ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর তৃতীয় নির্বাহী বৈঠক শনিবার বিকেল তিনটায় ডাকসু ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় আলোচনার জন্য নতুন করে আলোচ্যসূচি নির্ধারিত হয়েছে।
এর আগে, গত ২রা ফেব্রুয়ারি জিএস গোলাম রাব্বানী স্বাক্ষরিত একটি ‘অবহিতকরণ পত্র’ থেকে এই সভার বিষয়ে জানা যায়। পত্রটিতে ৮ ফেব্রুয়ারি ডাকসুর নির্বাহী সভার তারিখ জানিয়ে একটি আলোচ্যসূচি যুক্ত করা হয়। তবে সেই আলোচ্যসূচি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ডাকসুর নির্বাচিত বেশ কয়েকজন সম্পাদক ও কার্যকরী সদস্য। ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত বিক্ষুদ্ধ প্রতিনিধিরা দাবি করেন, আলোচ্যসূচি তৈরি করতে তাদের কোনো পরামর্শ নেওয়া হয়নি। এমনকি তাদের কোনো এজেন্ডায় ওই তালিকায় যুক্ত করা হয়।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী সভা বর্জনের ঘোষণা দেন ডাকসুর সদস্য তানভীর হাসান সৈকত। আলোচ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কোনো ‘এজেন্ডা’ না থাকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন ডাকসু’র স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী। এছাড়াও ডাকসুর সংস্কৃতি সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সদস্য ফরিদা পারভীন ও রফিকুল ইসলাম সবুজও আলোচ্যসূচি নির্ধারণের বিষয়ে অবগত ছিলেন না বলে জানান।
এদিকে, আলোচ্যসূচি নির্ধারণের বিষয়ে কখনই অবগত করা হয় না বলে অভিযোগ ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের। দুর্নীতির অভিযোগে জিএস গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কারের পর থেকে এজিএস সাদ্দাম হোসেনই আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করেন বলেও অভিযোগ করেন ভিপি নুর।
এসব বিষয়ে ডাকসুর এজিএস ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘উপাচার্যের সম্মতিক্রমে সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আলোচ্যসূচি নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিদ্যমান সমস্যার কারণে আমাকে মধ্যস্থতা করতে হয়েছে। সেখানেই বিবাদমান সংকট ও মান-অভিমানের প্রশ্ন এসেছে।’
এ বিষয়ে ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, ব্যস্ততার কারণে আমি উপস্থিত ছিলাম না। সাদ্দামের উচিত ছিলো, সবার সাথে কথা বলা। হয়তোবা এটাও হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। নতুন আলোচ্যসূচিতে সবার এজেন্ডা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল