শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, শুক্রবার, ২২ জুলাই, ২০১৬ আপডেট:

হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশিত শেষ সাক্ষাৎকার

‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
‘‘আমি জাদুকর নই, আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে’’

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ। শরীর ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেও তার অজস্র্র সৃষ্টি আমাদের দোলা দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত ১৯ জুলাই তার মৃত্যুবার্ষিকীতে আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে সেই স্মৃতিগুলো। বাংলাদেশ প্রতিদিনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর আগে ২৮ মে ২০১২ সালে একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সাক্ষাৎকারে কলম জাদুকরের মানসিক শক্তি,  মৃত্যুচিন্তা, লেখালেখি, ভালো লাগা, মন্দ লাগাসহ অনেক বিষয়ই উঠে এসেছিল। তিনি অকপটে বলেছেন তার জীবনদর্শন, ব্যক্তিগত ভাবনা আর লেখালেখির নানা বিষয়। কথা বলেছেন তার সৃষ্ট চরিত্র হিমু, মিসির আলীকে নিয়েও। তার মুখ নিঃসৃত সেই কথাগুলো আজও যেন জীবন্ত। ২৫ মে ২০১২ সালে নুহাশপল্লীতে সারা দিন ধাপে ধাপে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে গল্প করেছেন তিনি। প্রতিবেদকের চোখে সেই স্মৃতি এখনো জ্বলজ্বলে। পাঠকের অনুরোধ এবং সেই সাক্ষাৎকারের চিরন্তন আবেদনের কারণে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পুনরায় প্রকাশ করা হলো।

সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন— জাকারিয়া সৌখিন ও রণক ইকরাম

 

...একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি...

 

কি চিন্তা থেকে গাজীপুরের এই অরণ্যে ‘নুহাশপল্লী’ করেছিলেন?

আসল কারণ হচ্ছে গাছ। গাছের প্রতি আমার মমতা আছে। আর আমার কাছে সব সময় মনে হয়েছে গাছের কাছে আমরা অসম্ভব ঋণী। আমরা এই ঋণটা কখনো স্বীকার করছি না। আমরা তাকে জ্বালাচ্ছি— আগুনে পোড়াচ্ছি অথচ প্রতিনিয়ত আমরা গাছের কাছেই হাত পাতছি। সেখানে থেকেই নুহাশপল্লী।

 

গাছ-গাছালি সন্তানের মতো ভালোবাসছেন। ওদের সঙ্গে কি আপনার কথা হয়?

আমি কথা বলি। ওরা বুঝতে পারে কি-না, জানি না। একটা গাছকে যদি দেখি খুবই দুর্বল, আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াই। জিজ্ঞেস করি— ‘কিরে ব্যাটা। এই অবস্থা কী জন্যে? সমস্যাটা কী বল আমারে।’ মেবি ওরা আমাকে অ্যান্সার করে, বাট আমি ধরতে পারি না।

 

নুহাশপল্লী-যশখ্যাতি সব হয়তো একদিন থাকবে। আপনিই থাকবেন না। এই ভেবে আফসোস হয়?

না। আফসোস হবে কেন? আমার এক জীবনে আমি নুহাশপল্লী দেখেছি। ভালোবাসা পেয়েছি। তাই মরার আগেও আমার আফসোস থাকার কথা নয়। যখন মরতে হবে মরে যাব, তাই না?

 

এত মানসিক শক্তি আপনার। মানসিক শক্তিই কি আপনাকে সুস্থ করে তুলছে?

না। প্রচণ্ড মানসিক শক্তি নিয়ে অনেক মানুষ পৃথিবীতে এসেছে। কিন্তু তাদেরকে শেষ পর্যন্ত ডিজিজ-এর কাছে হার মানতে হয়েছে। অ্যাপলোর স্বপ্নদ্রষ্টা স্টিভ জনবস, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল? তারপর জ্যো ফ্রেজিয়ে, তার কী মানসিক শক্তি কম ছিল?

