‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কোনো কূটচালের আন্দোলন না বলে মন্তব্য করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেছেন, সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে।
তিনি আরো বলেন, এই দাবির সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হাজার হাজার মানুষের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এবং পরোক্ষভাবে যারা বাংলাদেশের সড়ক পথে চলাচল করেন; অন্যান্য পথে চলাচল করেন সে সমস্ত মানুষের, কোটি কোটি মানুষের প্রাণের কথা হচ্ছে যে, সড়ককে নিরাপদ করতে হবে। আমাদেরকে নিরাপদে বাঁচতে হবে।’
ঢাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর রক্তাক্ত হামলার ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকবৃন্দের অহিংস মৌন মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন।
আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে রবীন্দ্র কলা ভবনের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ শেষে সিরাজী ভবনের সামনে মিলিত হয়। মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
অধ্যাপক নিউটন আরো বলেন, ‘আমাদের সন্তানসম ছেলেমেয়েদের ওপরে, শিক্ষার্থীদের ওপরে জুলুম আমরা কোনোক্রমেই গ্রহণ করি না। বাংলাদেশের সরকারকে এটা বুঝতে হবে। আমরা আশা করব যে, আমরা সবাই বিভিন্নভাবে, যত রকম উপায়ে পারি, এই নৈতিক প্রতিবাদের অবস্থান জারি রাখব।
মিছিলে অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আ-আল মামুন, কাজী মামুন হায়দার, ইংরেজি বিভাগের আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলা বিভাগের সৌভিক রেজা, নাট্যকলা বিভাগের কাজী সুস্মিন আফসানা প্রমুখ।
এর আগে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দুপুর ১২টায় মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীরা দাবির পক্ষে সংহতি প্রকাশ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করে বিচার দাবি করেন। সেই সঙ্গে আগামীকাল থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ স্লোগানে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ কর্মসূচিতে ৬ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো, চলমান পরিস্থিতির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির বাস্তবায়ন, খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তির বাস্তবায়ন, বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা, আন্দোলন পরবর্তী সকল শিক্ষার্র্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার