শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত শেষ সাক্ষাৎকার

‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। শরীর ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেও তার অজস্র্র সৃষ্টি আমাদের দোলা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত ১৯ জুলাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে সেই স্মৃতিগুলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগে ২৮ মে ২০১২ সালে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকারে কলম জাদুকরের মানসিক শক্তি,  মৃত্যুচিন্তা, লেখালেখি, ভালো লাগা, মন্দ লাগাসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছিল। তিনি অকপটে বলেছেন তার জীবনদর্শন, ব্যক্তিগত ভাবনা আর লেখালেখির নানা বিষয়। কথা বলেছেন তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলীকে নিয়েও। তার মুখ নিঃসৃত সেই কথাগুলো আজও যেন জীবন্ত। ২৫ মে ২০১২ সালে নুহাশপল্লীতে সারা দিন ধাপে ধাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গল্প করেছেন তিনি। প্রতিবেদকের চোখে সেই স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে। পাঠকের অনুরোধ এবং সেই সাক্ষাৎকারের চিরন্তন আবেদনের কারণে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন— জাকারিয়া সৌখিন ও রণক ইকরাম

 

...একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি...

 

কি চিন্তা থেকে গাজীপুরের এই অরণ্যে ‘নুহাশপল্লী’ করেছিলেন?

আসল কারণ হচ্ছে গাছ। গাছের প্রতি আমার মমতা আছে। আর আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে গাছের কাছে আমরা অসম্ভব ঋণী। আমরা এই ঋণটা কখনো স্বীকার করছি না। আমরা তাকে জ্বালাচ্ছি— আগুনে পোড়াচ্ছি অথচ প্রতিনিয়ত আমরা গাছের কাছেই হাত পাতছি। সেখানে থেকেই নুহাশপল্লী।

 

গাছ-গাছালি সন্তানের মতো ভালোবাসছেন। ওদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়?

আমি কথা বলি। ওরা বুঝতে পারে কি-না, জানি না। একটা গাছকে যদি দেখি খুবই দুর্বল, আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াই। জিজ্ঞেস করি— ‘কিরে ব্যাটা। এই অবস্থা কী জন্যে? সমস্যাটা কী বল আমারে।’ মেবি ওরা আমাকে অ্যান্সার করে, বাট আমি ধরতে পারি না।

 

নুহাশপল্লী-যশখ্যাতি সব হয়তো একদিন থাকবে। আপনিই থাকবেন না। এই ভেবে আফসোস হয়?

না। আফসোস হবে কেন? আমার এক জীবনে আমি নুহাশপল্লী দেখেছি। ভালোবাসা পেয়েছি। তাই মরার আগেও আমার আফসোস থাকার কথা নয়। যখন মরতে হবে মরে যাব, তাই না?

 

এত মানসিক শক্তি আপনার। মানসিক শক্তিই কি আপনাকে সুস্থ করে তুলছে?

না। প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে অনেক মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। কিন্তু তাদেরকে শেষ পর্যন্ত ডিজিজ-এর কাছে হার মানতে হয়েছে। অ্যাপলোর স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভ জনবস, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল? তারপর জ্যো ফ্রেজিয়ে, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল?

 

হুগো শ্যাভেজ কিন্তু ফিরেছেন!

বলা হয়েছে তিনি সুস্থ। কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। আরও আগে একবার বলা হয়েছিল তিনি সুস্থ। পরে আবার চিকিৎসা হলো। আবার এলো, আবার গেল। উনি পলিটিক্যাল লোক। পলিটিক্যাল লোকদের কোনো বিশ্বাস করতে নেই।

 

মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

ধর্মীয়ভাবে একটা ধারণা সবার মধ্যে আছে। কিন্তু আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, দ্যা মোমেন্ট আই উইল ডাই— আমি মাটির সঙ্গে মিশে যাব।

 

তাহলে মৃত্যুটা আপনার কাছে কেমন?

মৃত্যুটা আমার কাছে খুবই পেইনফুল। একটা মানুষ এত ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, ৭০-৮০ বছর বাঁচে সে। অথচ একটা কচ্ছপ সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, হোয়াই? কচ্ছপের মতো একটা প্রাণী কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচবে? আমরা কেন নই?

 

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’। আপনি কি বলবেন?

আবার একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মরণরে তুহু মম শামও সমান’। [মৃদু হেসে] উল্টা দুই রকম কথা বলে গেছেন। শোন, কবি-সাহিত্যিকরা অনেক কথা বলে। এগুলা নিয়া ঘামাও ক্যান?

 

আপনার কষ্ট, আপনার সুখ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

আমার কোনো কষ্ট নেই। আর সুখের কথা বললে বলব অবশ্যই আমি অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ আমি জানি, কি করে সুখ আহরণ করতে হয়।

 

তাহলে স্বপ্ন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি...

আমি নিজেকে নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা কখনোই করি না। আমি খুবই একটা সুখী মানুষ ছিলাম। এখনো সুখী। কাজেই বলা যেতে পারে, আমি তৃপ্ত। আর কী পেয়েছি, কী না পেয়েছি, ভাবি না। যা পাইছি ভালো, না পাইলে নাই। হা-হুতাশ করে লাভ নেই।

 

পথ চলতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এতটা পথ পেরিয়ে এসে, জীবনের শেষ উপলব্ধি মানে রিয়েলাইজেশনটা কী?

শেষ রিয়েলাইজেশন হচ্ছে ‘জীবন অনেক, অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার’। তারা শঙ্করের কবির মতন মাঝে-মধ্যে আমার বলার ইচ্ছা করে, জীবন এত ছোট ক্যানে? ওই যে একটু আগে বললাম, একটা কচ্ছপ কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, মানুষ কেন বাঁচে না। জীবনটা আমার খুব ছোট মনে হয়। তোমাদের মনে হয় না? নাকি এখনো টের পাও নাই? টের পাইবা...

 

আমেরিকার দিনগুলো কেমন ছিল?

ওখানকার দিনগুলো ঠাণ্ডা। প্রচণ্ড রকম ঠাণ্ডা। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরের ভিতরে বন্দী। ভাইরে আমরা গরম দেশের মানুষ। এইটা একটা সমস্যা। আর কেমোথেরাপি যারা নেয় তাদের বডি হয়ে যায় কোল্ড সেনসেটিভ। সেটা একটা সমস্যা। কাজেই একটা ছোট ঘরের ভিতরে আমার আমেরিকা জীবন। বাচ্চাগুলো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়তো আনন্দ পায়। বাকি সময় তো ঘরের ভিতরে বন্দী।

 

নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ। বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশের কী কী মিস করেছেন?

দেশের অনেক কিছুই মিস করেছি। গাছপালা— বিশেষ করে মিস করেছি নুহাশপল্লীর গাছগুলোকে। জানতে ইচ্ছে করছিল, এরা কেমন আছে। দেশের বৃষ্টি খুব মিস করেছি। এসে শুনি বৃষ্টিই নাকি হয় না। দেশের খাবারও মিস করেছি।

 

ডাক্তার বোধহয় প্রথমে আপনাকে বলেছিল, দুই বছর বাঁচবেন। এইটা শোনার পর আপনার কেমন লেগেছিল?

আমি বিষয়টি নরমালি নিয়েছি। অনেক মানুষের তো ক্যান্সার হয় না। কিন্তু তারা তো রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। কাজেই মৃত্যু নিয়ে এত চিন্তা করে কোনো লাভ আছে?

 

স্যার, বাঙালিরা মনে হয় একটু বেশিই ভীতু। ক্যান্সার টাইপের ভয়াবহ রোগ হয়েছে শুনলেই বিচিত্র সব আচরণ করতে শুরু করে। খুঁজে খুঁজে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে। স্বজনদের সঙ্গে ক্ষমা চাইতে শুরু করে... ইত্যাদি ইত্যাদি... আপনি ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

শোনো। ভয়টা কেবল বাঙালির মধ্যেই আছে তা নয়। ভয় সবারই আছে। সারা পৃথিবীর মধ্যেই আছে। ক্যান্সার নিয়ে একটা বই আছে। ওখানে লেখা আছে যদি যেদিন তোমার ক্যান্সার ভিটেক্ট হবে, সেদিন একটা কাজ কর। বাথরুমে ঢুইকা দরজাটা বন্ধ কর। বিকট চিৎকার করে কাইন্দো। এতে তোমার টেনশন একটু কমবে। এটা আমেরিকান ক্যান্সার থেলাপিস্টদের লেখা। তার মানে ওরা কী ভয় কম পাচ্ছে? মৃত্যুটা একটা ভয়ানক বিষয়। উই অল আর ইন এন ইনটেলিজেন্স রেইস। আমরা বেকুবের জাত হইলে কোনো টেনশন থাকত না। কী হইছে মরবো না— এই রকম মনে হইত। কাজেই ভয় তো পাইতেই পারি।

 

চিকিৎসকরা আপনাকে কথা বলতে বারণ করেছেন। বাকরুদ্ধ থাকার যাতনা কেমন?

বিষয়টি ঠিক নয়। ডাক্তার আমাকে কথা বলতে বারণ করেনি। তবে আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। কেননা একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। নতুন একজন লোকের কাছ থেকে খুব দ্রুত রোগটা ছড়িয়ে পড়বে ক্যান্সার রোগীর দেহে। আর সেজন্য আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। তাই বলেছে, কথা না বলতে।

 

এই যে আজকে এত ঝুঁকির মধ্যেও আপনি আমাদের সময় দিচ্ছেন। গল্প করছেন। ঠিক একই সিচুয়েশনে আপনার জায়গায় যদি মিসির আলী কিংবা হিমু পড়ত তাহলেও ওদের আচরণ কী হতো?

ভিন্ন রকম হতো। যেহেতু পুরোটাই কাল্পনিক, আমার মনে হয় মিসির আলী কোনো কথা বলত না। সে লজিক্যাল মানুষ। বলত, আমার কিছু বলার নেই। অন্যদিকে হিমু যেটা করত তা হলো, খালি পায়ে হয়তো তোমাদেরকে জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখাত।

 

আপনার মনের জোর অনেক। তবুও ক্যান্সার বলে কথা। একটুও কি আতঙ্কগ্রস্ত হননি?

আসলে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়। আমি চিন্তা করে দেখলাম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লাভ কী! আতঙ্কগ্রস্ত হলেও মরতে হবে, না হলেও মরতে হবে। তাই আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে মরাটাই ভালো নয়? আমিও লাইনে গেছি। আর ভয় তো পেয়েছি বটেই। আমি যদি ভয়টা প্রকাশ করি, আমার দুটা ছোট বাচ্চা, একটা ইয়াং ওয়াইফ আছে। আমি যদি সামান্য ভয় পাই, তাহলে এরা এরচেয়ে অনেক বেশি ভয় পাবে। আমি তাদেরকে এই ভয়টা দেখাতে চাচ্ছি না। তাদের মনটাকে ছোট করে আমার কী লাভ? বরঞ্চ তারা যদি দেখে আই অ্যাম ভেরি স্ট্রং, তারাও এক ধরনের স্ট্রেংথ পায়। ভয় পাব না, এমন সাহসী মানুষ আমি নই।

 

স্যার, একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপনার প্রিয় স্থানগুলোর নামের সঙ্গে বিলাস আছে। যেমন সমুদ্র বিলাস, বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস। সবই তো বিলাস।

একটা বনবিলাস থাকলে ভালো হতো, তাই না? জঙ্গলের মধ্যে বাড়ি। এইডা বাদ পড়ে গেছে।

 

বিলাস কেন?

বিলাস মানে আমরা সবাই বিলাসী না! আমি সবকিছুতে আনন্দ খুঁজি আর সেজন্যই নামে বিলাস থাকে।

 

প্রকৃতি আপনার খুব প্রিয়। বেশি প্রিয় কোনটি?

সমুদ্র।

 

কেন?

কারণ প্রতিনিয়ত সমুদ্র চেঞ্জ হচ্ছে। এই ঢেউ আসল, এই ঢেউ নাই। সূর্যের আলো এই এক রকম দেখাচ্ছে, এই অন্যরকম দেখাচ্ছে।

 

এই জন্যই কি ‘সমুদ্র বিলাস’টা সেন্টমার্টিনে করেছিলেন?

হ্যাঁ। শেষ বেলাটা যেন সমুদ্র দেখতে দেখতে আমার জীবনের ইতি হয়। এই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি সেন্টমার্টিনে একটা জায়গা কিনেছিলাম। একই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি টেকনাফেও একটা জায়গা কিনেছিলাম।

 

আপনার অবস্থানে আপনি ঈর্ষণীয় পর্যায়ের জনপ্রিয়তার অধিকারী। একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় সেই জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

সিম্পল। আমি খুশি যে, আমি লিখতে পারছি। এতেও খুশি যে, কারও কারও কাছে সেটি ভালো লাগছে। সাধারণ মানুষ হয়তো লেখার চেষ্টা করেনি বা করলেও আমার মতো উপভোগ করতে পারেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি অনেক বড় কিছু আর আরেকজন ‘সাধারণ’। উই অল আর হিউম্যান বিং। আমাদের সবার মধ্যেই চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, আনন্দ-বেদনা অনুভূতি আছে। আমি সে সব মানুষের তুলনায় মোটেও আলাদা নই। কখনো সেটা দাবিও করি না।

 

৪২ বছর ধরে লেখালেখি করছেন, ক্লান্ত লাগেনি কখনো?

লেখালেখির কাজটি আমার কাছে কখনোই ক্লান্তিকর মনে হয়নি। আমার কাছে এটি খুবই আনন্দময় কাজ। আর সেই আনন্দ থেকেই লিখে যাচ্ছি।

 

আপনার কর্মে আপনি কতটা তৃপ্ত? সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত কিসে? অতৃপ্তি আছে কী?

আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যারা কোনো কিছুতেই তৃপ্ত নয়। কিন্তু আমি খুব অল্পতেই তৃপ্ত। অতৃপ্তি ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। আর যখন যে কাজটা করি সেটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত হই। আমি যে ছবিটা বানালাম আমার কাছে মনে হয় এটাই আমার সেরা কাজ। সেরা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা নতুন কাজ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি আমি ক্রিয়েটিভ লোক না। কারণ শুনেছি ক্রিয়েটিভ লোকদের তৃপ্তি থাকতে হয় না, অতৃপ্তি থাকতে হয়।

 

নিউইয়র্কে ছবি এঁকেছেন। ছবির বিষয়গুলো কী?

বিষয় প্রকৃতি। আমি তো অ্যাবস্ট্রাক্টয়ের মধ্যে যাই না। দুই-তিনডা টান দিয়া ছাইড়া দিলাম। একটা বিশাল কিছু হইয়া গেল। আমি এর মধ্যে নাই। আমার বিষয় প্রকৃতি।

 

আঁকাআঁকির চিন্তাটা কীভাবে এলো?

এটা কমবেশি সবার থাকে। আমি ছবি আঁকলাম বলে বিশাল কিছু হয়ে গেল এমন না। ছোটবেলায় আমরা সবাই ছবি আঁকি। তবে আমার ব্যাপারটা জেনেটিক কি না জানি না। আমার এক ভাই আহসান হাবিব তো কার্টুন পত্রিকা উন্মাদ সম্পাদক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল গণকণ্ঠে স্টাফ কার্টুনিস্ট ছিল।

 

অনেকেই হিমু বা মিসির আলী সাজার চেষ্টা করেছে। আপনার ব্যক্তিগত অবজারভেশন থেকে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন, যাকে হিমু বা মিসির আলীর সঙ্গে মিলে যায়?

মিসির আলী হচ্ছে লজিক্যাল লোক। এরকম লজিকনির্ভর লোক প্রচুর আছে। আর হিমু এন্টিলজিক্যাল লোক। সে ভালো লাগার উপরে চলে। এরকম লোকও কিন্তু প্রচুর আছে।

 

অনেকেই হিমুকে নিজের মধ্যে লালন করে হিমু সাজতে চায়। আপনি বিষয়টি কীভাবে নেন?

আমি মজা পাই। আবার দুঃখও পাই আরেক সেন্সে। আমাদের এখানে সাই-কিয়াট্রিস্টরা অনেক ওয়ার্ড ব্যবহার করে। আর সেখানে একটি ওয়ার্ড আছে ‘হিমু’ ওয়ার্ড। তার মানে হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে। আমার একবার যাইতে হইছিল ওদের কাছে। বাচ্চারা যারা হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ওদেরকে বোঝানোর জন্য যে, এতে পাগল হওয়ার কিছু নেই। আমি মনে খুবই কষ্ট পেলাম এদেরকে দেখে। এরা হিমু সেজে পাগল হয়ে বসা। আমি ওদেরকে বুঝাইয়া বলতে গেলাম, শোনো এই হিমুগুলি আমার লেখা। কাজেই আমি জানি, এটা ফিকশন। এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কিছু নেই। এরা আমার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আমি কিছু বুঝি না। কিছু জানি না।

 

হুমায়ূন সাহিত্য পড়লে একজন পাঠকের কি প্রত্যাশা পূরণ হবে?

সে আনন্দটা পাবে। পড়ার আনন্দটা পাবে এটুকু বলতে পারি। কিন্তু সে যে পড়ে বিশাল জ্ঞানী হয়ে যাবে, আমি সেটা মনে করি না। বিশাল একটা বোধ তৈরি হবে, সেটাও আমি মনে করি না।

 

কিন্তু এরপরও আপনার অনেক লেখায় আনন্দ দানের পাশাপাশি বৃক্ষ, দর্শন, রসায়ন, বিজ্ঞানসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই থাকে।

সেটা অপরিহার্য বলে আসে। কিন্তু আমি বলি না। কারণ আমি নিজে লিখে আনন্দ পাই এবং এমনভাবে লেখার চেষ্টা করি যাতে করে পাঠক পড়ে আনন্দ পায়। জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই।

 

আপনার হিমু মিসির আলী শুভ্র চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এসব চরিত্রগুলোর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি কোন চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে?

সব চরিত্রেই একটু একটু করে আছে। খুবই অল্পভাবে আছে। সেরকমভাবে কারও মধ্যেই নেই।

 

পুনর্জন্ম থাকলে হিমু মিসির আলী নাকি শুভ্র— কী হতে চাইবেন?

পুনর্জন্ম বলে কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে পরের জন্মে আমি অবশ্যই মিসির আলী হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাই।

 

মিসির আলী কেন?

লজিক। মিসির আলী লজিক্যাল লোক। আমার লজিক পছন্দ।

 

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আজকের যে বিশালত্ব আপনাকে তার জাদুকর বলা যায়। আপনি কি মনে করেন? 

বাংলা সাহিত্যে অনেক বড় বড় জাদুকর তৈরি হয়েছে। আমি জাদুকর নই। আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে। সেবা করে যাচ্ছি। সেবা করার যে সুযোগটা পেয়েছি এতেই আমি খুশি। লোকজন আগ্রহ নিয়ে আমার বই পড়ছে, এটাই আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। আর কতটুকু দিতে পেরেছি না পেরেছি সেটি ভাববে সমালোচকরা, সমাজবিদরা। আমার কাজ হচ্ছে, শুধু লেখালেখি করা।

 

নতুন যারা লিখছে তারা কেমন করছে?

একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি।

 

কিন্তু আপনাকে দেখে অহঙ্কারী মনে হয় না।

আমি অবশ্যই অহঙ্কারী। আমার বাইরেরটা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমি প্রচণ্ড মাত্রায় অহঙ্কারী। কিন্তু সেটা প্রকাশ করি না। প্রকাশ করে কী লাভ?

 

এখন গান লিখেন না?

আমি গীতিকার  নই। তবে মাঝে মাঝে লিখছি, ভালো লাগা থেকে।

 

ভক্ত ও নতুন প্রজন্মের প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী?

জীবনের প্রতি একটা বোধ তৈরি হোক, এটাই চাই। কারণ বেঁচে থাকতে হলে এটা খুবই একটা ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা
পানিতে গলে যাওয়া স্মার্ট মেমোরি চিপ বানালেন কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা

২ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’
‘নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থীকে নির্বাচিত করাতে হবে’

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন
জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা
শারজায় প্রবাসী ফেনীবাসীদের মিলনমেলা

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কপক্ষে ৮৫ জন নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’
জেলা প্রশাসক ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন ‘নীলফামারী ক্যাপিটালস’

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ
ইরানের ইউরেনিয়াম কোথায়, জানে না জাতিসংঘ

৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি
৪৪ তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পিএসসি

৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু
২০৩১ সালে চাঁদে আঘাত হানতে পারে বিরল গ্রহাণু

৪ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির
ছেলের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে প্রাণ গেল দম্পতির

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব কারাগারে

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫
ইসরায়েলের হামলায় ইরানে নিহত বেড়ে ৯৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ
ছেলের সাথে দেখা করে বাড়ি ফেরা হলো না, ট্রেনের ধাক্কায় গেলো দম্পতির প্রাণ

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার
ঢাবির ১০৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার

৫ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড
দুই দিন আগেই একাদশ ঘোষণা করলো ইংল্যান্ড

৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’

৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
এআইইউবি ইন্টার কলেজ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু

৬ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত
৮৮০ ইসরায়েলি সেনা নিহত

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ
গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

৬ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত
মির্জাপুরে বন বিভাগের সাড়ে ৭ একর জমি দখলমুক্ত

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান
ইসরায়েলি আগ্রাসন : পাকিস্তানের ‘সাহসী অবস্থানের’ প্রশংসায় ইরানের সেনাপ্রধান

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু
মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু

১৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী
নেতানিয়াহুকে ‘অবশ্যই চলে যেতে হবে’: সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলাফল অতিরঞ্জিত করেছেন ট্রাম্প: খামেনি

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প
ইরানের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যে শর্ত দিলেন ট্রাম্প

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!
নায়কের মুখে দুর্গন্ধ, অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বিপাশা!

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল
ভালোবেসে বিয়ে, স্ত্রী তালাক দেওয়ায় দুধ দিয়ে গোসল

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ
আদালতের কাঠগড়ায় হাসিমুখে তুহিন, নিশ্চুপ মমতাজ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির আড়ালে ষড়যন্ত্র রয়েছে : এ্যানি

১৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে বেরিয়ে নিখোঁজ মাহিরা উদ্ধার

১৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালগাছ কেটে পাঁচ শতাধিক বাবুই ছানা হত্যায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৫ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সক্ষমতা এখনও আছে, ট্রাম্পের দাবি প্রত্যাখ্যান

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান
ভাঙ্গায় এক্সপ্রেসওয়ের ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

১১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?
ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রের ক্ষতি আসলে কতোটা?

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান
পিআর ইস্যুতে যা বললেন মঈন খান

১০ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’
‘ইরানকে উপড়ে ফেলার ইসরায়েলি চেষ্টা ব্যর্থ’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা
অক্টোবরের আগে ভাঙা রাস্তা মেরামত, সরবে পুরনো বাস : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে
মঙ্গলবার ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে

১৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু
পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ সার্কুলার ২০২৫, মঙ্গলবার থেকে আবেদন শুরু

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়
কক্সবাজারে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে বাধার পাহাড়

২৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’
আমেরিকায় যেভাবে ভয়ানক আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘লাফিং গ্যাস’

৭ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি
ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান
আলোচনায় ফিরতে হলে হামলা না করার নিশ্চয়তা দিতে হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (৩০ জুন)

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান
রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছে চীন : মির্জা ফখরুল

১১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

প্রিন্ট সর্বাধিক
থমথমে নির্বাচন কমিশন
থমথমে নির্বাচন কমিশন

প্রথম পৃষ্ঠা

গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই জুলাই শুরু আজ
সেই জুলাই শুরু আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের পদক্ষেপ

শিল্প বাণিজ্য

কেমন আছে সেন্ট মার্টিন
কেমন আছে সেন্ট মার্টিন

পেছনের পৃষ্ঠা

সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন
সংখ্যানুপাতিক ভোট প্রশ্নে বিভাজন

প্রথম পৃষ্ঠা

ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন
ভোট কেন্দ্র নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা
বেরিয়ে আসছে মুরাদনগরের মূল ঘটনা

প্রথম পৃষ্ঠা

শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা
শেয়ারবাজার থেকে লুট ২০ হাজার কোটি টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে
ভারত থেকে ভিড়ছেন ব্রিটেনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ
রাজশাহীতে চালের দামে দিশাহারা সাধারণ মানুষ

নগর জীবন

পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়
পিআর ইস্যু নিয়ে তারা দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চায়

প্রথম পৃষ্ঠা

এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ
এবার মিরাজদের ওয়ানডে চ্যালেঞ্জ

মাঠে ময়দানে

সংকট জুলাই সনদ নিয়ে
সংকট জুলাই সনদ নিয়ে

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি
বন্দরে অপেক্ষমাণ জাহাজের সারি

নগর জীবন

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!
মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিরা জড়িত আইএসের সঙ্গে!

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর
তিন লাশে মিলছে না অনেক প্রশ্নের উত্তর

প্রথম পৃষ্ঠা

আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসিফ মাহমুদের ব্যাগে ম্যাগাজিন নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পেছনের পৃষ্ঠা

বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের
বাংলাদেশে প্রকল্প বাতিলে উদ্বেগ চীনা বিনিয়োগকারীদের

পেছনের পৃষ্ঠা

এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে
এনসিপির ‘জনতার দুয়ারে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ রংপুর থেকে

নগর জীবন

আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী
আট দিন আটকে রাখার পর উদ্ধার করল যৌথ বাহিনী

পেছনের পৃষ্ঠা

মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই
মিসাইল সঙ্গে রাখলেও আমি আপনি নিরাপদ নই

নগর জীবন

পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল
পিআর পদ্ধতির উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল

নগর জীবন

ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের
ইরানের শোকবইয়ে স্বাক্ষর জামায়াতের

পেছনের পৃষ্ঠা

জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ
জাগপার জুলাইব্যাপী গণসংযোগ

নগর জীবন

অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে
অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বার্তা থাকবে

নগর জীবন

সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে
সরকার জনগণের ভাষা বুঝতে পেরেছে

নগর জীবন

নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ

নগর জীবন

পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ

পেছনের পৃষ্ঠা