 

হুগো শ্যাভেজ কিন্তু ফিরেছেন!

বলা হয়েছে তিনি সুস্থ। কিন্তু নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই। আরও আগে একবার বলা হয়েছিল তিনি সুস্থ। পরে আবার চিকিৎসা হলো। আবার এলো, আবার গেল। উনি পলিটিক্যাল লোক। পলিটিক্যাল লোকদের কোনো বিশ্বাস করতে নেই।

 

মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে আপনার ধারণা কী?

ধর্মীয়ভাবে একটা ধারণা সবার মধ্যে আছে। কিন্তু আমার একান্ত ব্যক্তিগত ধারণা হচ্ছে, দ্যা মোমেন্ট আই উইল ডাই— আমি মাটির সঙ্গে মিশে যাব।

 

তাহলে মৃত্যুটা আপনার কাছে কেমন?

মৃত্যুটা আমার কাছে খুবই পেইনফুল। একটা মানুষ এত ক্ষমতা নিয়ে পৃথিবীতে আসে, ৭০-৮০ বছর বাঁচে সে। অথচ একটা কচ্ছপ সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, হোয়াই? কচ্ছপের মতো একটা প্রাণী কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচবে? আমরা কেন নই?

 

রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘মরিতে চাহি না আমি সুন্দর ভুবনে’। আপনি কি বলবেন?

আবার একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘মরণরে তুহু মম শামও সমান’। [মৃদু হেসে] উল্টা দুই রকম কথা বলে গেছেন। শোন, কবি-সাহিত্যিকরা অনেক কথা বলে। এগুলা নিয়া ঘামাও ক্যান?

 

আপনার কষ্ট, আপনার সুখ সম্পর্কে কিছু বলবেন?

আমার কোনো কষ্ট নেই। আর সুখের কথা বললে বলব অবশ্যই আমি অন্যদের চেয়ে বেশি সুখী। কারণ আমি জানি, কি করে সুখ আহরণ করতে হয়।

 

তাহলে স্বপ্ন, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি...

আমি নিজেকে নিয়ে এত চিন্তা-ভাবনা কখনোই করি না। আমি খুবই একটা সুখী মানুষ ছিলাম। এখনো সুখী। কাজেই বলা যেতে পারে, আমি তৃপ্ত। আর কী পেয়েছি, কী না পেয়েছি, ভাবি না। যা পাইছি ভালো, না পাইলে নাই। হা-হুতাশ করে লাভ নেই।

 

পথ চলতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এতটা পথ পেরিয়ে এসে, জীবনের শেষ উপলব্ধি মানে রিয়েলাইজেশনটা কী?

শেষ রিয়েলাইজেশন হচ্ছে ‘জীবন অনেক, অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার’। তারা শঙ্করের কবির মতন মাঝে-মধ্যে আমার বলার ইচ্ছা করে, জীবন এত ছোট ক্যানে? ওই যে একটু আগে বললাম, একটা কচ্ছপ কেন সাড়ে তিনশ বছর বাঁচে, মানুষ কেন বাঁচে না। জীবনটা আমার খুব ছোট মনে হয়। তোমাদের মনে হয় না? নাকি এখনো টের পাও নাই? টের পাইবা...

 

আমেরিকার দিনগুলো কেমন ছিল?

ওখানকার দিনগুলো ঠাণ্ডা। প্রচণ্ড রকম ঠাণ্ডা। বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। ঘরের ভিতরে বন্দী। ভাইরে আমরা গরম দেশের মানুষ। এইটা একটা সমস্যা। আর কেমোথেরাপি যারা নেয় তাদের বডি হয়ে যায় কোল্ড সেনসেটিভ। সেটা একটা সমস্যা। কাজেই একটা ছোট ঘরের ভিতরে আমার আমেরিকা জীবন। বাচ্চাগুলো স্কুলে যাওয়ার সময় হয়তো আনন্দ পায়। বাকি সময় তো ঘরের ভিতরে বন্দী।

 

নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ। বিদেশ বিভূঁইয়ে দেশের কী কী মিস করেছেন?

