ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের এক্সটেনশন বিল্ডিং সংলগ্ন ‘হাবিবের ক্যান্টিন’ এর খাবারে মিলেছে তেলাপোকা। খবর পেয়ে ক্যান্টিন মালিককে জরিমানা করেছেন হল প্রাধ্যক্ষ।
বুধবার রাতের খাবার খেতে গিয়ে হলের এক শিক্ষার্থী তার জন্য পরিবেশিত খাবারে তেলাপোকা পান। বিষয়টি নিয়ে হলের সায়েদ মাহমুদ নামের এক শিক্ষার্থী ছবিসহ ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে। জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে জরিমানা করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, হল প্রাধ্যক্ষের সাথে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিনে উপস্থিত হয়ে ক্যান্টিন মালিককে জেরা করছেন। তখন শিক্ষার্থীরা প্রভোস্টের কাছে নিজেদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। এরপর হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো.আব্দুর রহিম ক্যান্টিন মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
অভিযোগকারী সায়েদ মাহমুদ বলেন, আমি এর আগেও খাবারে ফড়িং পেয়েছিলাম। এই ক্যান্টিনের খাবারের মান অত্যন্ত বাজে। প্রথম দিকে খাবারের অবস্থা ভালো থাকলেও দিন দিন খাবারের মান তুলনামূলক খারাপ হয়েছে।
অন্য শিক্ষার্থীরা জানান, হাবিবের ক্যান্টিনে বিভিন্ন সময় এক খাবারের পরিবর্তে আরেক খাবার দিয়ে পরিবেশন করা হয়। ঠিকমতো পরিষ্কারও করা হয় না।
ক্যান্টিন মালিক হাবিব বলেন, মানুষের মাঝে মধ্যে ভুল হয়ে যায়। আমি আসলে খেয়াল করিনি। তবে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখব। এমন ভুল ভবিষ্যতে আর হবে না।
অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি অভিযোগ শুনে তৎক্ষণাৎ ছুটে এসে ক্যান্টিন মালিক ও সকল স্টাফদের জড়ো করি। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের কথা শুনে ক্যান্টিন মালিক হাবিবকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি। এই অর্থ ও হলের ফান্ড থেকে টাকা দিয়ে ক্যান্টিনের জন্য নতুন ক্রোকারিজ, টেবিল ম্যাট ও আনুষঙ্গিক খরচ করা হবে। এছাড়া ক্যান্টিন মালিককে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যেন ভবিষ্যতে মানসম্মত খাবার পরিবেশন করে এবং আচরণ ঠিক রাখে। শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের মেইন ক্যান্টিনের ভালো পরিবেশ নিশ্চিত করতেও আমি কাজ করছি। আগামী দুই দিনের মধ্যেই সেটার কাজ শেষ হবে। হাবিবের ক্যান্টিনে যদি আবার কোনো অসংগতি লক্ষ্য করি তাহলে তাকে পরিবর্তন করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ
