২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:০২

উচ্চফলনশীল সুমিষ্ট লাল ও হলুদ পেঁপের জাত উদ্ভাবন

খায়রুল ইসলাম, গাজীপুর

উচ্চফলনশীল সুমিষ্ট লাল ও হলুদ পেঁপের জাত উদ্ভাবন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের গবেষক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী সুমিষ্ট লাল ও হলুদ পেঁপের নতুন দুইটি জাত উদ্ভাবন করেছেন। জাতটির উদ্ভাবক অধ্যাপক নাসরীন আক্তার আইভী জানান, ফলন ও পুষ্টিমান বেশি হবে- এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে পাঁচ বছর গবেষণার পর তিনি সুস্বাদু ফল ও সবজি পেঁপের এমন দেশীয় জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, পেঁপের জাত দুইটি গাইনাডোইওসিয়াস ধরণের (স্ত্রী ও উভয়লিঙ্গ বিশিষ্ট গাছ থাকবে। প্রতিটি গাছেই ফল ধরবে। প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টি ফল হয়। স্ত্রী গাছের ফলের আকার নাশপাতি আকারের এবং গায়ে লম্বালম্বি দাগ আছে। ফলন হয় হেক্টর প্রতি ৬০-৭০ টন, এ জাতের পেঁপেতে পেপেইন নিঃসরণ বেশি হয়।

পাকা ফলের মিষ্টতা বেশি, পাকা ফলের ভেতরের রং একটিতে গাড় হলুদ থেকে গাড় কমলা রঙের, অপরটিতে লাল রংয়ের। পাকা পেঁপেতে যেমন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি থাকে তেমনি কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে পেপেইন নামক এক প্রকার হজমকারী দ্রব্য। যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও খুব উপকারী। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবেও খাওয়া যায়।

এ জাতের বীজ জানুয়ারি মাসে বপন করা হয় এবং মার্চে উৎপাদিত চারা রোপণের উত্তম সময়। চারা লাগানোর ৬০/৭০ দিনের মধ্যে ফল ধরে। এ জাতের পেঁপেতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া জানান, পেঁপে আমাদের একটি খুব প্রিয় ফল। এর পুষ্টিমান খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। প্রতিটি পেঁপে গাছে যাতে ফলন হয়, সে ব্যাপারে গবেষকরা কাজ করছেন। ইতিমধ্যে কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ থেকে বিইউ পেঁপে-১ ও বিইউ পেঁপে-২ নামে দুইটি পেঁপের জাত ছাড় করা হয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর