গণিতে ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ ৫ কমেছে।
এই বোর্ডে এবার এসএসসিতে পাসের হার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। সে হিসাবে কমেছে পাসের হার জিপিএ ৫ সংখ্যাও। গত বছরের পরীক্ষায় এ বোর্ডে জিপিএ ৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১২ হাজার ১০০ জন। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৯ হাজার ৯০২ জন পরীক্ষার্থী। গত বছরের মতো এবারও ছেলেদের তুলনায় সাফল্যে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সচিব প্রফেসর খন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর রুনা নাছরীন, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) মোহাম্মদ শাহজাহান, উপ-সচিব (প্রশাসন) মাছুম মিল্লাত মজুমদার, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন আহমেদ ও উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) কাজী আপন তিবরানী।
চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী এই ছয় জেলার ১ হাজার ৭৯৯ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ পরীক্ষার্থী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে পাস করেছেন ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন।
প্রফেসর মো. শামছুল ইসলাম আরো বলেন, এ বছর ফেল করা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই গণিতে খারাপ করেছে। যার কারণে এবছর বোর্ডের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। এছাড়া তিনি আরও বলেন, বিগত সালের থেকে এ বছরের পরীক্ষা গুণগত ও মানসম্পন্ন হয়েছে। তারও কিছুটা প্রভাব পড়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন