চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আকিল হায়দার জিদান নামে এক ইন্টার্ন চিকিসককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন ওই ইন্টার্ন চিকিৎসক। রবিবার হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে দায়িত্বপালনকালে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন, অভিজিৎ দাশ ও ফয়েজ উল্লাহ। এরমধ্যে অভিজিৎ দাশ কলেজ থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কৃত ও ফয়েজ উল্লাহ চমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি। দুইজনই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন। আমরা জিডি মোতাবেক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
জিডিতে আকিল হায়দার উল্লেখ করেন, ফয়েজ উল্ল্যাহ ও অভিজিৎ দাশ রবিবার দিবাগত রাত একটার দিকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রি-অপারেটিভ রুমে এসে আমাকে তাদের এক রোগীকে দেখতে বলেন। সে সময় আমি অন্য একজন রোগীকে দেখায় ব্যস্ত থাকায় তাদের বলি কিছুক্ষণ পর তোমাদের রোগী দেখব। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে অভিজিৎ দাশ আমার শার্টের কলার ধরে দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দেন। চড় থাপ্পড় মারেন। এ সময় তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। তা ছাড়া জুনিয়রদের দিয়ে মারধর করানো ও আমাকে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেন তারা। এমন পরিস্থিতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেন আকিল হায়দার। বিষয়টি তিনি কলেজের অধ্যক্ষ ও হাসপাতালের পরিচালককেও অবহিত করেছেন বলে জিডিতে উল্লেখ করেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল