রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে অনশনে বসেছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান।
সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জ্বোহা চত্বরে দিনব্যাপী এই অনশন শুরু করেন তিনি। এসময় দেশের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় অনিয়ম, অবহেলা ও রোগীদের স্বজনদের সাথে অশোভন আচরণের প্রতিবাদ জানানো হয়।
অধ্যাপক ফরিদ বলেন, রামেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তা অত্যন্ত নগ্ন ও বর্বরোচিত। এই হামলার বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই। দেশের সরকারি হাসপাতালে অসহায় অবস্থায় মানুষ চিকিৎসা নিতে যায়। কিন্তু এখানে রোগী ও স্বজনরা চিকিৎসার নামে বিভিন্নভাবে অনিয়ম, অবহেলা ও অশোভন আচরণের কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমনকি এসবে প্রতিবাদ করলে নানা হুমকি-ধমকি, নির্যাতন ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। যা মোটেও কাম্য নয়। তাই দ্রুত এসব জায়গায় সরকারের সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে এবং এসব কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এরআগে, গত ২৩ অক্টোবর রাতে রাবির শহীদ হবিবুর রহমান হলে উপরতলার থেকে পড়ে গুরুতর অবস্থায় রামেকে মৃত্যুবরণ করেন মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার অভিযোগ তুলে মেডিকেল সংশ্লিষ্টদের সাথে বিতর্কে জড়ান রাবি শিক্ষার্থীরা। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতাল পরিচালকের নির্দেশে রোগীর সাথে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ধারলো ছুরি-কাচি দিয়ে বর্বরোচিত হামলা চালান হাসপাতালে স্টাফ, ইন্টার্ন ও সংশ্লিষ্টরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীরা গুরুতর আহত হয়েছেন। এখনো তাদের অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ঘটনার বিচার চেয়ে উভয়পক্ষ থানায় মামলাও করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন