অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ দুই দফা দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান।
রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। তার অন্য দাবিটি হলো-জুলাই মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ও হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে জিয়া উদ্দিন বলেন, জুলাইয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর যারা নৃশংসভাবে হামলা করেছে এবং যারা হামলায় মদদ দিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কোনো মামলা করেনি। গত সেপ্টেম্বরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং সেই তদন্ত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পাই যে, ৪ মাস পার হয়ে যাওয়ার পরেও তারা দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেবে এবং জাকসু কার্যকরের রোডম্যাপ প্রকাশ না করা হবে, নির্বাচন কমিশন গঠন না করা হবে-ততক্ষণ পর্যন্ত আমার অনশন চলবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাকসু কার্যকরের রোডম্যাপ প্রকাশের জন্য পাঁচ কর্মদিবস সময় নিয়েছিল। আগামীকাল সেই পাঁচ দিন শেষ হবে এবং আমরা আমাদের দেওয়া কথা অনুযায়ী আগামীকাল জাকসুর জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন ও রোডম্যাপ প্রকাশ করবো। জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে আমরা ১৮ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেওয়ার পরদিন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করি। এই হামলায় মূলত অনেকে জড়িত থাকায় এবং তিনদিনের ঘটনা তদন্ত করতে তদন্ত কমিটি একটু বেশি সময় নিয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি এই তদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং ২১ জানুয়ারি চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে বলে আশা করছি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই