রংপুর বিভাগে তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ৪ কোটি ৬৫ টাকার ৩১৯ মেট্রিক টন পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া ৫৫ লাখের বেশি মাছের পোনা ভেসে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিরা এখন পর্যন্ত কোনো সহায়তা পননি। তবে মৎস্য অফিস বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষীরা চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন। তারা ক্ষতি পোষাতে সরকারি প্রণোদনার অপেক্ষায় রয়েছেন। এদিকে বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ভারতের গজলডোবায় ব্যারাজের পানি ছেড়ে দেয়ায় তিস্তায় গত কয়েকদিন থেকে পানি বিপদসীমার উপরে উঠানামা করছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র, ধরলা,ঘাঘটসহ অন্যান্য নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীবেষ্টিত রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। বন্যায় ফসল , বসতভিটার সাথে সাথে পুকুরের মাছও ভেসে যায়। মাছ ভেসে যাওয়ায় অনেক মৎস্যচাষির পুঁজি হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষীটারি ইউনিয়নের বাগের হাট গ্রামের নুরুল হক, আব্দুর রশিদসহ কয়েকজন মৎস্যচাষি জানান, তিস্তার বন্যায় এবার তাদের পুকুরের সব মাছ ভেসে গেছে। তারা এখন চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছেন। সরকারি প্রণোদনা অথবা ঋণ না পেলে তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।
ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লা আল হাদি বলেন, তার ইউনিয়নে অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি সহায়তা চেয়েছেন।
রংপুর বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বন্যায় এ পর্যন্ত রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী , গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটে ৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকার মাছের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষী দের তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে । এছাড়া মৎস্যচাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা