"পরিবর্তিত বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রাধান্য: উদ্ভাবন ও সংযোজন" শিরোনামে আন্তর্জাতিক ভার্চুয়াল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্টস (আই.এ.ইউ.পি) ১৯তম এই সম্মেলনটির আয়োজন করেন। সম্মেলনে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) সহ ২০টি দেশের ১০০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি অংশ নেন।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০ জনেরও বেশি বক্তা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেক্সিকোর সেন্টার ফর টেকনিক্যাল অ্যান্ড হায়ার এডুকেশন এর প্রেসিডেন্ট ও আইইউপির ২০২১ থেকে ২০২৪ এর জন্য নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ড. ফার্নান্দো লিও গার্সিয়া।
মহামারী পরবর্তী পরিবর্তিত বিশ্বে শিক্ষার উন্নয়ন, পরিবর্তন এবং নারী নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এর উপাচার্য ড. কারমেন জে লামাগনা। মহামারীর ছোবলে দুঃসহ সময়ে পৃথিবীর সব নারীদের পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনকে কিভাবে কঠিন করে তুলেছে এবং তারা এখনো ঘরে, স্কুলে ও কাজের ক্ষেত্রে যে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন ড. লামাগনা। তিনি জেন্ডার ইক্যুইটি এবং নারীর ক্ষমতায়নের জন্য এআইইউবি-তে চলতে থাকা কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন যেগুলো সমতা ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে শূন্যতা পূরণ করে উন্নত এক ভবিষ্যত গড়ে তুলতে সক্ষম।
ড. লামাগনা প্যানেল সদস্য হিসেবে, "মহামারী পরবর্তী: নারী নেতৃত্বে প্রাধান্য" বিষয়টি উপস্থাপন করেন। তার সাথে আরও ছিলেন ড. লিউ জিনান, ড. সারা লাদ্রো দে গেভারা, ড. উলসুন সালামার এবং ড. হেইডি এম. এন্ডারসন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে, উচ্চ শিক্ষা হার বাড়ানো ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে, প্রযুক্তির একীভূতকরণ এবং নিত্য-নতুন পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্মেলনের শেষ হয় উচ্চশিক্ষাকে সামগ্রিক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে পরিবর্তনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের 'নিউ নরমাল' এর সাথে যুক্ত করবে এই প্রত্যাশা নিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