জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) নতুন ক্যাম্পাসের টেন্ডার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, বেলা ১২টার দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন আসে পরিচিত হওয়ার জন্য। এসময় জুনিয়র কিছু কর্মী এসে টেন্ডার নিয়ে কথা বলতে থাকে। দুই পক্ষের বাকবিতণ্ডায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে আমি তাদের বের হয়ে যেতে বলি। এসময় তাদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি এসে উভয়পক্ষকে শান্ত করে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমির বাউন্ডারি ওয়ালের ই-টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল আজ। এ টেন্ডারকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল আমিন শেখ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ, নাজমুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান, আকতার হোসেন, সাবেক দফতর সম্পাদক শাহবাজ হোসেন বর্ষণ ও সহ-সম্পাদক রিফাত সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী দফতরে আসেন।
এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীরা প্রধান প্রকৌশলীর দফতরে এসে হট্টগোল শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা শুরু হলে প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসনে মোবারক রিশাদ বলেন, করোনার জন্য ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তাই সকালের দিকে আমরা কয়েকজন মিলে ক্যাম্পাসে যাই। বিভিন্ন দফতরে আমাদের পরিচিতদের সাথে দেখা করি। বেলা ১২টার দিকে প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে ঢুকে টেন্ডারের কথা বলার সময় হঠাৎ ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী রুমে ঢুকে আমাদের উপর চড়াও হয় আমাদের সঙ্গে হট্টগোল শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাকিল বলেন, ক্যাম্পাসে কী নিয়ে জানি ঝামেলা হয়েছে। আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। শুনেছি পদপ্রত্যাশীদের সঙ্গে জুনিয়র কর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষে হট্টগোল করছে জেনে আমরা দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। উভয়পক্ষকে বলেছি, শান্ত থাকতে। ক্যাম্পাসে কেউ এ নিয়ে ঝামেলা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল
