দিনেদুপুরে একটি পিস্তল, ইয়াবা ও জালিয়াতির কাগজপত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। গভীর রাতে সেই পিস্তল হয়ে যায় এয়ারগান, ইয়াবা নিয়ে শুরু হয় ‘তদন্ত’। আর খালাস পেয়ে যান অভিযুক্ত ব্যক্তি। এই রহস্যময় ঘটনা ঘটেছে সিলেটে। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। দিনে গ্রেফতার হয়ে রাতে মুক্ত হওয়া ব্যক্তি মামুন কিবরিয়া সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক।
জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সিলেট নগরীর সুবিদবাজারস্থ নিজ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় ব্যবসায়ী নেতা মামুন কিবরিয়াকে। তার ভাইয়ের দায়ের করা জালিয়াতির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, মামুন কিবরিয়াকে একটি পিস্তল, ২৭ পিস ইয়াবা ও জালিয়াতির কাগজপত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, মামুন কিবরিয়াকে গ্রেফতারের পর বিমানবন্দর থানায় নেয়া হয়। সেখানে তাকে ছেড়ে দিতে শুরু হয় নানা নাটক। একপর্যায়ে শনিবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। সুনির্দিষ্ট মামলায় অস্ত্র আর ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত আসামিকে এভাবে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়ার ঘটনাকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এ নিয়ে সিলেটে চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন।
এ প্রসঙ্গে আজ রবিবার সকালে বিমানবন্দর থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মামুন কিবরিয়ার কাছে পাওয়া অস্ত্রটি আসলে এয়ারগান। তার অফিসের সিলিং থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ইয়াবাগুলো সেখানে কিভাবে এলো, তা নিয়ে তদন্ত চলছে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বিভূতিভূষণ ব্যানার্জি বলেন, ‘মামুন কিবরিয়ার কাছে পাওয়া অস্ত্রে গুলির চেম্বার নেই। এটি আগ্নেয়াস্ত্র নয়। সিলিংয়ে পাওয়া ইয়াবা নিয়ে তদন্ত চলছে। তাকে ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তার মা অসুস্থ, এজন্য ভাইয়ের অনুরোধে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে ছেড়ে দেয়ার এখতিয়ার ওসির রয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী নেতা মামুন কিবরিয়ার সাথে কথা বলতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল