‘চলো বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে’ স্লোগানে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ১ নম্বর হল গুলনকশায় পর্দা নামল ৬০তম ‘বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষামেলা ২০২৫’-এর। বিশ্বের ৪৫ দেশের ২ হাজার ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্বে এ মেলায় অংশ নিয়েছে ৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরামর্শক সংস্থা। গতকাল মেলার শেষ দিনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছিল আইসিসিবি প্রাঙ্গণ।
মেলায় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি স্টলেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের ভিড়। তারা বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। বিদেশে পড়তে যাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য যাচাই করছেন। অনেকেই আবার পরিবারসহ বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। স্টলগুলোর প্রতিনিধিরাও আগ্রহ নিয়ে মেলায় আগতদের বিভিন্ন তথ্য জানাচ্ছেন। মেলায় অংশ নেওয়া স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা এংলিয়া রাসকিন ইউনিভার্সিটি, লন্ডন। যারা গ্লোবাল র্যাংকিং, স্কলারশিপ ও ক্যারিয়ার ফোকাস্ড প্রোগ্রামের জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। এ ছাড়া রয়েছে স্মার্ট বি, এডওয়াইজ এডুল্যান্স, ঢাকা আইইএলটিএস সেন্টার, নলেজ হাব, এসটিসি ও ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস।মেলায় আয়োজক ফেয়ার কনভেনার এবং এডুল্যান্সের প্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ গালিব বলেন, ‘বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও যাতে যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা একত্র করেছি। মেলায় ৮০টি স্টলে ৪৫ দেশের প্রায় ২ হাজার ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার সুযোগ রয়েছে। এখানে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অফার সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এ ছাড়া মেলায় কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পট অ্যাডমিশনের ব্যবস্থা ছিল।’
ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলসের বাংলাদেশ আঞ্চলিক অফিসের সহকারী পরিচালক (ভিসা) মো. নুরুচ্ছাফা রনি বলেন, ‘এ মেলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা এক ছাদের নিচে বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন সুযোগসুবিধা সম্পর্কে জানতে পারছেন। ফলে তাদের পক্ষে উচ্চশিক্ষায় সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় যাচাই করা সহজতর হচ্ছে। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষায় টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া, খন্ডকালীন কাজের সুবিধা ও আবেদন যোগ্যতা নিয়ে জানতে চাচ্ছেন।’
মেলায় আসা নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, ‘মাস্টার্স করার জন্য আমেরিকা ও কানাডার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর নিচ্ছি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগসুবিধা দেখছি। পড়ালেখার খরচ ও আয়ের সামঞ্জস্য নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। যেখানে ভালো হয় সেখানে আবেদন করব। এক ছাদের নিচে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ অন্যান্য কনসালট্যানসি ফার্ম পেয়ে এ কাজটি খুব সহজ হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/আশিক