দেশের অনেক কিছুই মিস করেছি। গাছপালা— বিশেষ করে মিস করেছি নুহাশপল্লীর গাছগুলোকে। জানতে ইচ্ছে করছিল, এরা কেমন আছে। দেশের বৃষ্টি খুব মিস করেছি। এসে শুনি বৃষ্টিই নাকি হয় না। দেশের খাবারও মিস করেছি।

 

ডাক্তার বোধহয় প্রথমে আপনাকে বলেছিল, দুই বছর বাঁচবেন। এইটা শোনার পর আপনার কেমন লেগেছিল?

আমি বিষয়টি নরমালি নিয়েছি। অনেক মানুষের তো ক্যান্সার হয় না। কিন্তু তারা তো রোড অ্যাকসিডেন্টে মারা যায়। কাজেই মৃত্যু নিয়ে এত চিন্তা করে কোনো লাভ আছে?

 

স্যার, বাঙালিরা মনে হয় একটু বেশিই ভীতু। ক্যান্সার টাইপের ভয়াবহ রোগ হয়েছে শুনলেই বিচিত্র সব আচরণ করতে শুরু করে। খুঁজে খুঁজে নিজের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে। স্বজনদের সঙ্গে ক্ষমা চাইতে শুরু করে... ইত্যাদি ইত্যাদি... আপনি ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?

শোনো। ভয়টা কেবল বাঙালির মধ্যেই আছে তা নয়। ভয় সবারই আছে। সারা পৃথিবীর মধ্যেই আছে। ক্যান্সার নিয়ে একটা বই আছে। ওখানে লেখা আছে যদি যেদিন তোমার ক্যান্সার ভিটেক্ট হবে, সেদিন একটা কাজ কর। বাথরুমে ঢুইকা দরজাটা বন্ধ কর। বিকট চিৎকার করে কাইন্দো। এতে তোমার টেনশন একটু কমবে। এটা আমেরিকান ক্যান্সার থেলাপিস্টদের লেখা। তার মানে ওরা কী ভয় কম পাচ্ছে? মৃত্যুটা একটা ভয়ানক বিষয়। উই অল আর ইন এন ইনটেলিজেন্স রেইস। আমরা বেকুবের জাত হইলে কোনো টেনশন থাকত না। কী হইছে মরবো না— এই রকম মনে হইত। কাজেই ভয় তো পাইতেই পারি।

 

চিকিৎসকরা আপনাকে কথা বলতে বারণ করেছেন। বাকরুদ্ধ থাকার যাতনা কেমন?

বিষয়টি ঠিক নয়। ডাক্তার আমাকে কথা বলতে বারণ করেনি। তবে আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। কেননা একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ক্যান্সার রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। নতুন একজন লোকের কাছ থেকে খুব দ্রুত রোগটা ছড়িয়ে পড়বে ক্যান্সার রোগীর দেহে। আর সেজন্য আমার সামনে ভিজিটর অ্যালাউ নয়। তাই বলেছে, কথা না বলতে।

 

এই যে আজকে এত ঝুঁকির মধ্যেও আপনি আমাদের সময় দিচ্ছেন। গল্প করছেন। ঠিক একই সিচুয়েশনে আপনার জায়গায় যদি মিসির আলী কিংবা হিমু পড়ত তাহলেও ওদের আচরণ কী হতো?

ভিন্ন রকম হতো। যেহেতু পুরোটাই কাল্পনিক, আমার মনে হয় মিসির আলী কোনো কথা বলত না। সে লজিক্যাল মানুষ। বলত, আমার কিছু বলার নেই। অন্যদিকে হিমু যেটা করত তা হলো, খালি পায়ে হয়তো তোমাদেরকে জায়গাটা ঘুরিয়ে দেখাত।

 

আপনার মনের জোর অনেক। তবুও ক্যান্সার বলে কথা। একটুও কি আতঙ্কগ্রস্ত হননি?

আসলে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত হয়। আমি চিন্তা করে দেখলাম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে লাভ কী! আতঙ্কগ্রস্ত হলেও মরতে হবে, না হলেও মরতে হবে। তাই আতঙ্কগ্রস্ত না হয়ে মরাটাই ভালো নয়? আমিও লাইনে গেছি। আর ভয় তো পেয়েছি বটেই। আমি যদি ভয়টা প্রকাশ করি, আমার দুটা ছোট বাচ্চা, একটা ইয়াং ওয়াইফ আছে। আমি যদি সামান্য ভয় পাই, তাহলে এরা এরচেয়ে অনেক বেশি ভয় পাবে। আমি তাদেরকে এই ভয়টা দেখাতে চাচ্ছি না। তাদের মনটাকে ছোট করে আমার কী লাভ? বরঞ্চ তারা যদি দেখে আই অ্যাম ভেরি স্ট্রং, তারাও এক ধরনের স্ট্রেংথ পায়। ভয় পাব না, এমন সাহসী মানুষ আমি নই।

 

স্যার, একটা ইন্টারেস্টিং বিষয়। আপনার প্রিয় স্থানগুলোর নামের সঙ্গে বিলাস আছে। যেমন সমুদ্র বিলাস, বৃষ্টি বিলাস, ভূত বিলাস। সবই তো বিলাস।

একটা বনবিলাস থাকলে ভালো হতো, তাই না? জঙ্গলের মধ্যে বাড়ি। এইডা বাদ পড়ে গেছে।

 

বিলাস কেন?

বিলাস মানে আমরা সবাই বিলাসী না! আমি সবকিছুতে আনন্দ খুঁজি আর সেজন্যই নামে বিলাস থাকে।

 

প্রকৃতি আপনার খুব প্রিয়। বেশি প্রিয় কোনটি?

সমুদ্র।

 

কেন?

কারণ প্রতিনিয়ত সমুদ্র চেঞ্জ হচ্ছে। এই ঢেউ আসল, এই ঢেউ নাই। সূর্যের আলো এই এক রকম দেখাচ্ছে, এই অন্যরকম দেখাচ্ছে।

 

এই জন্যই কি ‘সমুদ্র বিলাস’টা সেন্টমার্টিনে করেছিলেন?

হ্যাঁ। শেষ বেলাটা যেন সমুদ্র দেখতে দেখতে আমার জীবনের ইতি হয়। এই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি সেন্টমার্টিনে একটা জায়গা কিনেছিলাম। একই আকাঙ্ক্ষা থেকে আমি টেকনাফেও একটা জায়গা কিনেছিলাম।

 

আপনার অবস্থানে আপনি ঈর্ষণীয় পর্যায়ের জনপ্রিয়তার অধিকারী। একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় সেই জনপ্রিয়তার বিষয়টিকে আপনি কীভাবে দেখেন?

সিম্পল। আমি খুশি যে, আমি লিখতে পারছি। এতেও খুশি যে, কারও কারও কাছে সেটি ভালো লাগছে। সাধারণ মানুষ হয়তো লেখার চেষ্টা করেনি বা করলেও আমার মতো উপভোগ করতে পারেনি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, আমি অনেক বড় কিছু আর আরেকজন ‘সাধারণ’। উই অল আর হিউম্যান বিং। আমাদের সবার মধ্যেই চিন্তাশক্তি, ক্রিয়েটিভিটি, আনন্দ-বেদনা অনুভূতি আছে। আমি সে সব মানুষের তুলনায় মোটেও আলাদা নই। কখনো সেটা দাবিও করি না।

 

৪২ বছর ধরে লেখালেখি করছেন, ক্লান্ত লাগেনি কখনো?

লেখালেখির কাজটি আমার কাছে কখনোই ক্লান্তিকর মনে হয়নি। আমার কাছে এটি খুবই আনন্দময় কাজ। আর সেই আনন্দ থেকেই লিখে যাচ্ছি।

 

আপনার কর্মে আপনি কতটা তৃপ্ত? সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত কিসে? অতৃপ্তি আছে কী?

আসলে দুই ধরনের মানুষ আছে। এক ধরনের মানুষ যারা কোনো কিছুতেই তৃপ্ত নয়। কিন্তু আমি খুব অল্পতেই তৃপ্ত। অতৃপ্তি ব্যাপারটা আমার মধ্যে নেই। আর যখন যে কাজটা করি সেটাতেই আমি সবচেয়ে বেশি তৃপ্ত হই। আমি যে ছবিটা বানালাম আমার কাছে মনে হয় এটাই আমার সেরা কাজ। সেরা বইয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটা নতুন কাজ আমার কাছে শ্রেষ্ঠ মনে হয়। আমার অতৃপ্তি নেই। মেবি আমি ক্রিয়েটিভ লোক না। কারণ শুনেছি ক্রিয়েটিভ লোকদের তৃপ্তি থাকতে হয় না, অতৃপ্তি থাকতে হয়।

 

নিউইয়র্কে ছবি এঁকেছেন। ছবির বিষয়গুলো কী?

বিষয় প্রকৃতি। আমি তো অ্যাবস্ট্রাক্টয়ের মধ্যে যাই না। দুই-তিনডা টান দিয়া ছাইড়া দিলাম। একটা বিশাল কিছু হইয়া গেল। আমি এর মধ্যে নাই। আমার বিষয় প্রকৃতি।

 

আঁকাআঁকির চিন্তাটা কীভাবে এলো?

এটা কমবেশি সবার থাকে। আমি ছবি আঁকলাম বলে বিশাল কিছু হয়ে গেল এমন না। ছোটবেলায় আমরা সবাই ছবি আঁকি। তবে আমার ব্যাপারটা জেনেটিক কি না জানি না। আমার এক ভাই আহসান হাবিব তো কার্টুন পত্রিকা উন্মাদ সম্পাদক। আরেক ভাই জাফর ইকবাল গণকণ্ঠে স্টাফ কার্টুনিস্ট ছিল।

 

অনেকেই হিমু বা মিসির আলী সাজার চেষ্টা করেছে। আপনার ব্যক্তিগত অবজারভেশন থেকে এমন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন, যাকে হিমু বা মিসির আলীর সঙ্গে মিলে যায়?

মিসির আলী হচ্ছে লজিক্যাল লোক। এরকম লজিকনির্ভর লোক প্রচুর আছে। আর হিমু এন্টিলজিক্যাল লোক। সে ভালো লাগার উপরে চলে। এরকম লোকও কিন্তু প্রচুর আছে।

 

অনেকেই হিমুকে নিজের মধ্যে লালন করে হিমু সাজতে চায়। আপনি বিষয়টি কীভাবে নেন?

আমি মজা পাই। আবার দুঃখও পাই আরেক সেন্সে। আমাদের এখানে সাই-কিয়াট্রিস্টরা অনেক ওয়ার্ড ব্যবহার করে। আর সেখানে একটি ওয়ার্ড আছে ‘হিমু’ ওয়ার্ড। তার মানে হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে। আমার একবার যাইতে হইছিল ওদের কাছে। বাচ্চারা যারা হিমু হইয়া পাগল হইয়া গেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। ওদেরকে বোঝানোর জন্য যে, এতে পাগল হওয়ার কিছু নেই। আমি মনে খুবই কষ্ট পেলাম এদেরকে দেখে। এরা হিমু সেজে পাগল হয়ে বসা। আমি ওদেরকে বুঝাইয়া বলতে গেলাম, শোনো এই হিমুগুলি আমার লেখা। কাজেই আমি জানি, এটা ফিকশন। এটা গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার কিছু নেই। এরা আমার দিকে এমনভাবে তাকালো যেন আমি কিছু বুঝি না। কিছু জানি না।

 

হুমায়ূন সাহিত্য পড়লে একজন পাঠকের কি প্রত্যাশা পূরণ হবে?

সে আনন্দটা পাবে। পড়ার আনন্দটা পাবে এটুকু বলতে পারি। কিন্তু সে যে পড়ে বিশাল জ্ঞানী হয়ে যাবে, আমি সেটা মনে করি না। বিশাল একটা বোধ তৈরি হবে, সেটাও আমি মনে করি না।

 

কিন্তু এরপরও আপনার অনেক লেখায় আনন্দ দানের পাশাপাশি বৃক্ষ, দর্শন, রসায়ন, বিজ্ঞানসহ জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক কিছুই থাকে।

সেটা অপরিহার্য বলে আসে। কিন্তু আমি বলি না। কারণ আমি নিজে লিখে আনন্দ পাই এবং এমনভাবে লেখার চেষ্টা করি যাতে করে পাঠক পড়ে আনন্দ পায়। জ্ঞান দেওয়ার কিছু নেই।

 

আপনার হিমু মিসির আলী শুভ্র চরিত্রগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এসব চরিত্রগুলোর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদকে সবচেয়ে বেশি কোন চরিত্রে খুঁজে পাওয়া যাবে?

সব চরিত্রেই একটু একটু করে আছে। খুবই অল্পভাবে আছে। সেরকমভাবে কারও মধ্যেই নেই।

 

পুনর্জন্ম থাকলে হিমু মিসির আলী নাকি শুভ্র— কী হতে চাইবেন?

পুনর্জন্ম বলে কিছু যদি থেকে থাকে তাহলে পরের জন্মে আমি অবশ্যই মিসির আলী হয়ে পৃথিবীতে আসতে চাই।

 

মিসির আলী কেন?

লজিক। মিসির আলী লজিক্যাল লোক। আমার লজিক পছন্দ।

 

আধুনিক বাংলা সাহিত্যের আজকের যে বিশালত্ব আপনাকে তার জাদুকর বলা যায়। আপনি কি মনে করেন? 

বাংলা সাহিত্যে অনেক বড় বড় জাদুকর তৈরি হয়েছে। আমি জাদুকর নই। আমাকে বাংলা সাহিত্যের একজন দীন সেবক বলা যেতে পারে। সেবা করে যাচ্ছি। সেবা করার যে সুযোগটা পেয়েছি এতেই আমি খুশি। লোকজন আগ্রহ নিয়ে আমার বই পড়ছে, এটাই আমার জীবনের পরম প্রাপ্তি। আর কতটুকু দিতে পেরেছি না পেরেছি সেটি ভাববে সমালোচকরা, সমাজবিদরা। আমার কাজ হচ্ছে, শুধু লেখালেখি করা।

 

নতুন যারা লিখছে তারা কেমন করছে?

একটা মানুষ এক জীবনে ১০ হাজারের বেশি বই পড়তে পারে না। পৃথিবীতে ১০ হাজারের অনেক বেশি বই আছে। তাই আমি চেষ্টা করি সব সময় বেস্ট ক্লাসিক্যাল বই পড়তে। নতুনদের বই পড়ে সময়টা নষ্ট করতে চাই না। তবে যারা আমাকে বই উপহার হিসেবে দেয়, আমি দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো পড়ি। কিন্তু লেখকরা সাধারণত অহঙ্কারী হয়। তারা নিজের বই দিতে চায় না। ‘আপনার কেমন লাগল স্যার জানাবেন’— এটা বলে না। অহঙ্কারের কারণে। আমি যখন শুরু করেছি, আমিও তাই করেছি।

 

কিন্তু আপনাকে দেখে অহঙ্কারী মনে হয় না।

আমি অবশ্যই অহঙ্কারী। আমার বাইরেরটা দেখে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। আমি প্রচণ্ড মাত্রায় অহঙ্কারী। কিন্তু সেটা প্রকাশ করি না। প্রকাশ করে কী লাভ?

 

এখন গান লিখেন না?

আমি গীতিকার  নই। তবে মাঝে মাঝে লিখছি, ভালো লাগা থেকে।

 

ভক্ত ও নতুন প্রজন্মের প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী?

জীবনের প্রতি একটা বোধ তৈরি হোক, এটাই চাই। কারণ বেঁচে থাকতে হলে এটা খুবই একটা ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার।

এই বিভাগের আরও খবর
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
কলম জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ
সর্বশেষ খবর
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

৭ মিনিট আগে | জাতীয়

ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
ঢাবির জগন্নাথ হলে ‘সংহতির বাংলাদেশ নাইট ফুটসাল’ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

১০ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি
আড়াল ভেঙে ‌‘সুসংবাদ’ দিলেন মোনালি

১১ মিনিট আগে | শোবিজ

আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন
আজ থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন

৩৬ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?
ভোর ৫টা না সকাল ৭টা? স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে কখন ঘুম থেকে উঠবেন?

৪২ মিনিট আগে | জীবন ধারা

নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫
নতুন আলোয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫

৪৭ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি
পুনর্বহালে জাতি হয়েছে কলঙ্কমুক্ত : এনসিপি

৪৯ মিনিট আগে | রাজনীতি

শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা
শীতেও বেড়েছে সবজির দাম, যা বলছেন বিক্রেতারা

৫০ মিনিট আগে | জাতীয়

ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু
ভবিষ্যৎ নির্বাচন সুসংহত করবে : খসরু

৫২ মিনিট আগে | রাজনীতি

গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত
গণতন্ত্র ইতিবাচক ধারায় ফিরবে : জামায়াত

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর
আহান-অনীতকে বলিউডের ‌‘নেক্সট কাপল’ বললেন করণ জোহর

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
বিএনপির ৫৫ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সকালে ডিম খাবেন কেন
সকালে ডিম খাবেন কেন

১ ঘণ্টা আগে | জীবন ধারা

টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সার বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা
সার বিতরণ-সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা বিষয়ে অবহিতকরণ সভা

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে শীতের দাপট, তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি
তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে শীতের দাপট, তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ নভেম্বর)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (২১ নভেম্বর)

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ
যে দামে কেনা যাবে প্রতি ভরি স্বর্ণ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

ঢাকায় দিনভর থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া
ঢাকায় দিনভর থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নভেম্বরের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪৫০০ কোটি টাকা
নভেম্বরের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৪৫০০ কোটি টাকা

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ
শুক্রবার রাজধানীর যেসব মার্কেট ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজকের নামাজের সময়সূচি, ২১ নভেম্বর ২০২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি, ২১ নভেম্বর ২০২৫

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যেসব খরচ বরকত বয়ে আনে
যেসব খরচ বরকত বয়ে আনে

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব
লাল পাহাড়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভোটের উৎসব

২ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত
সিরিয়ায় কুর্দি বাহিনীর গুলিতে দুই সেনা নিহত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সর্বাধিক পঠিত
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ
ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবার এমন রেকর্ড গড়লেন শাই হোপ

২১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন
ঢাকার যে আসনের প্রার্থী হতে মনোনয়ন কিনলেন রিকশাচালক সুজন

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কে জয়ী, স্পষ্ট করল মার্কিন প্রতিবেদন

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত
তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাকরিচ্যুত

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ভার আর বহন করা সম্ভব নয়: জাতিসংঘে বাংলাদেশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা
মুশফিক ছাড়াও শততম টেস্টে শতক হাঁকিয়েছেন যারা

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের
নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় ৫ প্রতিশ্রুতি তারেক রহমানের

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন
হাসিনা পালানোতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরে এলো : জয়নুল আবেদীন

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল, প্রতিক্রিয়ায় যা বললো জামায়াত

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার
পুলিশের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না : ডিএমপি কমিশনার

২১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা
অভ‍্যন্তরীণ ইস্যুতে কোনো দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ: দিল্লিতে নিরাপত্তা উপদেষ্টা

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন
আন্দোলনরত ৮ দলের কর্মসূচিতে পরিবর্তন

১৫ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় নিয়ে যা বললেন আমির খসরু

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প
শুক্রবার মামদানির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে
আগামী ৩-৪ কার্যদিবসের মধ্যে গণভোট আইন করা হবে

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প
মোদিকে আরও একবার বোল্ড করলেন ট্রাম্প

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার
৩৯ টাকা কেজিতে ধান, ৫০ টাকায় সিদ্ধ চাল কিনবে সরকার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের
বিহারে রেকর্ড গড়ে ১০ম বার মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নীতিশ কুমারের

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: এক নজরে সবকিছু

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক
সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ক্রোক

১৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ
মুশফিক-লিটনের সেঞ্চুরিতে রান পাহাড়ে বাংলাদেশ

২০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?
যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র’ হিসেবে সৌদিকে শ্রেণিকরণের তাৎপর্য কী?

১৫ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
আইরিশদের পাঁচ উইকেট নিয়ে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
বগুড়ায় এসআর হেলথ কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

১৮ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা
লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার শঙ্কা, কমবে তাপমাত্রা

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’
‘শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরাতে সরকার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে’

১৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’
২৪ সপ্তাহে জন্ম, ওজন ৬৪০ গ্রাম, ৯০ দিনের লড়াই; জিতল ‘মিরাকল শিশু’

১২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা
আবার জামায়াতের কঠোর সমালোচনা

প্রথম পৃষ্ঠা

ফিতা কাটাই ভরসা
ফিতা কাটাই ভরসা

শোবিজ

নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ
নান্দনিক জাহাজ বানাচ্ছে বাংলাদেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে
মানুষ চ্যাপটা এবার চট্টগ্রামে

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস
সিলেটে পুরোনো কূপে নতুন করে মিলল গ্যাস

পেছনের পৃষ্ঠা

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ফের বসছে ইসি

পেছনের পৃষ্ঠা

সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ
সৌদিতে অপহরণ বাংলাদেশে মুক্তিপণ

পেছনের পৃষ্ঠা

ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার
ফিরল তত্ত্বাবধায়ক সরকার

প্রথম পৃষ্ঠা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা
না, আমাকে পয়সা দিতে হবে : ববিতা

শোবিজ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

খবর

ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’
ক্যাপিটাল ড্রামার নাটক ‘ফার্স্ট লাভ’

শোবিজ

তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র
তারেক রহমানের ৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে তথ্যচিত্র

শোবিজ

দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না
দেশ এগোলে মা-বোনদের ভয় পেতে হবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা
বড়পর্দায় সাংবাদিক তিশা

শোবিজ

ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে
ব্যাপক সাড়া পোস্টাল ভোটিং নিবন্ধনে

পেছনের পৃষ্ঠা

রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র
রিকশাচালক সুজন কিনলেন এনসিপির মনোনয়নপত্র

পেছনের পৃষ্ঠা

বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়
বিদেশি কোচদের অধীনে ভারত জয়

মাঠে ময়দানে

হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক
হামজার শুভেচ্ছায় মুগ্ধ মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ
হাঙ্গেরির মঞ্চে বাংলাদেশি তাওসিফ

শোবিজ

মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি
মুশফিকের শততম টেস্টে লিটনেরও সেঞ্চুরি

মাঠে ময়দানে

প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রদীপ-লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা
নির্বাচন নিয়ে নাগরিকদের মনে এখনো শঙ্কা

প্রথম পৃষ্ঠা

পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের
পুলিশের মনোবল ভাঙলে পাহারা দিতে হবে নিজেদের

প্রথম পৃষ্ঠা

অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ
অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ চায় না বাংলাদেশ

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০-তে ১০০ মুশফিক
১০০-তে ১০০ মুশফিক

প্রথম পৃষ্ঠা

১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু
১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চালু

পেছনের পৃষ্ঠা

নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়
নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে কমনওয়েলথ মহাসচিব ঢাকায়

প্রথম পৃষ্ঠা

তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন
তিন-চার কর্মদিবসের মধ্যেই গণভোট আইন

প্রথম পৃষ্ঠা