১৭ এপ্রিল, ২০১৯ ১৭:২১

বঙ্গবন্ধুকে 'রাজনীতির শিল্পী' বললেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধুকে 'রাজনীতির শিল্পী' বললেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে অনেকে রাজনীতির কবি বলেন, কিন্তু আমার মনে হয় তিনি রাজনীতির শিল্পী। তিনি যেভাবে একটি দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেটা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা করেননি। 

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আলোচনার সভার প্রধান আলোচক হিসেবে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ তার বক্তব্যে আরো বলেন, ১৯৬৬ সালে যখন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়, তখন সে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীত ছিলো আমার সোনার বাংলা। যেটা বর্তমানে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। এ রকম আরও অসংখ্য বিষয় আছে যা থেকে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন।

এ সময় মুজিবনগর সরকার প্রসঙ্গে অধ্যাপক হারুন অর রশিদ বলেন, মুজিবনগর সরকার কোনো অবৈধ সরকার ছিল না। সত্তর সালের নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই এ সরকার গঠন করেছিল। ফলে দেশের জনগন তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিল। মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল বলেই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিচালিত হয়েছে। যার ফলে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি।

এর আগে ঐতিহাসিক এই মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে একটি শোভাযাত্রা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল দশটায় শোভাযাত্রাটি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, মুজিবনগরে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল তা হঠাৎ করে গড়ে ওঠা সরকার নয়। দীর্ঘ দিন ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহচর্য হিসেবে যারা এদেশের মানুষের জন্য অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করছিলেন, তারাই সেই সরকার গঠন করেছেন। মুজিবনগররের এই সরকার শুধু বিদেশী রাষ্ট্রের সমর্থন আদায়ে কাজ করেনি, তারা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বও দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া প্রমূখ।


বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর