১৮ জুন, ২০১৯ ২২:০২

১৬ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত বুয়েট শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

১৬ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত বুয়েট শিক্ষার্থীদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে তোরণ নির্মাণ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের নিয়োগ বাতিলসহ ১৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার চতুর্থ দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে চলছে এ আন্দোলন। ক্যাম্পাসের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনের সামনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী দাবি আদায়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।

শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, পলাশীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দুই প্রবেশমুখ পলাশী ও বকশীবাজারে তোরণ নির্মাণ, ‘বিতর্কিত প্রক্রিয়ায়’ ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের নিয়োগ বাতিল, একমাত্র ছাত্রী হলের নামকরণ, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি, নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়নের ব্যবস্থা, শিক্ষার্থীদের সব লেনদেন ডিজিটাল করা, টার্ম পরীক্ষায় কোডিং সিস্টেম চালু, ক্যাম্পাসে বিনাবিচারে গাছ কাটা বন্ধ করা, বিভিন্ন অবকাঠামোর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ করা ইত্যাদি।

এ সব দাবি আদায়ে টানা চারদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে তিন দিনের আলটিমেটামও দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পাওয়ায় মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে যাওয়া চাঁনখারপুলমুখী রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের রাস্তায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে দাবি আদায়ে স্লোগান দিতে থাকেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন তারা। আগামীকাল বুধবারও কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছেন তারা।
 
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন সময় এসব দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করলেও প্রশাসন তাদের বারবার আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করেনি। এ কারণে তারা আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল বিভাগ সমাপনী বর্ষের ছাত্র হাসান সরওয়ার সৈকত ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’কে বলেন, ‘ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতিমূলক কোন তোরণ নেই। পলাশী ও বকশীবাজারে তোরণ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি। এছাড়াও বিতর্কিত পন্থায় ডিএসডব্লিউ স্যারকে (ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি প্রক্টর নামে পরিচিত) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাতের আধাঁরে এক রাতের নোটিশে আগের প্রক্টর স্যারকে পরিবর্তন করা হয়েছে। এবং মিথ্যাচার করা হয়েছে যে, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন।’  

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য একটি হল আছে। কিন্তু তার কোন নাম নেই। আমরা চাই, এই হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ করা হোক। আমাদের এই সব দাবি নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বারবার সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি। আন্দোলন শুরুর দিন থেকে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু ভিসি স্যার আমাদের সাথে দেখা করেননি।

সৈকত বলেন, এখন আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না। আমরা আলটিমেটাম দিয়েছিলাম, প্রশাসন কোন সাড়া দেয়নি। এখন আমরা সরাসরি দাবির বাস্তবায়ন চাই। 

বিডি-প্রতিদিন/১৮ জুন, ২০১৯/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর