শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

অমুসলিম দেশে মুসলিম স্থাপনা

আবদুল কাদের

অমুসলিম দেশে মুসলিম স্থাপনা

মসজিদ মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা। মসজিদ মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলির প্রাণকেন্দ্র। এখানে ইবাদত-বন্দেগি ছাড়াও শিক্ষা প্রদান, বিভিন্ন তথ্য বিতরণ এবং সামাজিক বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।  তাই তো বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে ছোট-বড় একাধিক মসজিদের দেখা মেলে। আর মুসলমান দেশ ছাড়াও বিশ্বের অমুসলিম অনেক দেশেই ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে।  আর সেসব দেশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে এসব স্থাপনা...

 

লা গ্র্যান্ড মসজিদ 

প্যারিস, ফ্রান্স

ইউরোপের অন্যতম দেশ ফ্রান্স। ফ্রান্সেও রয়েছে অসংখ্য মসজিদ। তবে এসব মসজিদের মধ্যে অন্যতম প্যারিসের গ্র্যান্ড মসজিদ। এটি ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় এবং ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। ফ্রান্স ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের মুসলিম তিরাইল্লাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কয়েক হাজার জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ১ লাখের বেশি মুসলিম মৃত্যুবরণ করেন। এসব মুসলমানের স্মরণেই মসজিদটি নির্মিত হয়। ১৯২২ সালে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে এই মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয়। মসজিদ নির্মাণের জন্য নগরীর সবচেয়ে দামি এলাকায় সাড়ে ৭ হাজার বর্গমিটার জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মসজিদ নির্মাণে ৫ লাখ ফ্রাঙ্ক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফরাসি উপনিবেশভুক্ত দেশ আলজেরিয়া, তিউনিশিয়া ও মরক্কোর মতো দেশগুলোর মুসলমানরাও মসজিদ নির্মাণে আর্থিক অনুদান দেন। ১৯২৬ সালে মসজিদটি নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মসজিদটির সুউচ্চ মিনারের উচ্চতা প্রায় ৩৩ মিটার। এটি প্যারিসের অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গ্যাস্টন ডমার্গ বিখ্যাত মসজিদটির উদ্বোধন করেন।  ওই দিনই প্রথম এই মসজিদে নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। আলজেরিয়ান সুফি আহমেদ আল আলা প্রথম মসজিদের তত্ত্বাবধান করেন। এখন মসজিদটির দায়িত্বে আছেন মুফতি দালিল বৌবাকার।

 

ইসলামিক সেন্টার অব আমেরিকা

মিশিগান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকায় খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাই বেশি। তবে এরপর রয়েছে পবিত্র ইসলাম ধর্ম, যা দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম ধর্ম। অমুসলিম দেশটির বিখ্যাত মসজিদের নাম ‘ইসলামিক সেন্টার অব আমেরিকা’। মসজিদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঞ্চলের ডারবান শহরে অবস্থিত। ২০০৫ সালে নির্মিত মসজিদটি উত্তর আমেরিকার বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটি মূলত শিয়া মুসলমানদের জন্য তৈরি করা হলেও সব মুসলিম এখানে প্রার্থনা করতে পারে। ১৯৬৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসলামিক সেন্টার আমেরিকা। যার মূল নায়ক ছিলেন ইমাম মোহাম্মদ জাওয়াদ চিরি। সংস্থাটি তখন আমেরিকার মুসলিম অধ্যুষিত ডারবানে একটি মসজিদের প্রয়োজন অনুভব করে। পরবর্তীতে ১৯৪৯ সালে ইমাম মোহাম্মদ জাওয়াদ চিরি আমেরিকায় সংখ্যালঘু দলের কাছে মসজিদের প্রস্তাব রাখেন। তার হাত ধরেই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মিত হয়। ধীরে ধীরে এই মসজিদে মুসলিম সমাগম বাড়তে থাকে।  চমৎকার স্থাপত্যকলায় সমৃদ্ধ এই সুরম্য মসজিদটি দেশটির দৃষ্টিনন্দন একটি মসজিদ।

 

জামে মসজিদ

দিল্লি, ভারত

ভারতের সবচেয়ে অসাধারণ স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম দিল্লির জামে মসজিদ। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে এর গুরুত্ব ব্যাপক। পুরান দিল্লির অলিগলিতে হাঁটলেই এটি চোখে পড়বে। মসজিদ-ই-জাহান-নুমা নামকরণ হলেও ভারতীয়দের কাছে এটি দিল্লির জামে মসজিদ হিসেবেই পরিচিত। এটি ভারতের বৃহত্তম মসজিদ। ১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সাল পর্যন্ত সময় ব্যয় করে মুঘল সম্রাট শাহজাহান এই মসজিদ নির্মাণ করেন। তখন ব্যয় হয় ১ মিলিয়ন রুপি। মসজিদটি প্রবর্তিত হয় উজবেকিস্তানের ইমামের মাধ্যমে। মসজিদের ডিজাইনে রয়েছে তিনটি বড় দরজা, চারটি মিনার, দুটি ৪০ মিটার উঁচু মিনার। এটি নির্মাণ করা হয় সম্পূর্ণ লাল বালু পাথর ও সাদা মার্বেল দিয়ে। মসজিদের পূর্বদিকের গেটটি ব্যবহার করা হতো সম্রাটের ঢোকার জন্য। মসজিদের ৪০৮ স্কয়ার ফুটের হলরুমে একসঙ্গে ২৫ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদে রয়েছে তিনটি গম্বুজ। এর মেঝেতে ৮৯৯টি কালো দাগ দিয়ে প্রার্থনাকারীদের অবস্থানের লাইন নির্দেশ করা হয়েছে। মসজিদটি সাদা ও কালো মার্বেল পাথর দিয়ে এমনভাবে সাজানো হঠাৎ দেখেই মনে হবে সব জায়গায় নামাজের পাটি বিছানো। জামে মসজিদের স্থাপত্য পরিকল্পনা ছিল সম্পূর্ণ বাদশাহী মসজিদের আদলে। পাকিস্তানের লাহোরে শাহজাহানের ছেলে আওরঙ্গজেবের প্রতিষ্ঠিত মসজিদের আদলেই দিল্লির জামে মসজিদটি তৈরি করা হয়। ২০০৬ ও ২০১০ সালে মসজিদটি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়।

 

কর্ডোভা মসজিদ

আল আন্দালুস, স্পেন

ইউরোপের রাষ্ট্র স্পেন। এটি মূলত খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী প্রধান দেশ। এখানে মুসলিমদের ‘মুর’ শব্দ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়, যার স্প্যানিশ উচ্চারণ ‘মোরো’। অনিন্দ্য সুন্দর স্পেনের আল আন্দালুসিয়া অঞ্চলে আছে মুসলিমদের প্রাচীন মুসলিম স্থাপনা কর্ডোভা মসজিদ। জানা গেছে, খলিফা প্রথম আবদুর রাহমানের শাসনামলে ৭৮৪ থেকে ৭৮৬ খ্রিস্টাব্দে আন্দালুসিয়ার কর্ডোভায় নির্মিত হয় ঐতিহাসিক কর্ডোভা মসজিদ। পরে অন্যান্য শাসক এই মসজিদের সম্প্রসারণ ও সৌন্দর্যবর্ধন ঘটে। তবে কথিত আছে, মসজিদের জায়গাটি আগে ক্যাথেড্রাল গির্জা ছিল; যা সেন্ট ভিনসেন্ট-৩ উৎসর্গ করেন। পরবর্তীতে গির্জাটি দুই ভাগ করে খ্রিস্টানদের গির্জা ও মুসলিমদের মসজিদের জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়। এরপর খ্রিস্টানদের কাছ থেকে বাকি অংশটি কিনে নেন আবদুর রাহমান। তারপর এর পুরোটা ভেঙে কর্ডোভার মসজিদের জন্য নতুন করে ভিত্তি স্থাপন করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ পরিকল্পনায় যুক্ত করা হয় ঐতিহ্যবাহী রোমান স্থাপত্যশৈলী। মসজিদটি সাজাতে ব্যবহার করা হয়েছে সোনা, তামা, কপারসহ দামি দামি বেশ কিছু ধাতব উপাদান। পুরো মসজিদে বিস্ময়কর মোজাইক ও আজুলিজস দিয়ে সাজানো হয়েছে। কর্ডোভা মসজিদ দেশটির রাজধানী শহরের ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এটিই শহরকে আলাদা সৌন্দর্যে ফোকাস করে। আল আন্দালুসের বাসিন্দাদের কাছে মসজিদের সৌন্দর্য এত বেশি উজ্জ্বল যে, তা যে কোনো সুন্দর বৈশিষ্ট্যকে হার মানাতে সক্ষম।

 

লাল মসজিদ

কলম্বো, শ্রীলঙ্কা

প্রাচীনকাল থেকেই শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। পৃথিবীতে শ্রীলঙ্কা একমাত্র অমুসলিম দেশ, যেখানে রেডিও-টেলিভিশনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান দেওয়া হয়। সেই দেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের মসজিদগুলোর মধ্যে বিখ্যাত হলো- লাল মসজিদ। রাজধানী কলম্বোর এই মসজিদের আসল নাম জামিউল আলফার। শ্রীলঙ্কার ঐতিহ্যবাহী লাল রং দিয়ে মসজিদের দেয়াল অলঙ্করণের জন্য পরবর্তীতে নামকরণ করা হয়েছে- লাল মসজিদ। মসজিদ নির্মাণের সময়কাল ১৯০৮-০৯ সাল। সেখানকার বোরাহ মুসলিম কমিউনিটি লাল মসজিদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশে লাল মসজিদ নির্মাণ করেন তাঁরা। মসজিদটির নকশা করেন দক্ষিণ ভারতীয় এক স্থপতি। নকশার সময় ডালিমকে মূল নকশায় রাখা হয়।

 

কোবে মসজিদ

কোবে, জাপান

কারিগরি শিল্পে উন্নত প্রযুক্তির দেশ জাপান। বৌদ্ধ ধর্মের সংখ্যাধিক্যের দেশ হলেও সেখানে রয়েছে প্রায় লক্ষাধিক মুসলমান। জাপানে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ ‘কোবে মসজিদ’। ‘মুসলিম সেন্টার’ নামেও এ মসজিদের ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। চেক স্থপতি জান জোসেফ সগ্রার কোবে মসজিদের নকশা করেন। ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য রীতিতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। অভ্যন্তরীণ নকশায় জ্যামিতিক ও ইসলামিক প্যাটার্ন ব্যবহার করেন। তিন তলাবিশিষ্ট এ মসজিদে রয়েছে বৃহৎ গম্বুজ ও মিনার। তুর্কি রীতিতে মেহরাবকে সাজানো হয় সোনালি রং ও শ্বেত পাথরে। নারীদের জন্য আছে পৃথক নামাজের স্থান। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মসজিদটি তিনটি ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে।  ১৯৩৮ সালের বন্যা, ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমাবর্ষণ, ১৯৯৫ সালের ‘গ্রেট হানসিন’ ভূমিকম্প।

 

সেন্ট্রাল মসজিদ

লন্ডন, যুক্তরাজ্য

‘সেন্ট্রাল মস্ক’ যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত। এই স্থাপনাটি যুক্তরাজ্যের ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বা রিজেন্টস পার্ক মসজিদ নামে পরিচিত। বুঝতে অসুবিধা হবে না যে, মসজিদটি লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পাশে অবস্থিত। মসজিদটির নকশা করেছেন স্থপতি ফ্রেদেরিক জিববার্ড এবং এর নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৭৮ সালে। মসজিদটির প্রধান আকর্ষণ হিসেবে দৃশ্যমান আছে এর বিশালাকার সোনালি রঙের গম্বুজ। এর প্রধান হলরুমে একসঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এখানে নারীদের জন্যও নামাজের সুব্যবস্থা রয়েছে। বৃহদাকার কার্পেটে মোড়ানো মসজিদের মেঝে। আছে যৎসামান্যই ফার্নিচার। গম্বুজের ভিতরের দিকটি সাজানো হয়েছে ইসলামী ঐতিহ্যের কিছু ভাঙা আকৃতির উদাহরণ দিয়ে। মসজিদ কম্পাউন্ডে ছোট একটি বইয়ের দোকান ও একটি হালাল ক্যাফে আছে। মসজিদে নানা রকম ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন হয়। এই সংস্কৃতির যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৪ সালে কিং জর্জ-৬ এর হাত ধরে। ব্রিটেনে মুসলিম কমিউনিটির জন্য মসজিদের জমি দান করেন তিনি।

 

কলোগনি সেন্ট্রাল মসজিদ

কলোগনি, জার্মানি

জার্মানির বৃহত্তম মসজিদ কলোগনি মসজিদ। একে নিয়েও হয়েছিল নানা তর্কবিতর্ক। তবে পরবর্তীতে জার্মান মুসলমানদের দ্বারা বৃহৎ মসজিদের স্বীকৃতি পায় কলোগনি মসজিদ। এর নকশা করা হয় অটোমান স্থাপনার আদলে। এই মসজিদের দেয়াল তৈরি করা হয়েছে কাচ দিয়ে। দুটি মিনার ও এক গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। ওপর থেকে এর মনোরম দৃশ্য যে কারও নজর কাড়বে। এ মসজিদে রয়েছে একটি বাজার। সেখানে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও যায় সাশ্রয়ী মূল্যে কেনাকাটা করতে। ইউরোপের মধ্যে এই মসজিদটি সবচেয়ে বড়। এর মিনারের উচ্চতা বেশি। মসজিদের আয়তন ৪৮ হাজার বর্গমিটার। এখানে প্রায় ৪ হাজার মানুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারে। মসজিদের একটি কংক্রিট ও গ্লাসের গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়াও দুটি ৫৫ মিটারের মিনার আছে। মসজিদে ঢোকার পথে পড়বে বাজার। বয়ানের কক্ষটি নিচতলায়। তবে নামাজ পড়ার জন্য ব্যবস্থা আছে ওপরের তলাগুলোতে। বহু ইসলামী বই মিলবে এখানকার লাইব্রেরিতে।

 

কুল শরিফ মসজিদ

কাজান ক্রেমলিন, রাশিয়া

তাতারি মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যসমৃদ্ধ বিখ্যাত কুল শরিফ জামে মসজিদ। যা রাশিয়ান স্থাপত্যশিল্পের এক চমৎকার উপহার। রুশ ফেডারেশনভুক্ত মুসলিম প্রজাতন্ত্র তাতারিস্তানের কাজান শহরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি। খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মাণের কিছুদিন পর রাশিয়ার জল্লাদখ্যাত ইভান দ্য টেরিয়্যাফ মসজিদটি ভেঙে ফেলে। এভাবে চলে যায় কয়েক শ বছর। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সৌদি সরকার ও তাতারি মুসলমানদের জোর দাবিতে মসজিদ পুনর্নির্মাণের আনুমতি দেয় রুশ সরকার। মসজিদের পুরনো ডিজাইন অক্ষুণ্ন রেখে নতুন ডিজাইন প্ল্যানে ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত প্রায় ১০ বছর পুনর্নির্মাণের কাজ চলে। এটি রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটির আয়তন ১৯ হাজার বর্গমিটার।

সর্বশেষ খবর