২৩ মে, ২০২২ ১৪:১৯
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি

হলের খাবারের মান নিয়ে পোস্ট করায় পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

পাবনা প্রতিনিধি

হলের খাবারের মান নিয়ে পোস্ট করায় পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর

নূরুল আমিন।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেছেন কয়েকজন যুবক। আহত ওই শিক্ষার্থী আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত নূরুল আমিন পাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের ১১ তম ব্যাচের (৩য় বর্ষ প্রথম সেমিষ্টার) ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।  
 
ওই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি জানার সাথে সাথেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সে মাঝে মাঝেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছেন। তবে এ ঘটনার আমরা সুষ্ঠু বিচার দাবি করি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাইস চ্যান্সেলরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে তাকে এসে দেখে গেছেন। 
 
তার সহকর্মীরা জানান, শনিবার (২১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইতিহাস বিভাগের ১১ তম ব্যাচের অনিক পোদ্দার, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগের ১১ তম ব্যাচ শাহ আলম, জহির রায়হান, ইমনসহ কয়েকজন নূরুল আমিনকে রুম থেকে ডেকে হলের ছাদে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে তারাই আবার রুমে নিয়ে এসে দিয়ে যায় নূরুলকে। বিষয়টি জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্সে করে রাত দেড়টার দিকে আমরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। আহত নুরুলের সংজ্ঞা ফিরে এলে তিনি কয়েকজনের নাম বলেছেন। হলের ডাইনিংয়ের খাবার নিয়ে নূরুল সম্প্রতি একটি পোস্ট দেন ফেসবুকে। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই তারা তাকে মারধর করেন বলেও জানায় নূরুল। 
 
তবে অভিযুক্ত অনিক পোদ্দার মারধরের বিষয়ে অস্বীকার করলেও রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। একই সাথে হলের খাবার সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তাকে মারধর করা হয়নি বলেও দাবি করেন। তবে একটি মিটিংয়ের জন্য তারই কয়েকজন বন্ধুরা মিলে নূরুল আমিনকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে ছাদে নিয়ে কথা বলার বিষয়টিও তিনি নিশ্চিত করেন। 
 
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক-কাণ-গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা: মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই শিক্ষার্থীর সম্ভবত কানের পর্দা ফেটে গেছে। তার সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। মাথায় আঘাত জনিত কারণে এমনটি হতে পারে।  
 
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার (২২ মে) একটি অনুষ্ঠান ছিল। তবুও বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথেই আমরা হাসপাতালে গিয়েছি, খোঁজ খবর নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রথমত ছেলেটাকে রক্ষা করাই আমাদের মূখ্য বিষয়। তবে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে। যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
 
 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর