সাত দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে সোমবার দিনভর দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। এমনকি অভ্যন্তরীণ সড়কে বাস, মাইক্রোবাস, অটোরিকশাসহ কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করেনি। এর ফলে প্রয়োজনীয় কাজে ঘর থেকে বেরিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ৭ দফা দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, সিলেট বিভাগ। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ওয়াসিমকে বাস থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাটি ৩০২ ধারার স্থলে ৩০৪ ধারায় অন্তর্ভূক্ত করতে হবে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ১০৫ ধারায় জরিমানার পরিমাণ ৫ লাখ
টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ হাজার টাকা, একই আইনের ৮৪, ৯৮ ও ১০৫ ধারাকে জামিনযোগ্য করা, ৮৪ ও ৯৮ পৃথক ধারা দুটিতে জরিমানা ৩ লাখ টাকার স্থলে ৩০ হাজার টাকা করা, পুলিশের হয়রানি বন্ধ প্রভৃতি।
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সিলেট বিভাগে শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট। এইচএসসি পরীক্ষা ছিল। ধর্মঘটের ফলে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক স্থানে পরীক্ষার্থীদের বহনকারী গাড়ি আটকে হয়রানি করে পরিবহন শ্রমিকরা। এমনকি রোগী বহনকারী
কিংবা ব্যক্তিগত যানবাহনও চলতে বাধা দেয় তারা। সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এই অবস্থা। এরপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। এদিকে, বাস বা অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় আজ সকাল থেকে সিলেট রেলস্টেশনে ছিল উপচে পড়া ভিড়।
সিলেট রেল স্টেশনের ব্যবস্থাপক শহীদুর রহমান বলেন, পরিবহন ধর্মঘট থাকায় রেলের ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। সকাল থেকে কয়েকগুণ বেশি যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় প্রতিটি ট্রেন।
ধর্মঘট প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হলে পরবর্তীতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন