জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীসহ দুই শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চেকপোস্টের পাশে একটি ছাত্রীবাসে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফারহানা রহমান লিয়োনাকে ম্যানার শেখানোর নামে মাত্রাতিরিক্ত র্যাগ দেওয়া হয়। এর ফলে মানসিক চাপে মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে। এসময় তাকে উদ্ধার করে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
অপরদিকে, একাধিকবার র্যাগিংয়ের শিকার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বৃহস্পতিবার রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। এরপর শরীরে খিঁচুনি শুরু হয়। তাকেও ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা শেখ সুজন আলী বলেন, এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্যবিশিষ্ট একটি অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করেছেন, কমিটিতে আহ্বায়ক ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. শেখ সুজন আলী, সদস্য সচিব প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, সদস্য অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট মাসুদ চৌধুরী ও দোলন চাঁপা হলের প্রভোস্ট নুসরাত শারমিন তানিয়া।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীন এক শিক্ষার্থী জানান, র্যাগিংয়ের ঘটনায় ভীত হয়ে ক্যাম্পাসে ক্লাস করতে আসেন না অনেক নবীন শিক্ষার্থী। আবার এ র্যাগিংয়ের ভয়ে অনেকেই ছাত্রবাস ছেড়ে বাড়িতেও চলে গেছেন।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আল জাবির বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এটি স্পষ্ট যে তাদের ওপর মানসিক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে এবং এতে তারা ভীত হয়ে পড়েছে। এই মানসিক নির্যাতন যারা করেছে; তাদের বিচার না করতে পারলে আমি সহকারী প্রক্টর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল