চট্টগ্রামে গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পড়ছে বৃষ্টি। কখনো থেমে থেমে, কখনো মুষলধারে। এ কারণে কোরবানির পশুর হাটের বিক্রেতারা অনেকটা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। তবে বুধবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। ফলে বিক্রেতাদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। সঙ্গে ক্রেতারাও ভিড় করছেন হাটগুলোতে। বুধবার বিকালে নগরের বৃহত্তম পশুর হাট সাগরিকা ও বিবির হাট পশুর বাজারে খোঁজ নিয়ে এ খবর জানা যায়।
জানা যায়, বুধবার সকাল থেকেই হাটগুলোতে চট্টগ্রামসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে ট্রাকে করে পশু নিয়ে এসেছেন বেপারি ও খামারিরা। কোরবানির পশুতে ভরে পূর্ণ হয়ে যায় পুরো পশুর হাট। কিন্তু টানা বর্ষণে বাজারগুলোতে কাদামাটি জমে গেছে। তবে বাজার কর্তৃপক্ষ ও বেপারিরা কাদামাটির ওপর বালি, মাটি, খড়কুটো দিয়ে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছেন ক্রেতাদের।
সাগরিকা বাজারের গরু ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিন টানা বর্ষণে ক্রেতা অনেক কমই ছিল। আজ বুধবার থেকে ক্রেতা বাড়ছে।
সাগরিকা বাজারের ইজারাদার সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আজ বুধবার থেকে বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। এখন বাজার জমে উঠেছে। কার্যত মানুষ আজ থেকেই কোরবানির পশু ক্রয় করবে।
কর্ণফুলী নুর নগর হাউজিং গরু বাজারের ইজারাদার খোরশেদ আলম বলেন, বাজারে প্রচুর সংখ্যক পশু আসছে। পরশু কোনো ঘাটতি হবে না। আজকের আবহাওয়া ভালো হওয়ায় বাজারে ক্রেতারা আসতেছে, সঙ্গে সঙ্গে বিক্রয়ও বাড়ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর মোট ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি কোরবানি পশুর চাহিদা আছে। গত বছর এই চাহিদা ছিল ৮ লাখ ১৮ হাজার ৪৬৮টি। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬৭ হাজার ২৯৭টি পশুর বেশি চাহিদা আছে। চাহিদা বাড়লেও ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।
চসিক সূত্রে জানা যায়, এবার নগরে নয়টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে আছে তিনটি স্থায়ী পশুর হাট। অস্থায়ী পশুর হাট হলো-বাকালিয়ার নূর নগর হাউজিং এস্টেট মাঠ, পূর্ব হোসেন আহমদ পাড়া সাইলো রোডের পাশের খালি টিএসপি মাঠ, মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ওয়াজেদিয়া মোড়, আউটার রিং রোডের সিডিএ বালুর মাঠ, মধ্যম হালিশহর মুনির নগর আনন্দ বাজার সংলগ্ন রিং রোডের পাশের খালি জায়গা, জানালি হাট রেল স্টেশন সংলগ্ন খালি মাঠ ও বাটাফ্লাই পার্কের উত্তরে চেয়ারম্যান মাঠ। স্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো-সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট বাজার ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। নগরের এসব হাটে কোরবানির পশু বিক্রয় চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
