চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বর্ষা চৌধুরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করেছে নগরীর ৩নং রুটের একটি পাবলিক বাসের হেল্পার। পরে চলন্ত বাস থেকে কোনমতে লাফিয়ে বেঁচে যায় বর্ষা।
জানা যায়, গত ১১ই এপ্রিল বিকেল ৩ টার দিকে বিভাগের নির্দিষ্ট ক্লাস শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নং গেট এলাকা থেকে নগরীর নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ৩নং রুটের একটি বাসে উঠেছিলো বর্ষা ও তার বান্ধবী। নগরীর জিইসি মোড়ে এসে বান্ধবী বাস থেকে নেমে গেলেও বর্ষা তার গন্থব্য নিউমার্কেট যেতে বাসেই অপেক্ষা করছিলো। বাসটি নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় পৌঁছালে বর্ষা ছাড়া একে একে সকল যাত্রী নেমে পড়ে। সেখান থেকে কিছু দূর গেলেই নিউমার্কেট মোড়। বর্ষা সেখানে নামার জন্য অপেক্ষা করছিলো। বর্ষাকে বাসে একা পেয়ে বাসের ড্রাইভার আর হেল্পার রাস্তা পরিবর্তন করে স্টেশন রোডের দিকে চলতে শুরু করে। বর্ষা তখন ড্রাইভারকে বাস থামিয়ে তাকে নামিয়ে দিতে বলে। এসময় বাসের হেল্পার বর্ষার দিকে তেড়ে এসে বর্ষার গলায় থাকা ওড়না দিয়েই তাকে পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করতে থাকে।
কিন্তু নিজেকে বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টায় একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে হেল্পারকে আঘাত করে সে। আঘাতটা সম্ভবত চোখে লাগায় ওড়নাটা ছেড়ে দেয় হেল্পার। পরক্ষণেই চলন্ত বাস থেকে লাফ দেয় বর্ষা। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক রিক্সাওয়ালা বর্ষাকে দেখে এগিয়ে আসেন। রিক্সাওয়ালার সাহায্য নিয়েই বাসায় ফিরেন বর্ষা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে বর্ষা স্ট্যাটাস দিলে সেখান থেকেই এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিকট অভিযোগের পাশাপাশি শুক্রবার মানববন্ধনেরও আয়োজন করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যারয প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। আমরা বর্ষার বাবার সঙ্গেও কথা বলেছি। পাশাপাশি আমাদের উপাচার্য স্যারও এই বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। তারা খুব দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত করার আশ্বাস প্রদান করেছে। আশাকরি খুব সহসা অপরাধীদের সনাক্ত করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল