ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাইকমিশনারের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের সেকেন্ড গেইট থেকে শুরু হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আগারগাঁও, সেকেন্ড গেইট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাংলোতে থামে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক ইসকনের প্রতীক এবং ইসরায়েলের পতাকা মুছে ফেলার কারণ জানতে ভিসি বাংলোর সামনে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে শেকৃবি শিক্ষার্থীদের আঁকা সেকেন্ড গেটে ইসরায়েরের পতাকা ও ইসকনের প্রতীক মুছে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মিছিলকারীরা। রবিবার দখলদার ইসরায়েলের গণহত্যা ও অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে পদদলিত করার লক্ষ্যে ইসরায়েলের পতাকা ও ইসকনের প্রতীক আঁকেন শিক্ষার্থীরা। তবে একদিন না পার হতেই সোমবার বিকালে শেকৃবি প্রশাসনের আদেশে তা মুছে ফেলা হয়।
পরবর্তীতে সোমবার পুনরায় পতাকা আঁকতে গেলে বাধা প্রদান করেন শেকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক আরফান আলী। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক মো. আশিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় আশিক বলেন, আমরা প্রশাসনের এমন পদক্ষেপে হতবাক। আমরা আমাদের কার্যক্রম আরও বাড়াবো। আমরা একটি গেটে পতাকা ও প্রতীক এঁকেছিলাম তারা মুছে দিয়েছে এখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গেটে এবং হলগুলোর গেটেও আঁকব। বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল মোড়েও বড় করে পতাকা আঁকা হবে। এতে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাধা দেয়, তাহলে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এবং ভিসির বাসভবনের সামনেও আঁকা হবে। যারা ছাত্র- জনতার রক্তের মাধ্যমে প্রশাসনের দ্বায়িত্বে এসেছেন তারা যদি ভারতের দালালি করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ছাত্রজনতা ব্যবস্থা নেবে।
পরবর্তীতে পতাকা মুছে দেওয়ার ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আরফান আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নির্দেশে মুছে ফেলা হয়েছে। যেহেতু ইসকন হাইকোর্ট কর্তৃক বাংলাদেশে নিষিদ্ধ না। তাই এই কাজের মাধ্যমে যাতে ক্যাম্পাসে সম্প্রীতি নষ্ট না হয় এবং ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন বজায় থাকে সেজন্য এটা মুছে ফেলা হয়েছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল