সফলভাবে নিজের প্রথম মেয়াদের দায়িত্ব শেষ করার পর পুনরায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য মনোনীত হয়েছেন দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম। গতকাল রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩ এর ১১(১) ধারা অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্য কর্তৃক তাকে লিখিতভাবে পুনরায় নিয়োগ দেয়া হয়।
তবে বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ। অধ্যাপক ফারাজানা ইসলামকে অপসারণের মাধ্যমে নতুন করে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’। আর এই শিক্ষকদের নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর। আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন। তবে পূর্ব ঘোষিত যে দাবিতে তাদের আজকের এই কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল তা থেকে সরে এসেছেন তারা।
অবরোধ কর্মসূচিতে তারা যে ব্যানারটি ব্যবহার করছেন সেখানে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’র শিক্ষকদের ভয় প্রর্দশন ও হুমকি প্রদানের প্রতিবাদের কথা উল্লেখ করেছেন।
এর আগে দুইটি দাবিকে সামনে রেখে শরীফ এনামুল কবীর পন্থী শিক্ষকরা আজ বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত উপাচার্যের কার্যালয় ভবন অবরোধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। দাবি দুটি হচ্ছে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সিনেট সদস্যদের তলবি সভা আহ্বান।
তবে এর আগেই ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ নামে একই ব্যানার ব্যবহার করে রবিবার সংবাদ সম্মেলন করেন অপর পক্ষ। তখন শরীফ এনামুল কবীরপন্থী শিক্ষকদের আন্দোলনকে বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিরুদ্ধ ও ব্যক্তিগত ক্ষমতা লিপ্সা সংক্রান্ত কার্যক্রম দাবি করে তাতে একাত্মতা প্রকাশ না করায় তাদেরকে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে হঠাৎ করে অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীরপন্থী শিক্ষকরা কেন পূর্ব নির্ধারিত দাবি পাল্টিয়ে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, উপাচার্যকে হঠাতে তারা উঠে পরে লেগেছে। রাষ্ট্রপতির প্রজ্ঞাপনও তারা তোয়াক্কা করছেন না। ক্ষমতার লোভে তারা বিভোর হয়ে গেছেন।
বিডি প্রতিদিন/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল
