৩০ জুন, ২০২০ ১৭:৪০

খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রকল্প

ওলী আহম্মেদ, শেকৃবি

খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক প্রকল্প

ক্রমাগত জনসংখ্যা বৃদ্ধির উচ্চহার, সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সম্ভাবনার অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও কৃষিক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভরতার দেশ, কোনো ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত খাদ্য রফতানিও করা হচ্ছে। তবুও কাঙ্খিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পুষ্টিকর খাবার ও গুণগত মান বিবেচনায় নিয়ে নিরাপদ খাবার গ্রহণ নিশ্চিতকরণে আমরা এখনও পিছিয়ে। 

খাদ্য নিরাপত্তার এ গুরুত্ববহ দিকটিকে সামনে রেখে সম্প্রতি দেশের দুই কৃষিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়ে খাদ্য নিরাপত্তাকে উচ্চশিক্ষায় অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি জাতীয়ক্ষেত্রে এ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু হয়েছে ‘Enhancing food safety higher education in Bangladesh’ শীর্ষক প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রকল্প।

নেদারল্যান্ড ভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ‘নাফিক’ এর সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ও ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কাজ শুরু করেছে। 

মঙ্গলবার বেলা ২টায় এক ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিতে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শেকৃবি কৃষি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। 

শেকৃবি’র অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের এম্বাসেডর হেরি ভারওয়ে, শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরকার, নাফিক’র মনিকা সোপভ ও ম্যারিয়েন ডর্ক প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার নির্দেশকগুলো হল খাদ্যের বহুমুখীকরণ, পুষ্টিমানের যথাযথ উপস্থিতি, প্রোটিনের মান এবং নিরাপদ খাদ্য। ব্যক্তিগত সচেতনতা ও সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া সরকারের একার প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা বেশ সময়সাপেক্ষ। 

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশে ইতিপূর্বে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক তেমন কোনো গুরুত্ব না থাকায় সরকারের নানাসময়ে গৃহীত পদক্ষেপ সত্ত্বেও টেকসই উন্নয়ন সম্ভবপর হয়ে উঠেনি। এক্ষেত্রে প্রকল্পটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারলে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের প্রচেষ্টায় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব। একইসঙ্গে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় প্রকল্পটি একটি নতুন ধারার সূচনা করবে। 

প্রসঙ্গত, প্রকল্পটি মূলত দুটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করবে- ১. শ্রমবাজারের চাহিদা নির্ধারণ করে খাদ্য সুরক্ষায় দুটি বিশ^বিদ্যালয়ে (শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) মাস্টার্স কোর্স চালু করা। 

২. নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের জন্য বৃত্তিমূলক ও প্রশিক্ষণ ভিত্তিক শর্ট কোর্স চালু করা ও প্রকল্পটির আওতায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকল্পটি চলমান থাকবে।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর