সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ‘হত্যার’ ঘটনায় ফের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। একপর্যায়ে নগরীর টিলাগড়স্থ মাদানী চত্বরে সড়ক অবরোধ করেন তারা।
তবে বিকেলে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় আজ বৃহস্পতিবার থেকে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। একইসাথে আজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তারা।
ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসকে ‘হত্যার’ প্রতিবাদে গত রবিবার নগরীর চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা। ওইদিন দুপুর পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন। এই পাঁচ দফা দাবির জন্য তিনদিনের আলটিমেটাম ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
আলটিমেটামের শেষদিন ছিল কাল বুধবার। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে অভিযুক্ত চালক ও সহকারীর ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করা, উদার পরিবহনের রুট পারমিট ও লাইসেন্স বাতিল করা, লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি মহাসড়কে চলতে না দেয়া, অদক্ষ চালক দিয়ে গাড়ি না চালানো এবং সড়কে শিক্ষার্থীসহ সকল যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। একইসাথে তারা ক্লাব-পরীক্ষা বর্জনেরও ডাক দেন।
এসব দাবিতেই সকাল থেকে সিকৃবির টিএসসি চত্বরে জড়ো থাকেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে মিছিল নিয়ে তারা টিলাগড়স্থ মাদানী চত্বরে এসে সড়ক অবরোধ করেন। তারা তাদের দাবিগুলো মেনে নিতে স্লোগান দেন। দাবি মানা না হলে আগামী রবিবার থেকে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে দুপুরের দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেলে বৈঠকে বসেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে আজ থেকে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া সিকৃবির ভিসি অধ্যাপক ড. মতিয়ার রহমান হাওলাদারকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে আজ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী সাইফুর রহমান।
গত শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের শেরপুরে ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে সিকৃবির বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী ঘোরি মো. ওয়াসিম আব্বাসকে উদার পরিবহনের একটি বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন হেলপার। বাসটির চাপায় নিহত হন ওয়াসিম। পরে পুলিশ বাসের চালক ও হেলপারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক মৃত্যুঞ্জয় কুণ্ডু বাদী হয়ে মৌলভীবাজার থানায় বাসচালক, হেলপার ও সুপারভাইজারকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ চালক ও হেলপারকে রিমান্ডে নিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন