রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) জিয়াউর রহমান হলে তালা লাগিয়ে আন্দোলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, সিট দখলে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে হল গেটে তালা লাগায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনের নেতৃত্ব নেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় হল প্রাধ্যক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত হল গেট তালাবদ্ধ রাখেন তারা।
যদিও হল শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বলছেন, ডাইনিংয়ের খাবারে কটনবার্ড পাওয়ার ঘটনায় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল গেটে তালা দিয়েছেন।
তবে হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, এই তালা দেওয়ার বিষয়টি ‘পূর্ব পরিকল্পিত’। গত বুধবার অবৈধভাবে থাকা কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার বদলা হিসেবে এমনটা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানায়, ‘হলে আসন বরাদ্দ দেওয়ার পর হল প্রশাসন আমাকে আমার বরাদ্দকৃত আসনে তুলে দেন। এদিন রাতে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ নিজে না এসে অন্যদের মাধ্যমে আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়। এবং রাতে রাশেদ ভাই আমার সাথে দেখা করতে চেয়েও পরে আর দেখা করেননি। আমি আমার মেস ছেড়ে দিয়েছি। এখন আমার থাকার জায়গা নেই।’
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে রাশেদ বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দেইনি। আর আজকের বিষয়টি নিয়ে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তালা দিয়েছেন। আমরা তাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করেছি।’
পরে ঘটনাস্থলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, প্রক্টর আসাবুল হক, হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ও শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এসে হল প্রশাসনকে নিয়ে আলোচনায় বসেন।
আলোচনা শেষে জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ সুজন সেন বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীরা বেশকিছু অভিযোগ করেছে। এগুলো সমাধানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আগামী রবিবার আমাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। সেদিন বসে এই অভিযোগগুলোর সমাধান করা হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এমআই