৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০১:৪৪

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের যৌথ সহযোগিতার যাত্রা শুরু

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের যৌথ সহযোগিতার যাত্রা শুরু

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সেস (ইএসএস) এবং যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিক্স প্রোগ্রামের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ৩০ নভেম্বর ‘লঞ্চ ইভেন্ট অফ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি-ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট কোলাবোরেশন’ শীর্ষক অনলাইন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় দুটির মধ্যে এই সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

ফল-২০২১ সেমিস্টার থেকে উভয়পক্ষীয় এই শিক্ষার্থী বিনিময় সংক্রান্ত সহযোগিতা কার্যকর হয়েছে। এই চুক্তির ফলে প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীবৃন্দ কোর্সের প্রথম ধাপটি ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টে সম্পন্ন করার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ সম্পন্ন করবেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী বিনিময় সংক্রান্ত চুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং এবং ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের গ্লোবাল অ্যান্ড লাইফ লং লার্নিং এর ডিরেক্টর এবং ডিন ড. অ্যান্থনি ম্যানিং। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সেস এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন প্রফেসর ড. ফারজানা মুন্সী, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড, জেনারেল এডুকেশন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সামিয়া হক এবং ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের গ্রাজুয়েট স্টাডিজ (এমএসসি) এর ডিরেক্টর ড. অ্যান্ড্রি লুনভ ও রিডার ইন ইকোনমিক্স ড. জাকি ওয়াহাজ।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রফেসর ফারজানা মুন্সী ইকোনমিক্স অ্যান্ড সোশাল সায়েন্সেস বিভাগ সম্পর্কে সম্যক ধারণা প্রদান করেন। সেই সাথে উচ্চ শিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের বিষয়ে আলোকপাত করেন তিনি।  

প্রফেসর ভিনসেন্ট চ্যাং জানান, আন্তর্জাতিকীকরণ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা এক সাথে হাতে হাত রেখে চলে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এই দশকের শেষ নাগাদ বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের একটি গর্বিত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া। এই ধরনের সহযোগিতার রয়েছে সুদূরপ্রসারী প্রভাব যা আগামী দিনে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে বিশ্ব মানচিত্রে জায়গা করে দেবে। 

ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের ড. অ্যান্থনি ম্যানিং ও ড. অ্যান্ড্রি লুনভ তাদের বক্তব্যে ইউনিভার্সিটি অফ কেন্ট এর বিভিন্ন প্রোগ্রাম ও দেশের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়টি নানা সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন। 

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ এর ভূয়সী প্রশংসা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। তিনি জানান, এই ধরণের সহযোগিতা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে।

শিক্ষার্থী বিনিময়ের এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও ইউনিভার্সিটি অফ কেন্টের মধ্যকার এই সহযোগিতার ফলে শিক্ষার্থীবৃন্দ বাংলাদেশের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। 

প্রফেসর সামিয়া হক তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য মানব পুঁজির উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এই ধরনের উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ড্যাউল্যান্ড তার সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই সহযোগিতা দেশি এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও স্টাফদের জন্য নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে। 

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর