ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে মেট্রোরেলের পিলারে শেখ হাসিনার মুছে ফেলা গ্রাফিতি আবারো আঁকা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময়ের মতো করেই হাসিনার গ্রাফিতিকে লক্ষ্য করে ফের দেওয়া হয়েছে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি।
রবিবার দিবাগত রাত ১ টায় এ গ্রাফিটি আঁকা শুরু হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যহত থাকে। এ অঙ্কন কার্যক্রমে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যকর রাজনৈতিক দল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। সোমবার বেলা ১টা থেকে গ্রাফিতিকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে গ্রাফিতিটি মুছে ফেলা হলে প্রথমে একদল শিক্ষার্থী শেখ হাসিনার একটি ব্যাঙ্গচিত্র আঁকেন। তবে শিক্ষার্থী ও ছাত্র আন্দোলনের দাবি উঠে আগের রুপেই আঁকতে হবে এ গ্রাফিতি।
এ গ্রাফিতিটি আঁকেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শিমুল কুম্ভকার, চারুকলা অনুষদের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য মৃধা রাইয়ান, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজ।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, "ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনকে নিয়ে এ গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে সকলে মিলে এটি করেছে। তবে আগের গ্রাফিতিটি মুছে ফেলায় ইতিহাসের একটি দলিল মোছা হয়েছে। এর জন্যে আমরা প্রশাসনকে এত সহযে ছাড় দিতে পারি না।"
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, "এ গ্রাফিতিটি কারো একার সম্পদ নয়, এটা সকলেরই সম্পদ। ৩ আগস্টে বাংলাদেশের মানুষ প্রাণের ভয় না করে টিএসসি এসে শেখ হাসিনার ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলো। সেই দলিলটা মুছে গেছে। প্রক্টর এটা কেন করলেন সেটার জবাব দেয়া উচিৎ। এখন এ ছবিটি আঁকা হচ্ছে নতুন করে তবে আসল জিনিসটা আর থাকলো না।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ জানান, "শেখ হাসিনার ছবির পরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও আঁকা হবে। বেলা ১ টায় জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন