ঈদুল আজহার আর মাত্র বাকি ১৫ দিনের মতো। অথচ এখনো কোরবানির রঙ লাগেনি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ পশুরহাট কুষ্টিয়ার বালিয়াপাড়ায়। শনিবার হাটে আনাগোনা কম ছিল ঢাকার ব্যবসায়ীদের। এতে পশু বিক্রি যেমন আশানুরূপ হয়নি, দামও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত। হতাশ অনেক কৃষক শেষ বিকেলে বসে ছিলেন। শুধুমাত্র খরচ ফেরত আসার মতো দামের।
হাটে আসা বিক্রেতারা বলছিলেন, অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এই সময়ে বালিয়াপাড়া পশুরহাট থাকে জমজমাট। প্রতি শনিবার বসা এই হাট ঈদের আগে আর একবার বসবে। তারা আশা করেছিলেন, আজকের হাটেই পশুটি বিক্রি করে ফিরতে পারবেন। কিন্তু বিকাল চারটা পর্যন্ত হাটে আসা ৯০ ভাগ গরু-ছাগলই ছিল অবিক্রিত।
স্থানীয় বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী খা বলেন, গরুতে এবার সবই লস। টাকা ঘুরবে না কারোরই। বাজারের অবস্থা খুবই দুর্বল বর্তমান। আগে যাই গরু টানছিল (বিক্রি হচ্ছিল), এখন টানছেই না।
এবার পশুখাদ্যের দাম অনেক বেশি ছিল দাবি করে এই বিক্রেতা বলেন, খাদ্যের দাম বেশি, গরুর দাম কম। এবার অনেকের আসলই ঘুরবে না।
আরেক বিক্রেতা মাহবুব বলেন, ‘একদমই কেনাবেচা নাই। আজকের যে হাট, এই গরু এতক্ষণে অর্ধেক চলি যাবি। কিন্তু দেখচেন না, গরু হাট ভরা।’
গরুর দাম কমার কারণ হিসেবে এই কৃষক দায়ী করছিলেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে। তিনি বলেন, নানান কথা মানুষের মধ্যে শোনা যায়। অনেকেই ভয়ভীতিতেও হাটে আসছে না এবার। ঢাকার ব্যাপারি এবার খুবই কম।
তবে ছোট খামারি ও কৃষকদের আশার বাণীই শোনালেন ব্যাপারীরা। পাবনা থেকে আসা রিয়াজ ব্যাপারি বলছিলেন, ‘বর্তমানে ওইপাড়ে গরু লেচ্ছে না (ঢাকায় কিনছে না)। ওখানে না লিলি তো এখানে নেবে না।’
রিয়াজ জানান, বাজার ঠিক হবে কিছুটা। ঢাকা ও চট্টগ্রামে গরু কেনাবেচা শুরু হলে দাম বাড়বে স্থানীয় বাজারেও।
তবে ক্রেতা বিক্রেতাদের দাবি ঈদকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানোর। হাইওয়ে ঝুঁকিমুক্ত না থাকলে স্থানীয় বাজারে পশুর কেনাবেচা কমবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল