বৈষম্যের অভিযোগ তুলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্টার ও কলা অনুষদের ডিন বরাবর উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন। চলতি শিক্ষাবর্ষে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হওয়া মোহাইমিনুল নামের ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ থেকে জানা যায়- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল যে, বিষয় পর্যায়ক্রমের ফর্মে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সর্বনিম্নটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের দেওয়া হবে। সাক্ষাৎকারের দিন নিজের বিষয় পছন্দক্রমে না থাকা সত্ত্বেও ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ভর্তির জন্য মোহাইমিনুলকে মনোনীত করা হয়। যা বিজ্ঞপ্তির সাথে সাংঘর্ষিক।
এতে আরও বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবর্ষ সম্মান শ্রেণির খ-ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত মোহাইমিনুলের উপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। যার প্রেক্ষিতে সে নিয়মানুযায়ী ফাঁকা আসনে পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দানের জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করেন। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
নোটিশে মোহাইমিনুলকে পছন্দক্রমের সর্বনিম্ন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯টি আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীন মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের তিন দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে, নোটিশ এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত