শিরোনাম
৫ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:১৮

ঢাবি যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ল্যাব সিলগালা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ঢাবি যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের ল্যাব সিলগালা, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের (কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস) কলাভবনে অবস্থিত স্পিচ থেরাপি ক্লিনিক ও অডিওলজির ল্যাবের তিনটি কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে এই সব কক্ষ খুলে দেওয়ার দাবিতে উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীদের দাবি, কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই কলাভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ল্যাব ও ক্লিনিক সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। বিভাগের কার্যালয় ও শ্রেণিকক্ষসমূহ সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে স্থানান্তরিত হলেও ‘কিছু কারণে’ এই ল্যাব কলাভবনে রাখা প্রয়োজন। তাই এসব কক্ষ ফেরত চান তারা। 

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক অনুষদের বিভাগগুলোর শ্রেণিকক্ষসহ প্রয়োজনীয় কক্ষের সংকট আছে। প্রায়শই বিভাগগুলোকে পাঠদানে অন্য বিভাগের শ্রেণীকক্ষ ব্যবহার করতে হয়। সম্প্রতি সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের উর্ধ্বমূখী সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে এত দিন কলাভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বেশ কয়েকটি বিভাগ সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে। যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগও সামাজিক বিজ্ঞান ভবনের ৮ম তলায় স্থানান্তরিত হয়ে গেছে। কিন্তু তাদের স্পিচ থেরাপি ক্লিনিক ও অডিওলজির ল্যাব এখনও কলাভবনে রয়ে গেছে। এসবই সিলগালা করা হয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, কলাভবনের ২০৮৮, ২০৮৯ ও ২০৯১ নম্বর কক্ষ তিনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং দরজার ওপরে সাদা কাগজে লেখা আছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্পেস বরাদ্দ কমিটির (২৯/১১/২১ তারিখ) আহ্বায়ক, মাননীয় প্রো-উপাচার্য প্রশাসন-এর নির্দেশে তালাবদ্ধ করে সিলগালা করা হয়েছে’। যদিও এর আগে এক দফায় সিলগালা করার পর তালা ভেঙ্গে ল্যাবে প্রবেশ করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি দরজার বাহিরে ‘কক্ষগুলো যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগে’র-এমন দাবি সংবলিত পোস্টারও লাগিয়েছেন তারা। 

বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি, স্থান সংকটের কারণে এই ল্যাব সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে স্থাপন করা সম্ভব নয়। তাছাড়া যাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়, তাদের অনেকের ‘সেন্সরি’ সমস্যা থাকায় লিফটে করে আটতলায় উঠতে ভয় পাবে। ল্যাবটি বানাতেও বিপুল অংকের টাকা খরচ হয়েছে, যা স্থানান্তর করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ক্ষতি হবে। ফলে কলাভবনেই তা রাখতে চান তারা। 

তালা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে স্পেস বরাদ্দ কমিটির সদস্য ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্পেস বরাদ্দ কমিটি কক্ষ বরাদ্দ দেয়। এর সাথে কলা অনুষদের সম্পৃক্ততা নাই। আমি যতদুর জানি, ২৯ তারিখের স্পেস বরাদ্দ কমিটির সভার সিদ্ধান্তে এটা হয়েছিলো।

কলাভবনে ল্যাব ও ক্লিনিক রাখার ব্যাপারে যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নাই। এ বিষয়ে তারা স্পেস বরাদ্দ কমিটিতে আবেদন করবে। সেখানে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এর আগেই ভাংচুরের বিষয়টি বিষয়টি ঠিক কিনা, আমার জানা নেই। 

বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করেননি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। 

এদিকে, রবিবার দুপুরের দিকে উপাচার্য কার্যালয়ের প্রবেশপথে বিক্ষোভ শুরু করেন বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এর কিছুক্ষণ পরে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদের সাথে বৈঠকে বসেন বিভাগটির শিক্ষকেরা। পরে সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ জানান, ওনারা কালকে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন থেকে লোক পাঠাবেন। তারা এখানে (ল্যাবে) কী কী আছে, তা দেখবেন। পরে একটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত দেবেন। 

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর