ভাল দাম পাওয়ায় মানিকগঞ্জে মূলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। অল্প সময়ে মূলা বিক্রি করা যায় বলে সাথী ফসল হিসেবেও মূলার ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। জেলার সর্বত্রই মূলা চাষ হয়ে থাকে।
তবে সদর,সাটুরিয়া ও সিংগাইর উপজেলায় এর আবাদ বেশী হয়। মানিকগঞ্জের মূলা দেখতে ধবধবে সাদা ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সর্বত্রই এর চাহিদা বেশী।
মহিদুর রহমান নামে এক বেপারী বলেন, আমি প্রতি মৌসুমে মূলার ব্যবসা করি। আড়তে অন্য জেলার মূলা অবিক্রিত থাকলেও মানিকগঞ্জের মূলা সবার আগে বিক্রি হয়ে যায়।
তিনি জানান, প্রতি বছর ব্যবসা ভালই হয়। এবার বৃষ্টির কারণে ফলন একটু খারাপ হয়েছে দামও একটু বেশী তার পরেও সবে মাত্র মূলার মৌসুম শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর ব্যবসা জমে উঠবে।
সদর উপজেলার রমনপুর এলাকার মূলা চাষী জিন্নাহ জানান, এ এলাকার জমি খুবই উর্বর, জমি কখনো পতিত থাকে না। কিছুদিন আগে আখ বিক্রি করেছি। মূলা বিক্রি শেষ করে ধনে পাতা চাষ করবো। এর মধ্যে আবার আখ আস্তে আস্তে বড় হতে থাকবে। দিনে দিনে এ এলাকার জমিতে সাথী ফষল চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আওলাদ হোসেন নামে এক কৃষক বলেন, আগে মানুষ মূলা খেতে চাইতো না। বর্তমানে লোকজন কাঁচা মূলা ভাতের সঙ্গে খাচ্ছে, সালাত ও তরকারি করেও খায়। বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় বলে মূলার চাহিদা বাড়ছে। দামও ভাল পাচ্ছে কৃষক।
তিনি আরও বলেন, এক একর মূলা আবাদ করতে খরচ যা হয়, তার তিনগুণ টাকায় বিক্রি হয়।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, আমাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার কারণে প্রতিবছর মূলার আবাদ বাড়ছে। গত বছর মূলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩৮ হেক্টর। যা সফলভাবেই অর্জিত হয়। এবার একই লক্ষমাত্রা রয়েছে। তবে ভাল দাম পাওয়ায় এবার লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছি।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম