঁকিতে পুরান ঢাকা সিলেট ও চট্টগ্রাম

প্রথম পৃষ্ঠা

৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের
৭০০ উইকেটের স্বপ্ন তাইজুলের

মাঠে ময়দানে

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা
শাবনূরকে নিয়ে অশান্তি চলত সালমানের সংসারে : লিমা

শোবিজ

হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে
হাস্যোজ্জ্বল খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই শাবানা এই শাবানা
সেই শাবানা এই শাবানা

শোবিজ

প্রশাসনিক চাঁদাবাজি
প্রশাসনিক চাঁদাবাজি

প্রথম পৃষ্ঠা

ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ
ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

লাউয়ের গ্রাম লালমতি
লাউয়ের গ্রাম লালমতি

শনিবারের সকাল

বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ
বিদেশিদের বন্দর ইজারা হুমকিস্বরূপ

নগর জীবন

পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন
পার্থে এক দিনে ১৯ উইকেটের পতন

মাঠে ময়দানে

সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন
সুস্থ জীবনের জন্য হাফ ম্যারাথন

মাঠে ময়দানে

নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা
নষ্ট যন্ত্রে বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

পেছনের পৃষ্ঠা

সেই কলমতর
সেই কলমতর

শোবিজ

মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার
মেয়েদের আইপিএল নিলামে বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার

মাঠে ময়দানে

আলোছায়ায় মেহজাবীন
আলোছায়ায় মেহজাবীন

শোবিজ

উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন
উত্তরাঞ্চলে ঝুঁকিতে হাজারো ভবন

নগর জীবন

বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ
বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত করার ম্যাচ

মাঠে ময়দানে

সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব
সিরাজগঞ্জ দিনাজপুরে ফুটবল উৎসব

মাঠে ময়দানে

অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়
অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর চরবিজয়

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব
বসুন্ধরা ইনডোর টেনিস কোর্টে চায়নিজ ব্যাডমিন্টন উৎসব

মাঠে ময়দানে

সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে  - প্রধান উপদেষ্টা
সুষ্ঠু নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে - প্রধান উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড
নির্বাচনে দুর্নীতিবাজদের লাল কার্ড

প্রথম পৃষ্ঠা

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী
চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তোফায়েল আহমেদের স্ত্রী

নগর জীবন

জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ
জিএসপি টার্গেটে সাত দেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন
ব্রিটেনে নতুন ইমিগ্রেশন নীতি, বাংলাদেশিদের জন্য দুঃস্বপ্ন

পেছনের পৃষ্ঠা

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই

নগর জীবন

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

প্রথম পৃষ্ঠা