ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে (আইইউবি) দক্ষিণ কোরিয়ার দুই বিখ্যাত ভাষা ও সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ ও ‘কিং সেজং ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর ) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত আইইউবি ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে এই দুই কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদান পায় আইইউবি। এর অধীনে আইইউবি লাইব্রেরিতে একটি উইন্ডো অন কোরিয়া কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। এখানে কোরিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রকাশনা ও অডিওভিজুয়াল-এর বিশাল সংগ্রহ তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, গত আগস্ট মাসে আইইউবিকে কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সনদ হস্তান্তর করে কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন। এই ইনস্টিটিউটে সরাসরি কোরিয়ান ভাষাভাষীদের কাছ ভাষাটি শেখার সুযোগ থাকছে। আইইউবির শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে এই ইনস্টিটিউট এবং কর্নার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “উইন্ডো অন কোরিয়া এবং কিং সেজং ইনস্টিটিউটে আমাদের শিক্ষার্থীরা কোরিয়ান ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান লাভ করতে পারবে। এছাড়াও, আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে, এই দুটি প্রতিষ্ঠান সর্বসাধারণের জন্যও উন্মুক্ত থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আরো বেশি এ ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়ানোর আমাদের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়ন অনেকটাই সহজ হবে।”
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন বলেন, “এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শুধু আইইউবির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, আমি মনে করি এ ধরনের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেও আরো শক্তিশালী ও জোরদার করতে পারি।”
আইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার বলেন, “কোরিয়াকে অনেক সময় উন্নয়নের রোল মডেল বলা হয়। একটি দেশের উন্নয়ন পরিক্রমাকে ভালোভাবে বুঝতে হলে সে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞানও জরুরি। আমি মনে করি উইন্ডো অন কোরিয়া এবং কিং সেজং ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সেটি চমৎকারভাবে করা সম্ভব হবে।”
আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান, পিএইচডি, বলেন, “দেশে এবং বিশেষ করে দেশের বাইরে বৈশ্বিক পর্যায়ে সাফল্য পেতে হলে আমাদের তরুণদের মাতৃভাষা বাংলা এবং ইংরেজির পাশাপাশি আরো একাধিক ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই প্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যেই আইইউবিতে উইন্ডো অন কোরিয়া এবং কিং সেজং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে শুধুমাত্র আইইউবির শিক্ষার্থীরাই নয়, সাধারণ জনগণও সরাসরি উপকৃত হবে।”
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব রাখেন আইইউবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, পিএইচডি; আইইউবির কিং সেজং ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জাকির হোসেন রাজু, পিএইচডি; এবং কোরিয়ান কমিউনিটি ইন বাংলাদেশ-এর ভাইস চেয়ারম্যান মিলিয়ন পার্ক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি শেষ হয় আইইউবির শিক্ষার্থী এবং প্রবাসী কোরিয়ান তরুণদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে।
বিডি প্রতিদিন/এএম