বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষা দ্বীপ জেলা ভোলা। প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় এখানে। সংঙ্কটময় পরিস্থিতিতে মানবিক বিবেচনায় কর্মহীন অসহায় হয়ে পড়া চারটি পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবন, মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চরফ্যাশন উপজেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজ মাঠে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সুবিধাভোগী বৃদ্ধ জামিলা খাতুন বলেন-" বাজান খেয়ে না খেয়ে বহু কষ্টে ভিক্ষা করে সংসার চালাই। যারা আমাকে সাহায্য দিয়েছে আল্লাহ তাগরে বাঁচিয়ে রাখুক। আমি নামায পড়ে দোয়া করুম।"
আসলামপুরের আঃ খালেক বলেন- "আমার জীবনে বড় একজোড়া পান এবং একটা পাঙ্গাস মাছের সখ ছিল। নিত্যপ্রয়োজনী খাবারের পাশাপাশি আমাকে তারা পান আর পাঙ্গাস মাছ কিনে দিয়েছে। আল্লাহর কাছে দোহাত তুলে দোয়া করুম। বসুন্ধরা গ্রুপ যেনো আমাদের দিকে এভাবেই খেয়াল রাখে। "
শশীভুষণ থানা এলাকার তিন সন্তানের জনক রহিম আলী। পাঁচ সদস্যদের পরিবারে কিশোর বয়সী বড় ছেলেটি দিন মজুর, ছোট ছেলেটি ৫ম শ্রেণির ছাত্র, মেয়েটি প্রতিবন্ধী। অভাবের তাড়নায় অসুস্থ শরীর নিয়ে ভিক্ষা করেন। খাবারের বস্তা পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে দেন। তিনি বলেন- "অন্তত ১ টা মাস নিশ্চিন্তে খাইতে পারমু বাজান। আল্লায় আপনেগো ভালা করুক।"
আব্দুল্লাহপুর গ্রামের অসহায় কোহিনুর বলেন -"আমার স্বামী পঙ্গু, দুইটি সন্তান নিয়ে আমার সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। বসুন্ধরা শুভসংঘের এই খাবারগুলো পেয়ে আমি তাদেরকে দোয়া করছি।"
এ সময় কালের কন্ঠ চরফ্যাশন প্রতিনিধি কামরুল সিকদারের পরিচালনায় বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা ও ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিউদ্দিন বাচ্চু, অধ্যাপক খোরশেদ আলম, বসুন্ধরা শুভসংঘের সহসভাপতি সাংবাদিক এম আবু সিদ্দিক, সহসভাপতি কামাল মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম নাঈম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফি উল্লাহ শফি, রহিজল ইসলাম শান্ত, কলেজ অধ্যাপক গোলাম আক্তার মহিন, প্রভাষক আকতার হোসেনসহ সুবিধাভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আশিক