মহান স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে গিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু পরিষদ এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকদের মধ্যে এ হাতাহাতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্মৃতিসৌধে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায়। এরপর একে একে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ, বিভাগ, আবাসিক হল, ছাত্রলীগ, শিক্ষক-ছাত্র সংগঠন ফুল দেওয়া শুরু করে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সঞ্চালক জিয়া পরিষদকে ফুল দেওয়ার জন্য ডাকে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকরা ফুল দিতে বেদীতে ওঠতে গেলে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর সেখানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রঘোষিত কমিটির শিক্ষকরা গেলে উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। দুই পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক এ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে সিনিয়র শিক্ষকদের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে এসে মানববন্ধন করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের শিক্ষকরা। এ সময় তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ শিক্ষক ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার বলেন, ‘জাতীয় দিবসে বিশৃঙ্খলা হোক এটা আমরা কখনো চাইনি। কিন্তু অপরপক্ষ আমাদের কাছ থেকে ফুলের ডালি নিয়ে ভেঙে দেওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন বলেন, ‘এটা তাদের পূর্বপরিকল্পনা ছিল। তারা জুনিয়র শিক্ষকরা সিনিয়র শিক্ষকদের অসম্মান করেছেন। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তারা চাইলে আলোচনার মাধ্যমে সমাঝোতা করা সম্ভব।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