রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চারুকলা অনুষদের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় নিশ্চুপ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলা বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের এক সপ্তাহের বেশি অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগকারী এক ছাত্রী নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে হতাশ। এতদিন হলো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, এখন পর্যন্ত আমাদের কাউকে কোনও বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। অবশ্য আমরা একবার নিজেরা যোগাযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, সেলের সভাপতি নিয়ে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে শুনলাম সেলের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেখি নতুন কমিটি আমাদেরকে কতটুকু সুষ্ঠু বিচার দিতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও যৌন হয়রানি নিরোধ সেলের সদস্য সচিব লায়লা আরজুমান বানু জানান, এ বিষয়ে এখনও কোন কার্যক্রম শুরু হয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটি না চাইলে তদন্ত কমিটি দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে যৌন হয়রানি সেলে সাধারণ সম্পাদক রুকসানা বেগম বলেন, এই বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। মাত্রই আমাদের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরবর্তীতে হয়তো সব খোঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবো।
এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে একাধিক শিক্ষার্থী বলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মারামারির ঘটনা একদিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন হলেও যৌন হয়রানির মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। এটা মোটেও কাম্য নয়। এভাবে চলতে থাকলে নারী শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন নিরোধ সেলে চারুকলা অনুষদের ৩টি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পরবর্তীতে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানায় 'শরীরিক ও মানসিক নিপীড়ন'-এর অভিযোগ এনে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর পরিবার।
বিডি-প্রতিদিন/সিফাত আব্দুল্লাহ